লাইফ স্টাইল:- মাদ্রাসা অভিভাবক সমাবেশ অনুষ্ঠানের মুহূর্ত।
5 comments
হ্যালো বন্ধুরা,
সবাই কেমন আছেন। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই অনেক ভাল আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে খুবই ভাল আছি। আমি আজকে একটি লেখার পোস্ট এবং কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথা আপনাদের মাঝে শেয়ার করবো। কিছু কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে অথবা কোথাও ঘুরতে গেলে ওইসব বিষয় নিয়ে পোস্ট লিখতে অনেক ভালো লাগে। বেশিরভাগ সুন্দর মুহূর্ত গুলোর পোস্ট পড়তে এবং লিখতে অনেক ভালো লাগে। সব সময় চেষ্টা করি আমার সুন্দর মুহূর্তের অনুভূতি আপনাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। ঘুরতে গেলে নিজে মনটাও ফ্রেশ থাকে। তাই সবসময় চেষ্টা করি কোথাও ঘুরতে যাওয়ার হাসিখুশির মুহূর্তটা আপনাদের মাঝেও শেয়ার করার জন্য। আশা করি আপনাদেরও পোস্টটি অনেক ভালো লাগবে।
আজকে আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করব বিগত দুই মাস আগে আমাদের মাদ্রাসায় অভিভাবক সমাবেশ হয়েছে। কারণ প্রতিবছর আমাদের মাদ্রাসায় একটি দিন অভিভাবক এবং কমিটি নিয়ে বসে এবং আলোচনা করে। এবং মনের ভাব কথাবার্তা এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কিভাবে উন্নতি করা যায় সেটি নিয়ে কাজ করে। এবং অভিভাবক গুলো অধিক আগ্রহ নিয়ে ওই দিন মাদ্রাসায় আসে। এবং ঐদিন মাদ্রাসায় আসলে সবাই মাদ্রাসার ভালো কিভাবে করা যায় সেটা নিয়ে আলোচনা করে। এবং এই দিনটির মধ্যে আমরা নাস্তা ও সবকিছু ব্যবস্থা করি। আসলে এগুলো হচ্ছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভাল দিক। বিগত ২ মাস আগে অভিভাবক সমাবেশ হয়েছে।
তবে এইবার নাস্তার আয়োজন এবং অফিসের কাজ ছিল আমার হাতে। যদিও মাদ্রাসা থেকে কিছু ছাত্র ছিল আমার সাথে। এর আগের বার অনেক অভিভাবক সমাবেশে যখন নাস্তা করানো হয় তখন অনেক কিছু কম হয়। এই কারণে আবার বড় হুজুর আমার হাতে দায়িত্ব দিলেন নাস্তার। তবে প্রথম থেকে আমি অনেক বার বলেছিলাম কারণ কোন কিছু কম হলে আমার বদনামি হবে। কারন টাকা পয়সা কোন সমস্যা না বড় শিক্ষক বলল। এই কারণে এইবার নাস্তা আমি গতবার তুলনা বেশি পাইপেট করেছি। তবে প্রথমে মনে করলাম অভিভাবক লোক কম হবে। যখন আমি ফটোগ্রাফি করেছিলাম মাদ্রাসার অনুষ্ঠানে তখন একদম শুরুর দিকে।
