(ক্রিয়েটিভ রাইটিং)// অতিরিক্ত তাপমাত্রার কারণে মানব জীবন অতিষ্ঠ
6 comments
আসসালামু আলাইকুম/আদাব আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধু গন আমি @kibreay001 বাংলাদেশ থেকে বলছি আজ (৩০-০৪-২০২৪)
আসসালামু আলাইকুম আমার স্টিম বন্ধু গন আশা করি আপনারা অনেক ভালো আছেন । আপনাদের দোয়ায় আমিও অনেক ভালো আছি। আমি @kibreay001 আমি আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি (ক্রিয়েটিভ রাইটিং)// অতিরিক্ত তাপমাত্রার কারণে মানব জীবন অতিষ্ঠ । আজকে সকাল বেলায় ঘুম থেকে ওঠার পর থেকেই বেশ ব্যস্ত সময় পার করছি। সকালবেলায় ঘুম থেকে উঠেই প্রথমেই বাড়ির কাজে বেশ ব্যস্ত হয়ে পড়েছিলাম। আসলে গত কয়েকদিন আগে আমাদের ভোট্টা মাড়াই করা হয়েছে সেগুলো ছাদের উপরে শুকানো হয়েছিল। তারপরে বস্তায় লোড করা হয়েছিল সেই বস্তা গুলো ছাদ থেকে নিচে নামানো হয়েছে। তারপরে হাতমুখ ধুয়ে গোসল শেষ করে খাওয়া-দাওয়া শেষ করে কোচিং এর উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম। কোচিং শেষ করে কলেজে গিয়েছিলাম আজকে রেজাল্ট পাবলিস্ট হবে বলে। আলহামদুলিল্লাহ কলেজের রেজাল্ট বেশ ভালো হয়েছে। কলেজের রেজাল্ট দেখে বাড়িতে এসে বেশ কিছু সময় বসে আছি তারপর দেখি হঠাৎ বিদ্যুৎ নেই। বাড়ি থেকে বের হয়ে বাগানের উদ্দেশ্যে চলে আসলাম সেখানে এসেই বসে পোস্ট লেখা শুরু করেছি। প্রথমে ভেবেছিলাম কি বিষয় নিয়ে পোস্ট লিখব। পরে হঠাৎ মনে পড়ে গেল বর্তমান সময়কে কেন্দ্র করে একটি পোস্ট লেখা যায়। তবে চলুন আজকের পোস্ট আপনাদের মাঝে শেয়ার করা যাক........
আসলে বর্তমান সময়ে আমরা রমজান মাসের কয়েকদিন থাকতেই লক্ষ্য করেছি অতিরিক্ত তাপমাত্রা। এই তাপমাত্রা বাড়ার পিছনে অনেক কারণ রয়েছে। সব থেকে বড় কারণ হচ্ছে আমরা উদ্ভিদ কেটে ফেলতেছি কিন্তু বৃক্ষরোপণ থেকে বিরত আছি। আমাদের চেষ্টা করতে হবে একটি গাছ কেটে ফেললে তার অধিক গাছ লাগানোর জন্য তাহলেই এই অতিরিক্ত তাপমাত্রা থেকে আমরা বাঁচতে পারব। গত দুইদিন আগে আমাদের এলাকায় বেশ ভয়াবহ অবস্থা ছিল। মেহেরপুর জেলাতে সারা বাংলাদেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত কয়েকদিন আগে আমি বাইক নিয়ে কোচিং এর উদ্দেশ্যে যখন রওনা দিয়েছিলাম দেখি রোদের এতই তাপমাত্রা যে রাস্তার পিস গোলে গিয়েছে। সত্যি এই অবস্থা আমাদের জন্য বেশ ভয়াবহ। তবে এই রোদের মধ্যে আমাদের রুম থেকে বাইরে বের না হওয়ায় সব থেকে বেশি ভালো। বাইরে থেকে এসে যেন আমরা কেউ ফ্রিজের ঠান্ডা পানি জাতীয় কোন খাবার না পান করি। একবার গরম লেগে গেলে এই রোদে সত্যি প্রত্যেকটা মানুষের জন্যই বেশ কষ্টকর হবে। তাই আমাদের সবাই সচেতন থাকতে হবে।
আসলে যেহেতু আমার প্রায় প্রত্যেকদিন বাজারে যেতে হয় কোচিং এর জন্য তাই বাজার থেকে আমি ফেরার পথে প্রায় প্রত্যেকদিন লেবুর শরবত খেয়ে থাকি। আসলে এই অতিরিক্ত গরমে লেবুর শরবত আমাদের প্রত্যেকের শরীরের জন্য বেশ উপকার। তাই আমি সবাইকে বলব আপনারা লেবুর শরবত বেশি বেশি পান করেন এবং পানি জাতীয় খাবার বেশি বেশি পান করেন অতিরিক্ত গরমে। তবে এই অতিরিক্ত গরম থেকে আমাদের বাঁচতে হলে বৃক্ষরোপণ এবং মহান আল্লাহতালার কাছে দোয়া প্রার্থনা করতে হবে। এই অতিরিক্ত গরমের কারণে আমার বাড়ির পাশের অল্প বয়সি একটি কাকা কিছুদিন আগেই স্টক করে মারা গিয়েছে। তাই আমি আমার সকল স্টিমিট বন্ধুদের দৃষ্টি আকর্ষণ করব গাছ লাগান পরিবেশ বাঁচান নিজে বাঁচুন অন্য কেউ বাঁচার সহযোগিতা করুন।
