New to Nutbox?

কয়েকটি রেনডম ফটোগ্রাফি

29 comments

isratmim
73
13 days agoSteemit5 min read

আসসালামু আলাইকুম


সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি।

আজকে আমি আপনাদের সাথে কিছু ফটোগ্রাফি নিয়ে হাজির হয়েছি। আমি প্রতি সপ্তাহে চেষ্টা করে একটি করে ফটোগ্রাফি পোস্ট শেয়ার করার। এবার ভিন্ন কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করছি। এই ফটোগ্রাফি গুলো আমি বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জায়গা থেকে ক্যাপচার করেছি। যদিও আমি ফটোগ্রাফি তেমন ভালো করতে পারিনা। তবে তাও ফটোগ্রাফি করার চেষ্টা করি। আশা করছি আপনাদের কাছে আমার আজকের ফটোগ্রাফি গুলো ভালো লাগবে। তাহলে চলুন ফটোগ্রাফি গুলো দেখে নেয়া যাক।
প্রথম
প্রথমে আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি পিটুনিয়া ফুলের ফটোগ্রাফি। বর্তমানে প্রায় সব জায়গাতেই পিটুনিয়া ফুল গুলো দেখা যায়। আর এগুলোও বিভিন্ন রঙের হয়ে থাকে। আমি মোটামুটি বেশ কয়েক ধরনের পিটুনিয়া ফুল দেখেছি। এগুলো আস্তে আস্তে পরে শেয়ার করব। আজকে শুধু মাত্র সাদা পিটুনিয়া ফুলের ফটোগ্রাফি শেয়ার করলাম। সাদা রঙের ফুল বরাবরই আমি বেশ পছন্দ করি। এই পিটুনিয়া ফুল গুলো বেশ দারুন লাগছিল দেখতে। সবুজ পাতার ফাঁকে সাদা রঙের ফুল গুলো সত্যি অসাধারণ লাগছিল দেখতে। তাই ফটোগ্রাফি টি করে নিয়েছি।

1000004767-01.jpeg

দ্বিতীয়
ছোট ছোট এই ফুলগুলোও কিন্তু দেখতে খুবই সুন্দর। এগুলোকে চায়না রোজ বলা হয়। এই ফুল গাছগুলো গত বছর আমাদের বারান্দায় ছিল। তবে এখন নেই। ফুলগুলো ছোট হওয়ার কারণে আমার কাছে বেশ ভালো লাগে। এই ফুলগুলো কয়েক রঙের হয়ে থাকে। এখানে হলুদ এবং লাল রঙের ফুল রয়েছে। ছোট ছোট গাছ গুলোতে যখন এরকম ফুল ফোটে তখন সত্যিই খুব ভালো লাগে দেখতে। আর এখানে দুটি রংয়ের ফুল একসাথে হওয়ার কারণে আরো বেশি ভালো লাগছিল দেখতে। আশা করছি আপনাদের কাছে ফটোগ্রাফি টি ভালো লেগেছে।

1000004813-01.jpeg

তৃতীয়
এই ফটোগ্রাফি তে বেশি কিছুদিন আগে ক্যাপচার করা। অর্থাৎ ঈদের দিন ক্যাপচার করেছিলাম। ঈদের দিন বিকেল বেলা বাসার কাছাকাছি রাজবাড়ীর মাঠে ঘুরতে গিয়েছিলাম। সেখানে ছোটখাটো মেলার মতো বসে ছিল। ছোটদের কয়েকটা রাইড ছিল। দুটি ঘোড়াও আনা হয়েছিল। ছোট ছোট বাচ্চারা ঘোড়ায় ওঠে বেশ মজা করেছে। আমরা উঠেছিলাম নাগরদোলা তে। ছোটবেলা থেকেই নাগরদোলা আমার বেশ পছন্দ যদিও একটু ভয় লাগে। তবে কখনো নাগরদোলা দেখলে উঠা মিস করি না। একদম ছোটবেলায় বেশ কয়েকবার উঠেছিলাম। তবে মাঝখানে কয়েক বছর ওঠা হয়নি কারণ নাগরদোলা সামনাসামনি দেখা হয়নি। ঈদের দিন নাগরদোলায় ওঠে বেশ ভালো লেগেছে। এই ফটোগ্রাফি টা নাগরদোলার উপরে থাকা অবস্থায় করেছিলাম। উপর থেকে রঙিন ছাতা গুলো ভালোই লাগছিল দেখতে। এই সবগুলো মূলত খাবারের দোকান ছিল।

1000004303-01.jpeg

চতুর্থ
এই ফটোগ্রাফি টি শীতকালে করা দেখে বুঝতেই পারছেন। শীতকালে অন্যতম সৌন্দর্য হচ্ছে এই গাঁদা ফুল। আমরা যে স্কুলে পড়তাম অর্থাৎ আমাদের হাইস্কুলের পুরো এরিয়াটা শীতকালে এরকম গাঁদা ফুল দিয়ে সাজানো হয়। বড় বড় টবের মধ্যে ফুল গুলো দেখতে বেশ দারুন লাগে। আর এর সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য মাঝে মাঝে যাওয়া হয় সেখানে। তখনই মূলত ফটোগ্রাফি টা ক্যাপচার করেছিলাম। বেশ ভালই লাগছিল টবের মধ্যে এতগুলো ফুল একসাথে দেখে। আর বড় বড় এই টব গুলো মূলত সিমেন্ট দিয়ে তৈরি করা।