অল্প কিছুক্ষণের মধ্যে অভিভাবক এবং অন্যান্য মানুষ এসে একদম মাদ্রাসার ছাদ একদম ফুল হয়ে গেল। একদিকে মাদ্রাসার অনেক ছাত্রছাত্রী অন্য দিকে অভিভাবক সত্যিই একসাথে দেখে সবাইকে অনেক ভালো লাগলো। প্রথমে আমাদের বড় হুজুর সবার উদ্দেশ্যে কথা বললেন। এবং জিজ্ঞেস করতেছে আপনাদের কোন কথা বা আলোচনা যদি থাকে আমাদের মাঝে শেয়ার করতে পারেন। এবং এই প্রতিষ্ঠান আমাদের সবার তাই সবাই এটা নিয়ে কাজ করতে হবে। যদি আমরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নিয়ে ভালো চিন্তা করি ভালো ফল আশা করতে পারি। তাই আমি মনে করি পিছন থেকে কেউ কথা না বলে এইখানে কথা বললে ভালো।
একে একে করে মাদ্রাসার কমিটি এবং শিক্ষক এবং কিছু অভিভাবক তাদের মনের কথা প্রকাশ করেছে অনুষ্ঠানে। 9 টা থেকে বারোটা পর্যন্ত এভাবে অনুষ্ঠান চলছিল। এবং অনুষ্ঠান লাস্ট পর্যায়ে গিয়ে নাস্তা দেওয়া হয় সে সবাই হাতে। তবে আমি নাস্তা দেওয়ার সময় অনেক ভয় পেয়েছি আর যদি কম হয় তাহলে আমার উপর দোষারোপ হবে। তবে আলহামদুলিল্লাহ নাস্তা কোন কম ছিল না। সবাইকে দেওয়ার পর আরও 100 পাইকে জমা ছিল। এবং তাদের সবাইকে নাস্তা দেওয়ার পর যখন ১০০ পাইকেট ছিল তখন আমার কাছে ভালো লাগলো। কারণ এর আগে অনেকবার নাস্তা কম ছিল। এই কারণে বড় হুজুর বারবার বলতেছেন নাস্তা যেন কম না হয়।
তবে এই নাস্তাগুলো রেডি করতে ছাত্রগুলো নিজের মতো করে নাস্তা খেলো। তবে ছাত্রগুলো আমাকে সবসময় ফলো করতো আমি যেন কিছু বলে নাকি। আমি কিন্তু তাদের আনন্দ দেখে অনেক খুশি ছিলাম। কারণ ছাত্র গুলো ওই অনুষ্ঠানে অনেক আনন্দ করতেছে। কিছুক্ষণ পর পর আমাকে জিজ্ঞেস করতেছে স্যার নাস্তা খাবেন নাকি চা খাবেন ছাত্রগুলো। আর তারা নিজ দায়িত্বে কাজ করতেছে তাদের কাজগুলো। আর আমি তাদের কাজগুলো দেখিয়ে দিচ্ছি কোন ভুল হলে বলতেছি এইভাবে কাজ করো। সত্যি বলতে অভিভাবক সমাবেশ যখন শেষ করলাম তখন মন থেকে একটি দায়িত্ব পালন করেছে ভালই লাগলো। আর এই ধরনের কাজগুলো যখন করা হয় তখন দায়িত্বে থাকলে একটু বড় লাগে। আশা করিও সমাবেশ পোস্টটি পড়ে আপনাদের অনেক ভালো লাগবে।
আমার পরিচয়
আমার নাম মোঃ জামাল উদ্দিন। আর আমার ইউজার নাম @jamal7। আমি বাংলাদেশে বসবাস করি। প্রথমত বাঙালি হিসেবে আমি নিজেকে অনেক গর্বিত মনে করি। কারণ বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা। তার সাথে ফটোগ্রাফি করা আমার অনেক শখ। আমি যে কোন কিছুর সুন্দরভাবে ফটোগ্রাফি করার চেষ্টা করি। তার সাথে ভ্রমণ করতেও ভীষণ ভালো লাগে। বিশেষ করে নতুন নতুন জায়গা ভ্রমণ করতে ভীষণ ভালো লাগে। তার সাথে লেখালেখি করতে ও ভীষণ ভালো লাগে। যে কোন বিষয় নিয়ে কিংবা যে কোন গল্প লিখতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আর সব সময় নতুন কিছু করার চেষ্টা। নতুন ধরনের কিছু দেখলে করার চেষ্টা করি।
Comments