কিছু রেন্ডম ফটোগ্রাফি নিয়ে একটি এ্যালবাম।।
30 comments
বাংলা ভাষায় শেয়ার করো তোমার মনের অনুভূতি।।
হ্যালো বন্ধুরা,
আজকে আবার আমি আপনাদের মাঝে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়ে গেলাম। আজকে সকাল সকাল ব্লগ লিখতে বসলাম। কারন আজকের আবহওয়াটা খুবই ভালো। ধীর্ঘ ৩৭ তিন পরে আবহাওয়া আগের অবস্থানে ফিরে গেছে। গত তিন দিন যাবৎ বৃষ্টিপাত হচ্ছে। যদিও প্রথমদিন শিলা বৃষ্টি হয়েছিল,পরের দিন থেকে আর শিলা পরেনি,নরমাল বৃষ্টিই হয়েছে। এতদিন গরমের কারনে বিছানাতে পিঠ লাগানো যেতো না। আর এখন দুই দিন ধরে কাঁথা দিয়ে ঘুমাতে হচ্ছে। ফ্যানও ছাড়া লাগছে না। সৃষ্টিকর্তার খেলা বুঝা বড় দায়। তিনি ইচ্ছা করলে মুহূর্তে মরুভূমিকে সাগর ও জঙ্গলকে মরুভূমিতে রুপান্তর করতে পারেন। সর্ব অবস্থায় সৃষ্টিকর্তার শুকরিয়া আদায় করা দরকার।
আজকে আমি আপনাদের মাঝে কিছু রেন্ডম ফটোগ্রাফি শেয়ার করবো। অনেক দিন যাবৎ একটি ফোল্ডারে কিছু ফটোগ্রাফি পরে আছে। এগুলো শেয়ার করা হচ্ছে না। তাই আজকে চিন্তা করলাম এগুলো শেয়ার করে ফেলি। এখন যেহেতো বৃষ্টি পাত হচ্ছে প্রাকৃতিক নতুন নতুন ফটোগ্রাফি সংগ্রহ করা যাবে। আগামী শুক্রবারে এক জাগায় যাওয়ার প্লান আছে। আশা করি বেশ কিছু ফুলের ফটোগ্রাফি পাবো। তো চলুন আজকে ঝুড়িতে কি কি আছে,সে গুলো দেখা যাক।
এখানে দেখতে পাচ্ছেন একটি সাদা গোলাপ ফুল। ফুলের থেকে সুন্দর পৃথিবীতে আর কিছু নেই। ফুল পবিত্র জিনিষ। হিন্দু,মুসলিম,বোদ্ধ, খিষ্টান সব ধর্মের মানুষ ফুল পছন্দ করে। মসজিদের আঙ্গিনায় যেমন ফুলের চাষ হয় আবার মন্দির, গির্জার আঙ্গিনাতেও বিভিন্ন ধরনের ফুল দেখা যায়। এটা নিয়ে কারো মাঝে কোন দ্বিমত নাই। সবাই নিজেদের অনুষ্ঠানে ফুলের ব্যবহার করে থাকে। মুসলমান হিন্দু থেকে ফুল কিনে আবার হিন্দুু মুসলিমদের থেকেও ফুল কিনে থাকে। এর মাধ্যমে বুঝা যায় ফুলকে ধর্মবর্ণ নিবির্ষেশে সবাই ভালোবাসে। আর এই জন্যই ফুল হলো ভালোবাসার প্রতীক।
এই গোলাপ ফুলের আবার বিভিন্ন কালার আছে। যদিও গাছ থেকে ফুল ছেড়ার পরে তার স্থায়িত্ব খুবই কম। তারপরেও মানুষ ফুল কিনে থাকে। প্রতিদিন সকালে রাজাধানী ঢাকার শাহবাড় মোড়ে গেলে দেখা যায়,কত বড় ফুলের আড়ৎ বসে। সেখানে প্রতিদিন লাখ লাখ টাকার ফুল বিক্রয় হয়। বিশেষ করে বিভিন্ন দিবসে ছোট বড় সবাই ফুলের দোকানে ভিড় জমায়। সেদিন আবার ফুলের দামও বেড়ে যায়। আমিও বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ফুল কিনে উপহার দিয়েছি। ফুল নিয়ে কত স্মৃতি জমা আছে।
