মোবাইলে ধারন করা বিভিন্ন ফুলের ফটোগ্রাফি
27 comments
কেমন আছেন আপনারা? আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার সহায়তায় ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিকে ভালোবেসে উপস্থিত হলাম সুন্দর একটি পোস্ট উপস্থাপন করার জন্য। বিভিন্ন প্রকার ফুলের ফটোগ্রাফি আপনাদের মাঝে শেয়ার করব। মনে করি, আমার এই ফটোগ্রাফি আপনাদের ভালো লাগবে।
প্রথমে আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম আকন্দ ফুল। আকন্দ ফুল প্রায় মাঝেমধ্যে রাস্তার পাশে দেখা যায়। এগুলো বনফুল হওয়ায় অযত্নে হলেও খুব সুন্দর ভাবে বেড়ে উঠতে দেখা যায় রাস্তার পাশে অথবা ফসলের মাঠের দিকে। তবে বনফুল গুলোর মধ্যে এই ফুলটা যথেষ্ট সুন্দর ও দেখার মতো। বেশি ভালোলাগা ফটো ধারণ করলে। যেন গ্যালারিতে এর সৌন্দর্য আরো বেড়ে ওঠে।
এ মুহূর্তে আপনারা যে ফটোগ্রাফি দেখতে পাচ্ছেন এটা মাধবীলতা ফুলের ফটোগ্রাফি। বিভিন্ন ফুলের মধ্যে মাধবীলতা ফুলের সৌন্দর্য অনেক বেশি। কারণ এই ফুলগুলো বেশ একটু লম্বা আকৃতির হয়ে থাকে এবং একে স্থানে অনেকগুলো হয় বলে। গোলাপি বর্ণের মাধবীলতা ফুল মন কাড়ায় সবসময়।
এখন আপনাদের যে ফুলের সাথে পরিচয় লাভ করিয়ে দেবো সেটা হচ্ছে বরবটি সবজির ফুল। বরবটি সবজির ফুল দুই রকমের হয়ে থাকে দেখেছি। তবে যতটা জানি এটা দেশী বরবটির ফুল। সবুজ আকৃতির যেই বরবটি হয়ে থাকে, আকারে দেখতে একটু ছোট, এটা সেই বরবটির ফুল। কিছুটা শিমের ফুলের মত এই ফুলগুলো হয়। এই ফুলের মধ্যেও যথেষ্ট সুন্দর্য রয়েছে। যখন একসাথে অনেক ফুটে থাকতে দেখা যায় তখন লক্ষ্য করি।।
এ মুহূর্তে আপনারা যে ফুলটা দেখতে পাচ্ছেন এটা কচুরিপানার ফুল। আমাদের পুকুরপাড়ের মাছের খাবার দেয়ার স্থানে এই ফুল ফুটেছিল। প্রায় লক্ষ্য করা যায় এই ফুলগুলো মাঠ বন জঙ্গল সহ বিল খাল পানিযুক্ত স্থানে ফুটে থাকে। আমার কাছে বেশ ভালো লাগে এমন গ্রামীন পর্যায়ের বনফুল গুলো।
অনেকে কচুরিপানার ফুল আর জার্মানির ফুল দুইটাকে এক হিসেবে গণ্য করে থাকে। তবে আমি ছোট থেকে জানি এই মুহূর্তে যে ফটোটা পাঁচ নম্বরে আপনারা দেখতে পাচ্ছেন এটা হচ্ছে জার্মানির ফুল। জানিনা আপনাদের এলাকায় কি নামে পরিচিত তবে আমাদের এলাকায় এগুলো জার্মানি ফুল নামে পরিচিত। আর চার নম্বরে যেটা শেয়ার করেছি সেটা কচুরিপানার ফুল।
এই মুহূর্তে যে ফটোটা দেখতে পারছেন এটা শাপলা ফুল। ছোটবেলায় অনেকে কচুরিপানা শাপলা আর জার্মানির ফুল তিনটাকে গুলিয়ে ফেলে। ঠিক এমনটা লক্ষ্য করেছিলাম আমার এক চাচাতো ছোট বোনের মধ্যে। এজন্য পাশাপাশি এই তিনটা ফুল আপনাদের মাঝে দেখার সুযোগ করে দিলাম। তবে শাপলা ফুল আগে সাদা বেশি দেখতাম এখন এই আকৃতির গুলো বিভিন্ন স্থানে লক্ষ্য করা যায়।
এই ফুলটার নাম আমার অবশ্য এই মুহূর্তে মনে নেই। তবে বিভিন্ন পার্কে অথবা নার্সারিতে এগুলোর গাছ বেশি লক্ষ্য করে থাকি। আমিতো প্রায় যখন আত্মীয়ের বাড়িতে যাই নিকটস্থ একটি বাগানের লক্ষ্য করি এই ফুল ফুটে থাকতে। তবে এর আগে কখনো এই ফুলগুলো আমি বেশি একটা দেখিনি, বিশেষ করে যখন হাই স্কুল লাইফে লেখাপড়া করেছি। তবে এখন প্রায় দেখা যায়।
এখন দেখতে পাচ্ছেন সরিষার ফুল। এখন শীতের সময়। প্রায় স্থানের সরিষা ফুল দেখতে পাওয়া যাবে। আমার কাছে সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে শীতের সময়ে এই ফুলগুলো। যেন প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ফুটিয়ে তুলে সরিষার ফুল।
এ মুহূর্তে যে ফটোটা শেয়ার করলাম এই ফুল গাছটাও আমার কাছে বেশ নতুন। মাত্র কয়েক বছর এ ফুল গাছ দেখা শুরু করেছি। তবে একটা কথা শুনে আমার খুব অবাক লাগে। গাছের সবুজ পাতার উপরে যেই ফুলগুলো দেখতে পাচ্ছেন সেগুলোও নাকি পাতা। বিশেষ কিছু সময়ে পাতা গুলো এমন রঙিন হয়ে থাকে পরবর্তীতে নাকি সবুজ হয়ে যায়। কথাটা কতটুকু সত্য জানিনা কিন্তু এই গাছের সৌন্দর্য দেখে আমি কিন্তু অনেক মুগ্ধ।
ফটোগ্রাফি ডিভাইস | Infinix mobile |
---|---|
বিষয় | রেনডম ফুলের ফটোগ্রাফি |
লোকেশন | গাংনী- মেহেরপুর |
What3words Location | Meherpur |
ক্রেডিট | @jannatul01 |
দেশ | বাংলাদেশ |
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার নাম মোছাঃ জান্নাতুল ফেরদৌস শশী। আমার বাসা গাংনী মেহেরপুর, বাংলাদেশ। আমি আপনাদের সুপ্রিয় বিদ্যুৎ জিরো ওয়ান এর পরিবার। আমি একজন গৃহিণী। স্বামী সন্তান সহ আমাদের যৌথ পরিবার। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির চারজন সদস্য রয়েছে আমাদের পরিবারে, তার মধ্যে আমি একজন। এইচএসসি পাশ করার পর বিয়ে হওয়ার মধ্য দিয়ে আমার লেখাপড়া স্থগিত হয়। আমার ইচ্ছে আমি এই কমিউনিটিতে দীর্ঘদিন ব্লগ করব। পাশাপাশি আমার নিকটস্থ প্রিয়জনদের সহায়তা করব এই কমিউনিটিতে কাজ করার জন্য।
Comments