কয়েকটি ফুড ফটোগ্রাফি
19 comments
আসসালামু আলাইকুম
সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি।
অনেকদিন পর আজকের পোস্ট লিখছি। গত কয়েকদিন ধরে আমাদের দেশের পরিস্থিতি নিয়ে আমরা সবাই কমবেশি জানি। ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট চালু করার পরেও অনেক চেষ্টা করেছিলাম পোস্ট লিখতে তবে নেটের স্পিড অনেক কম ছিল। কোনভাবেই পোস্ট লিখতে পারিনি। গতকাল দেখলাম সরকার থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ইন্টারনেটের স্পিড বাড়ানোর জন্য। সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখলাম নেট এখন অনেকটাই ঠিক আছে। যদিও আমাদের দেশের পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক হয়নি পুরোপুরি। ইন্টারনেট ছাড়া কয়েকটা দিন সবারই খারাপ কেটেছে। প্রথম দিকে কারফিউ চলাকালীন সময়ে আমাদের বাসা থেকে কিছুক্ষণ পরপর গুলির সাউন্ড শোনা যেত। টিয়ার শেল গ্যাস মাঝে মাঝে বাসা পর্যন্ত আসতো। যাইহোক, আজকে ফটোগ্রাফি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। ফটোগ্রাফি গুলো বিভিন্ন সময় ক্যাপচার করেছি। আজকে আপনাদের সাথে কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করছি। আশা করছি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে। তাহলে চলুন ফটোগ্রাফি গুলো দেখে আসি।
এইবার রমজানে যখন কনটেস্ট হয়েছিল তখন এই রেসিপিটা তৈরি করেছিলাম। প্রায় চারটার মত রেসিপি তৈরি করেছিলাম কনটেস্টের জন্য। তবে এই রেসিপি টা সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে খেতে। ইফতারে ডিমের চপ কমবেশি সবার খাওয়া হয় তবে এটা একটু ভিন্নভাবে করেছিলাম। ভিতরে মাংসের পুর দেওয়া হয়েছিল। রেসিপিটা দেখতেও খুব লোভনীয় লাগছে। তখন আমি ডেকোরেশন করার আগে বেশ কয়েকটা ফটোগ্রাফি করে নিয়েছি পরে ফুড ফটোগ্রাফি হিসেবে দেওয়ার জন্য।
চটপটি
চটপটি আমার ভীষণ পছন্দের। কয়েকদিন আগেই বাসায় চটপটি তৈরি করেছিলাম। কারফিউর মধ্যে সবাই বাসায় ছিল তাই একদিন আম্মুকে বললাম বাসায় চটপটি তৈরি করতে কারণ বাইরে যাওয়া কোনভাবেই সম্ভব না। আর এমনিতেও এই খাবারের জিনিসগুলো আমরা বেশিরভাগ সময় বাসায় তৈরি করি। সেদিন চটপটি টা বেশ ভালোই লেগেছে খেতে।
চানা চাট
এই রেসিপিটাও রমজানের কনটেস্ট উপলক্ষে তৈরি করেছিলাম। এই খাবারটাও বেশ মজা হয়েছিল আর দেখতেও খুব লোভনীয় লাগছে। এই রেসিপিটা মূলত সিদ্ধ ছোলা বুট দিয়ে তৈরি করা। সিদ্ধ বুট বিভিন্ন ধরনের সালাদ দিয়ে মেখে নিয়েছিলাম। উপরে টক দই, চানাচুর এবং চিলি ফ্লেক্স দিয়ে সাজিয়েছিলাম। টক দই এবং চানাচুর দেওয়ার কারণে অনেক লোভনীয় লাগছিল দেখতে। তাই এই রেসিপিটাও ফটোগ্রাফি করে রেখেছিলাম।
চিংড়ির মালাইকারি
চিংড়ির মালাইকারি আমার বেশ পছন্দের একটা রেসিপি। এই রেসিপিটাও প্রায় সময় আমাদের বাসায় তৈরি করা হয়। চিংড়ি মাছের যেকোনো রেসিপি আমার ভীষণ পছন্দ আর যদি এরকম বড় সাইজের চিংড়ি মাছ দিয়ে মালাইকারি করা হয় তাহলে আরও বেশি ভালো লাগে খেতে। এছাড়াও মালাইকারীর যে ঝোল টুকু থাকে এই ঝোলটা আমার অনেক বেশি ভালো লাগে। এই ফটোগ্রাফি টা অনেক আগেই করেছিলাম।
বেগুন ভর্তা
ভর্তা আমরা কম বেশি সবাই পছন্দ করি খেতে। আর বেগুন ভর্তা বেশ মজার। বেগুন পোড়া দিয়ে এভাবে ভর্তা করলে আরো বেশি সুস্বাদু হয়। এই রেসিপিটাও মাঝেমধ্যেই করা হয় বাসায়। একদিন ভর্তা করার পর কিছুটা ডেকোরেশন করে ফটোগ্রাফি করে রেখেছিলাম। এ ফটোগ্রাফি টা এখন শেয়ার করেছি।
চানাচুর মাখা
মাঝেমধ্যে সন্ধ্যার নাস্তায় এরকম চানাচুর মাখা খেতে ভালোই লাগে। বিশেষ করে ঝাল চানাচুর গুলো বিভিন্ন ধরনের সালাদ দিয়ে মাখলে বেশ মজা হয়। এই রেসিপিটা অবশ্য আমাদের বাসায় তেমন একটা করা হয় না। মাঝেমধ্যে এটা তৈরি করা হয়। তবে খেতে কিন্তু দারুন লাগে। আর দেখতেও খুব লোভনীয় লাগে।
এই ছিল আমার আজকের পোস্ট। আশা করি সকলের কাছে ভালো লেগেছে। ফটোগ্রাফি গুলো কেমন হয়েছে তা অবশ্যই মন্তব্য করে জানাবেন। কোন ধরনের ভুল হলে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
আমি ইসরাত জাহান মিম। আমি বাংলাদেশের একজন নাগরিক। বাঙালি হিসেবে আমি গর্বিত, কারণ বাংলা আমার অহংকার। আমার গ্রামের বাড়ি নোয়াখালীতে কিন্তু ছোটবেলা থেকে বাবার ব্যবসার কারণে ছোটবেলা থেকেই অবস্থান করছি গাজীপুরে। আমি আমার পড়াশুনা এইচ এস সি পর্যন্ত করেছি এবং এখন পরবর্তী পর্যায়ের ভর্তি প্রস্তুতি নিচ্ছি। আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মের "আমার বাংলা ব্লগ" পরিবারের একজন সদস্য এজন্য আমি অনেক উৎসাহিত ও আনন্দিত। আমি বই পড়তে পছন্দ করি, সেই সাথে নতুন নতুন ফটোগ্রাফি করতে ও ইউনিক রেসিপি এবং নতুন নতুন ইউনিক ডাই তৈরি করতে বেশ পছন্দ করি। তবে সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে বিভিন্ন নতুন নতুন জায়গায় ঘুরে বেড়াতে ও প্রকৃতির কাছাকাছি থেকে প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য অবলোকন করতে। আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে যাত্রা শুরু করেছি ২০২০ সালের ১৭ই ডিসেম্বর। স্টিমিট প্ল্যাটফর্মকে আঁকড়ে ধরে ভবিষ্যতে আরো এগিয়ে যেতে চাই এটাই আমার লক্ষ্য।
ডিভাইস নেম:- Samsung Galaxy A03s
ধন্যবাদান্ত
@isratmim
Comments