অটো গাড়িতে বসে গাংনী এলাকার ফটো ধারণ
4 comments
কেমন আছেন আপনারা? আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার সহায়তায় ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিকে ভালোবেসে উপস্থিত হলাম সুন্দর একটি পোস্ট উপস্থাপন করার জন্য। একদিন একটি রিজাভ অটো গাড়িতে গাংনী বাজারের সেবা ডায়গনস্টিক সেন্টারে উপস্থিত হয়েছিলাম। আর সেখান থেকে বাড়ি ফিরতে বেশ কিছু ফটো ধারণ করেছিলাম। আজকে সে ফটোগ্রাফি গুলো আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করব।
সংসার জীবনের ব্যস্ততায় বাড়ি থেকে বাইরের পরিবেশে বের হওয়াটা হয়ে গেছে কঠিন। তবুও বিভিন্ন কারণে নিকটস্থ শহরগুলোতে যাওয়া হয়ে থাকে। ঠিক তেমনি একটু অসুস্থতার কারণে গাংনী শহরে উপস্থিত হয়েছিলাম। এরপর সেখান থেকে বাড়িতে ফিরতেই গাংনী প্রধান শহরে উপস্থিত হলাম। আমি অটো গাড়ির মধ্যেই বসা রয়েছি। আগের চেয়ে গান শহরের ব্যাপক পরিবর্তন লক্ষ্য করলাম। মাঝে মধ্যে গাংনী শহরে যদি যাওয়া হয়, দেখি দিন দিন পরিবর্তন হতেই রয়েছে। এই দিন ব্যাপক পরিবর্তন লক্ষ্য করলাম পাশাপাশি রাস্তার পাশ দিয়ে গাছ গাছালিগুলো যেন নেই। রাস্তা সংস্কারের কাজে গাছ কাটা হয়ে গেছে আবার রাস্তার পাশে অনেক গর্ত। আমি গাড়ির মধ্যে থেকেই সুযোগ-সুযোগের কিছু ফটো ধারণ করতে থাকলাম। বাজারের প্রধান অংশে এসে আমাদের অটো গাড়িটা একটু স্লো করলো। গাংনী বাজারের বাস স্ট্যান্ড মোড়ে রয়েছে অনেক ফার্মেসি সেখান থেকে ঔষধ নিতে হবে এছাড়াও বাজারের পাশে রয়েছে অনেক ফলের দোকান। তাই আমাদের গাড়িটা সেখানে এসে একটু স্লো হলো। আর সে ফাঁকে আমিও বেশ কিছু ফটো ধারণ করে ফেললাম।
এরপর গাংনী শহর অতিক্রম করে এসে কিছুটা পূর্বে। যে রাস্তা দিয়ে আমাদের গ্রামের দিকে অগ্রসর হতে হয়। এখানে লক্ষ্য করে দেখলাম নতুন করে সবজি বাজার সৃষ্টি হয়েছে। আমি যখন ইন্টারে পড়তাম তখন সবজি বাজারটা ছিল আমাদের ওই সাইডে। অর্থাৎ গাংনী থেকে কুষ্টিয়া রোডের দিকে। এখন সে বাজারের ওই সাইডে বেশ বড় একটি আবাসিক হোটেল তৈরি হচ্ছে শুনেছি। তাই সেই জায়গা ছেড়ে এখন সবজি বাজার মাছের বাজার এই দিকে চলে এসেছে। তবে হাটের দিন না হওয়ায় দেখলাম সব ফাঁকা পড়ে রয়েছে। হার্টের দিন হলে মানুষের ভিড়ে হয়তো ফটো ধারণ করাই কঠিন হয়ে যেত।
এরপর আরো সামনের দিকে এগিয়ে আসলে রয়েছে সবজির আড়ৎ। আর এভাবেই গাংনী শহরের সৌন্দর্য উপভোগ করতে করতে আমরা এগিয়ে আসতে থাকলাম আরো সামনে এগিয়ে এসে ঈদগাহের গেট। আমি বুঝিনা বেশি টাকা খরচ করে রাস্তার উপরে এমন ঈদগাহের গেট তৈরি করে লাভটা কোথায়। গেছে এখানে যা ব্যয় হয়েছে সেই টাকাগুলো যদি এলাকার চিহ্নিত দশটা অতি দরিদ্র মানুষের তা হতো তাহলে তারা ধনী হয়ে যেত। আর এমনটাই ভাবতে ভাবতে এগিয়ে আসতে থাকলাম। গাড়িটা যত আমাদের গ্রামের দিকে এগিয়ে আসছে ততই জানো বিভিন্ন গ্রামের সৌন্দর্য উপলব্ধি করতে থাকলাম। আসতে পথে শুধু খেয়াল করেছিলাম এলাকার দোকানগুলো জনশূন্য। হয়তো প্রচণ্ড গরমের জন্য লোকজন সেখানে নেই অথবা কর্মস্থলে চলে গেছে। তবে রাস্তায় জায়গায় জায়গায় দেখেছিলাম পাট খড়ি।