এখানে দেখা যায় একটি বেগুন গাছে, একটি ফুল ফুটে আছে। বেগুন ফুল কিছুটা বেগুনি কালার হয়ে থাকে। তবে ফুলের মাঝখানে হলুদ কালারের একটি কলি থাকে। মূলত সেই কলির ভিতর থেকেই ধীরে ধীরে বেগুনটা বের হয়ে আসে। প্রকৃতি খুবই সুন্দর। প্রকৃতিকে যদি আমরা মন থেকে ভালোবাসতে পারি,তাহলে প্রকৃতি আমাদেরকে উপরহার দিতে কৃপনতা করে না। এইযে অনেক দিন যাবৎ একটি গরম সময় অতিক্রম হয়েছে। অনেক গাছ গাছালি পানির অভাবে মারা গেছে। আমি আমাদের বাসার ছাদে দেখেছি কিছু এ্যালোবারা গাছ পানির অভাবে শুকিয়ে গেছে। আমি নিজে বালতিতে করে তিনদিন পানি দিয়েছিলাম। তারপরেই সে গুলো আবার জীবিত হয়ে গেছে। বিষয়টা দেখে আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে।
এই সেই ছাদের এ্যালেভারা গাছ। এই ফটোগ্রাফিটা আগের তুলা। এগুলো পানির অভাবে মারা যাচ্ছিলো। তারপর আমি পানি দেওয়ার কারনে জীবনটা আবার ফিরে পেয়েছে। এই গাছের মালিক ইতালী চলে যাবে। কি যেন এক জামেলার কারনে খুবই টেনশনে আছে। যার ফলে গাছের পরিচর্যা করতে পারছে না। এত সুন্দর গাছ গুলো পানির অভাবে মারা যাবে সেটা মানা যায় না। এই এ্যালোভারা গাছ অনেক কাজে লাগে। প্রকৃতিকে বাচিঁয়ে রাখলে আমাদের নিজেদেরই লাভ।
এখানে দুইটি সাদা নয়ন তারা ফুল দেখা যাচ্ছে। এই উদ্ভিদ গুলো অনেক ভালো। তাদের মান-অভিমান খুব কম। শুধু গাছ গুলো লাগালেই ফুল ফুটে যায়। তেমন পরিচর্যার দরকার পরে না। হাটতে চলতে বিভিন্ন জাগায় এই ফুল গুলো দেখা যায়। আমি একটি বাড়ির আঙ্গিনা থেকে এই ফুলের ফটোগ্রাফি গুলো নিয়েছিলাম। দেখতে খুবই ভালো লাগছে। যদিও এই ফুল গুলো সুন্দর্যবর্ধন ছাড়া আর কোন কাজে আসে না। পরিবেশের সুন্দর্যের জন্যই এগুলো চাষ করা হয়।
যায়হোক দেখতে দেখতে অনেক গুলো ফুলের ফটোগ্রাফি শেয়ার করে ফেললাম। আশা করি সব গুলো ফুল ও উদ্ভিদই আপনাদের কাছে অনেক ভালো লেগেছে। সবাই ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন। গাছ লাগান পরিবেশ বাচাঁন নিজে বাচুঁন।।
সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।
ফটোগ্রাফির বিবরণ:
ডিভাইস | মোবাইল |
---|---|
মডেল | realme-53 |
শিরোনাম | কিছু রেন্ডম ফটোগ্রাফি নিয়ে একটি এ্যালবাম।। |
স্থান | নারায়নগঞ্জ, ঢাকা, বাংলাদেশ। |
তারিখ | ০৮ /০৫ /২০২৪ |
কমিউনিটি | আমার বাংলা ব্লগ |
ফটোগ্রাফার | @joniprins |
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
Click Here For Join Heroism Discord Server
Comments