আসলে আমি কয়েকদিন আগে আমাদের মাঠে কিছু জমি দেখার জন্য সকালবেলায় বের হয়েছিলাম। মাঠে গিয়ে দেখতে পেলাম মাঠের জমি রোদের তাপে অনেকটা ফেটে গিয়েছে। আসলে মাটির দিকে তাকালে মনে হচ্ছে এই মাটিতে প্রায় পাঁচ থেকে ছয় মাস কোন পানি দেওয়া হয়নি। তবে আমাদের এলাকায় বেশ কিছু টিবয়েল দিনের বেলায় পানির দেখা পাওয়া যাচ্ছে না। বলতে গেলে শতকরা প্রায় ৩০% টিবয়েলে পানি নেই। মাঠে আমাদের একটি ধানের জমি রয়েছে সেখানে যখন পানি দিতে গিয়েছিলাম স্যালো মেশিন দিয়ে। তখন স্যালো মেশিনে দেখি আগের মত আর পানি উঠতেছে না। তাই তখন মেশিন বন্ধ করে বাড়িতে চলে এসেছিলাম। সেই মেশিনে আবারো রাতের বেলায় বেশ ভালো পানি উঠেছিল। আসলে এভাবে যদি বেশ কিছুদিন চলতে থাকে মানুষের জীবন ধারণ করাই অনেক কষ্টকর হয়ে পড়বে।
আসলে অতিরিক্ত গরমের কারণে আমাদের এলাকায় আমরা বেশ কিছু ছেলেরা মিলে একটি ডিপ স্যালো রয়েছে সেখানে গোসল করতে যাই প্রায় দিন। আমিও সেই দিন আমাদের পাড়ার ছেলেদের সাথে গোসল করার জন্য সেখানে গিয়েছিলাম। আসলে ডিপ স্যালোর পানি যখন মাটির নিচ থেকে উঠতেছিল সেই পানি গায়ে দিলে মনে হচ্ছে বরফের মত ঠান্ডা। আসলে সেই পানিতে গোসল করার পরে মনে হচ্ছে জীবনে আবারো প্রশান্তি ফিরে এসেছে। এভাবে যদি অতিরিক্ত গরম পড়তে থাকে তাহলে আমাদের মাঠের ফসল অধিকাংশই নষ্ট হয়ে যাবে। তাই সকলকে সচেতন হয়ে উদ্ভিদ রোপণের দিকে বেশি নজর দিতে হবে। যদি নিজের গাছ লাগানোর মত জমি না থাকে তাহলে রাস্তার পাশে সরকার জমিতে গাছ লাগানোর উদ্যোগ নিতে হবে।
আসলে অতিরিক্ত তাপমাত্রার কারণে কয়েকদিন ধরে আমি একটি জিনিস বেশ লক্ষ্য করেছি। আমাদের এলাকাসহ বেশ কিছু গ্রামে অতিরিক্ত গরমের কারণে মানুষ খোলা ময়দানে নামাজ পড়ে মহান আল্লাহতালার কাছে পানির জন্য দোয়া প্রার্থনা করেছে। আসলে আমাদের সকলের উচিত সৃষ্টিকর্তার প্রতি সব সময় কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা। আশা করি আজকের লেখা পোস্টটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লাগবে। সকলের মতামত নিচে কমেন্ট বক্সের মাধ্যমে জানাবেন। সকলের জন্য আমার পক্ষ থেকে শুভকামনা রইল।
আমি মোঃ কিবরিয়া হোসেন। আমি বাংলাদেশ খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানা কামারখালী গ্রামে বসবাস করি। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের সবাইকে জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমি বর্তমানে দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ভাষায় কথা বলতে এবং লিখতে অনেক ভালোবাসি। সব থেকে আমি বেশি পছন্দ করি ফটোগ্রাফি করতে। আমি বেশিরভাগ সময় বিভিন্ন জায়গা ঘোরাঘুরি করে থাকি। কয়েকটি শখের মধ্যে আমার প্রধান শখ হচ্ছে বিভিন্ন জায়গা ভ্রমণ করা। সংক্ষিপ্ত আকারে আমি আমার নিজের পরিচয় শেয়ার করলাম আপনাদের মাঝে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইল।
(১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য )
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Comments