যতক্ষণ বাইরের পরিবেশে ছিলাম মনটা বেশ ভালই ছিল। তবে তার চেয়ে বেশি ভালোলাগা সৃষ্টি করেছিল সবুজ ফসলের মাঠ। ফসলের মাঠের দিকে তাকিয়ে দেখেছিলাম ঘন সবুজ ধান ক্ষেত। যেন অন্যরকম অনুভূতি আমি খুঁজে পাই ফসলের মাঠে। ততক্ষণে গাড়িটা বেশ জোরে চলছিল যার জন্য বেশি ফটো ধারণ করা সম্ভব হয়নি এমনকি ভালো ফটো ধারণ করা সম্ভব হয়নি। তবে অসুস্থতার মাঝে বেশ স্বস্তি এনে দিয়েছিল এই ফসলের মাঠ। দুচোখ মিলে তাকিয়ে দেখতে দেখতে আসছিলাম। গাড়ি একটু দ্রুত টানছিল তাই শীতল বাতাস গায়ে লাগছিল। ওই সময় শীতল বাতাস আমার জন্য খুবই উপযুক্ত ছিল। কিন্তু এখন যে প্রচন্ড ঠান্ডা। শীতল বাতাসের কথা স্মরণ করলেই যেন ভয় লাগে।
এভাবেই দুচোখ মিলে দেখতে দেখতে নিজেদের গ্রামে প্রবেশ করলাম। কিন্তু নিজেদের গ্রামে প্রবেশ করে চারিপাশে লক্ষ্য করে বেশ খারাপ লাগছিল। আমাদের গ্রামে একটি পার্ক রয়েছে সে পার্কের পাশে রাস্তার উপরে বেশ অনেকদূর পানি উঠে গেছে। প্রচন্ড গরমের মাঝখানে দুই দিন বৃষ্টি হয়েছিল। হয়তো আপনাদের মনে আছে ওই মুহূর্তে আমাদের দেশে বন্যা হল। ঠিক সেই মুহূর্তের চিত্র এগুলা। আমাদের গ্রামে বন্যার পানি না আসলেও চারিপাশে পুকুর এই আবদ্ধ থাকায় জায়গায় পানি বেধে যায়। এদিকে গ্রামের স্কুলটার পিছনে নাজেহাল অবস্থা। আর এমন চিত্রগুলো দেখে খুবই খারাপ লাগছিল আমার। আর এভাবে অটো গাড়িতে চড়ে বেশ ফটো ধারণ করেছিলাম একদিন।
সাথে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ
বিষয় | ফটোগ্রাফি |
---|---|
What3words Location | Gangni-Meherpur |
মোবাইল | Infinix Hot 11s |
ক্রেডিট | @jannatul01 |
ব্লগার | আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি |
আমার পরিচয়
আমার নাম মোছাঃ জান্নাতুল ফেরদৌস শশী। আমার বাসা গাংনী মেহেরপুর, বাংলাদেশ। আমি আপনাদের সুপ্রিয় বিদ্যুৎ জিরো ওয়ান এর পরিবার। আমি একজন গৃহিণী। স্বামী সন্তান সহ আমাদের যৌথ পরিবার। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির চারজন সদস্য রয়েছে আমাদের পরিবারে, তার মধ্যে আমি একজন। এইচএসসি পাশ করার পর বিয়ে হওয়ার মধ্য দিয়ে আমার লেখাপড়া স্থগিত হয়। আমার ইচ্ছে আমি এই কমিউনিটিতে দীর্ঘদিন ব্লগ করব। পাশাপাশি আমার নিকটস্থ প্রিয়জনদের সহায়তা করব এই কমিউনিটিতে কাজ করার জন্য।
Comments