1000005597-01.jpeg

পঞ্চম
এটা হচ্ছে ক্যাকটাসের ফটোগ্রাফি। এই ফটোগ্রাফি টা করেছিলাম চট্টগ্রাম আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা থেকে। ক্যাকটাস বরাবরই আমার বেশ পছন্দের। আমি নিজেও বারান্দায় অনেকগুলো ক্যাকটাস গাছ লাগিয়েছি। তবে কোনোটাতেই এখনো ফুল ফোটেনি। কারণ ক্যাকটাসের ফুল অনেক দেরি করে ফোটে। এখানে ক্যাকটাসের লাল ফুল দেখে আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে। প্রথমবারের মতো সামনাসামনি দেখেছিলাম ক্যাকটাসের ফুল। আর একটা টবের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের ক্যাকটাস ছিল। সব মিলিয়ে বেশ দারুন লাগছিল দেখতে তাই ফটোগ্রাফি টা ক্যাপচার করেছিলাম।

IMG-20240402-WA0029.jpg

ষষ্ঠ
এই ফটোগ্রাফিটিও মেলা থেকে করেছিলাম। বাঁশ ও বেত দিয়ে তৈরি করা জিনিসপত্র এগুলো। বিশেষ করে বিভিন্ন ধরনের ঝুড়ি দেখা যাচ্ছিল। হাতের তৈরি জিনিস গুলো কিন্তু ভালই লাগে দেখতে। এই জিনিসগুলো মেলা ছাড়া সচরাচর দেখা যায় না। মেলার কারণে বাঙ্গালীদের অনেক ঐতিহ্য এখনো টিকে রয়েছে। হাতের তৈরি এই ঝুড়িগুলো আমার কাছে সত্যিই অনেক বেশি ভালো লেগেছে। তাই ফটোগ্রাফিটি ক্যাপচার করে নিয়েছি। ঝুড়ি ছাড়াও আরো কিছু জিনিসপত্র ছিল।

1000002963-01.jpeg

সপ্তম
এই ফটোগ্রাফি টা করেছিলাম একটা আর্টিফিশিয়াল ফুলের দোকান থেকে। এই দোকানটার প্রত্যেকটা প্রোডাক্ট আমার অনেক বেশি পছন্দ। ঘর সাজানোর এই জিনিসগুলো দেখলেই কিনতে ইচ্ছে করে। সেদিন মূলত গিয়েছিলাম একটা গিফট কেনার জন্য। গিফট কিনার পাশাপাশি পুরো দোকানের নতুন নতুন প্রোডাক্ট গুলো দেখছিলাম। এই গাছটা দেখে খুবই পছন্দ হয়েছিল। ফটোগ্রাফি টা করেছিলাম মূলত পরে কিনার জন্য। যেন পরে এলে খুঁজতে না হয়। ঘর সাজানোর ক্ষেত্রে এই ধরনের জিনিসগুলো আমি বেশ পছন্দ করি। আর গাছটা সত্যিই খুব সুন্দর লাগছিল দেখতে। বিশেষ করে টব টাও দারুন ছিল

20240104_130138.jpg

ডিভাইস নেম:- Samsung Galaxy A03s

এই ছিল আমার আজকের পোস্ট। আশা করি সকলের কাছে ভালো লেগেছে। ফটোগ্রাফি গুলো কেমন হয়েছে তা অবশ্যই মন্তব্য করে জানাবেন। কোন ধরনের ভুল হলে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।

THANKS FOR WATCHING

FrDSZio5ZCzUamf35asauSgs1tnNGCc8exBrDii52qi3Js1AsXomsXdpf751AiTze5T6yn24ZDrriPQ5zc2XArsrDZBjJbctwBJNaKiLpg...KrgpPU6HriE7FgTVPj8uvxBtjuoGEamTLc8DSHVF6ipcqXSFjPje3YK3eGMrhXcYfw6tK2SwDzUo6hxThfwivyDbtdUAQ2cZ7mDKjHXfbE6PSfXLcM4y6cxW9U.png

2N61tyyncFaFVtpM8rCsJzDgecVMtkz4jpzBsszXjhqan9xBEnshRDSVua5J9tfneqYmTykad6e45JWJ8nD2xQm2GCLhDHXW9g25SxugWCoAi3D22U3571jpHMFrwvchLVQhxhATMitu.gif

ধন্যবাদান্ত
@isratmim


🤍আমার সংক্ষিপ্ত পরিচয়🤍


আমি ইসরাত জাহান মিম। আমি বাংলাদেশের একজন নাগরিক। বাঙালি হিসেবে আমি গর্বিত, কারণ বাংলা আমার অহংকার। আমার গ্রামের বাড়ি নোয়াখালীতে কিন্তু ছোটবেলা থেকে বাবার ব্যবসার কারণে অবস্থান করছি গাজীপুরে। আমি আমার পড়াশুনা এইচ এস সি পর্যন্ত করেছি এবং এখন পরবর্তী পর্যায়ের ভর্তি প্রস্তুতি নিচ্ছি। আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মের "আমার বাংলা ব্লগ" পরিবারের একজন সদস্য এজন্য আমি অনেক উৎসাহিত ও আনন্দিত। আমি বই পড়তে পছন্দ করি, সেই সাথে নতুন নতুন ফটোগ্রাফি করতে ও ইউনিক রেসিপি এবং নতুন নতুন ইউনিক ডাই তৈরি করতে বেশ পছন্দ করি। তবে সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে বিভিন্ন নতুন নতুন জায়গায় ঘুরে বেড়াতে ও প্রকৃতির কাছাকাছি থেকে প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য অবলোকন করতে। আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে যাত্রা শুরু করেছি ২০২০ সালের ১৭ই ডিসেম্বর। স্টিমিট প্ল্যাটফর্মকে আঁকড়ে ধরে ভবিষ্যতে আরো এগিয়ে যেতে চাই এটাই আমার লক্ষ্য।

Comments

Sort byBest