বিজয় দিবসে টাইগারদের ১ম জয় 🇧🇩
5 comments
কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই ভালো ও সুস্থ্য আছেন। তো সকলের সুস্বাস্থ্য কামনা করে আজকে চলে এলাম আপনাদের সাথে খেলা নিয়ে আলোচনা করার জন্য। আপনারা যারা খেলা প্রেমী মানুষ মানুষ আছেন তারা নিশ্চয় খেলাধুলার খবর রাখেন নিয়মিত! আপনারা হয়তো জানেন যে বাংলাদেশ ওয়েস্ট ইন্ডিজ গিয়েছে খেলার জন্য। ইতোমধ্যে টেস্ট ও ওডিআই শেষ হয়েছে। এখন তিন ম্যাচের টিটোয়েন্টি সিরিজ চলছে! তো দুটি ম্যাচ অলরেডি হয়ে গিয়েছে। মজার ব্যাপার হলো দুটিতেই বাংলাদেশেই জিতেছে। তবে আজকে আমি ১ম টি-টোয়েন্টি ম্যাচ নিয়ে আলোচনা করবো। তারপরে ২য় টি-টোয়েন্টি ম্যাচ নিয়ে আলোচনা করবো।
গত ১৬ই ডিসেম্বর বাংলাদেশ ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের মধ্যকার ১ম টি-টোয়েন্টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। আপনারা সবাই জানেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ টি-টোয়েন্টি খুব ভালো খেলে। তাদের দলে বিখ্যাত সব পাওয়ার হিটার ব্যাটসম্যান রয়েছে। আর বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টিতে আগের থেকে উন্নতি করেছে। একাদশে বেশ কয়েকজন নতুন মুখ দেখা যায়। বলতে গেলে বাংলাদেশের বোলিং লাইনআপ এখন অসাধারণ। টপ রেটেড বোলিং লাইনআপ বলা যায়। তানজিম সাকিব, হাসান মাহমুদ, তাসকিন আহমেদ, নাহিদ রানা, মোস্তাফিজ সবাই আমি মনে করি ওয়ার্ল্ড ক্লাস বোলার। তবে ব্যাটিং পারফর্মেন্স আশানুরূপ হচ্ছে না। ওয়ানডে ম্যাচের সবকটিতে বাংলাদেশ হেরেছে। ইনিংসের শুরুতে টসে জিতে প্রথমে বোলিং করার সিদ্ধান্ত মেয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ! যেহেতু ওয়েস্ট ইন্ডিজ বোলিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তার মানে ভালো একটা স্কোর বাংলাদেশকে করতে হবে। ব্যাটিং এর শুরুতে মাঠে নামে তানজিদ হাসান ও সৌম্য সরকার।
সৌম্য সরকারের সাম্প্রতিক পারফর্মেন্স বেশ ভালো যাচ্ছে। ইনিংসের শুরুটা ভালোই হয়েছিল। তবে দলীয় সংগ্রহ যখন ১৫ রান তখন আখিল হোসেনের বলে বোল্ড আউট হয়ে সাজঘরে ফিরতে হয় তানজিদ হাসানকে। তারপরে মাঠে নামে লিটন। লিটনের পারফর্মেন্স খুবই বাজে যাচ্ছে গত কয়েক ম্যাচ ধরে! লিটন নেমেই ক্যাচ আউট দিয়ে শূন্য রান করে সাজঘরে ফেরে। তারপরে মাঠে আসে আফিফ হোসেন। প্রায় দুবছর পর দলে ডাক পেয়েছে। ভেবেছিলাম হয়তো ভালো একটা ইনিংস দেখবো আফিফের কাছ থেকে। কিন্তু সেই আশা সব জলে গেল। মাত্র ১১ রান করেই সাজঘরে ফেরে। তারপরে মাঠে আসে জাকের আলী। জাকের আলীর টি-টোয়েন্টি এর পারফর্মেন্স বেশ ভালো। মাঠে থাকতে পারলে রান আসে। সৌম্য সরকারও জাকের আলী মিলে একটা পার্টনারশিপ বিল্ড আপ করার চেষ্টা করে। টি-টোয়েন্টিতে একটা বড়সর পার্টনারশিপ হলেই হয়।
সৌম্য সরকার ও জাকের আলী মিলে ৫৭ রানের একটা পার্টনারশিপ গড়ে তোলে। সেই পার্টনারশিপ ভাঙে বাংলাদেশের দলীয় সংগ্রহ যখন ৮৭ রান। জাকের আলী শেফার্ড এর বলে আউট হয়ে সাজঘরে ফেরে। তারপর মাঠে নামে মেহেদী হাসান। মেহেদী হাসান একজন অলরাউন্ডার। ব্যাটিং ও বোলিং দুদিকেই জ্বলে উঠতে পারে। মেহেদী হাসান নামার পরে ব্যক্তিগত ৪৩ রানের চমৎকার একটা ইনিংস খেলে সৌম্য সরকার আউট হয়ে সাজঘরে ফেরে। তারপর মাঠে আসে শামীম হোসেন। অনেকদিন পর দলে ডাক পেয়েছে। শামীম হোসেন ডেথ ওভারে ভালো ব্যাটিং করার সক্ষমতা রাখে। আর সেদিন সেই কাজটিং করেছিল শামীম হোসেন। ১৩ বলে ২৭ রানের একটি চমৎকার ইনিংস উপহার দেয় এবং স্কোর বোর্ডে ফাইটিং স্কোর সংগ্রহ করতে সক্ষম হয়। ২০ ওভার শেষে বাংলাদেশ সংগ্রহ করে ১৪৭ রান।
যেহেতু নিজ মাটিতে খেলছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ তার জন্য আলাদা একটা বেনিফিট তো পাবেই। সে হিসেবে ১৪৭ রান চেস করা ওয়েস্ট ইন্ডিজের জন্য সহজ বলতে গেলে। কারণ দলে সব পাওয়ার হিটার ব্যাটার রয়েছে। একজন দাঁড়াতে পারলেই খেলার চিত্র পাল্টে দিতে পারে। তবে বাংলাদেশের বোলাররাও দারুন ছন্দে রয়েছে! টপ ক্লাস চারজন পেইসার রয়েছে। সে হিসেবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ বাংলাদেশকে একটু সমীহ করতেই হবে। ব্যাটিং এ নামে ব্র্যান্ডন কিং ও জনসন চার্লস। দুজনই ভালো ক্রিকেট খেলে। ওভার শুরুটাই দারুণ করে হাসান মাহমুদ। তারপর বোলিং এ আসে তাসকিন আহমেদ। তাসকিনের আউট হয়ে সাজঘরে ফেরে কিং। তারপর মাঠে আসে নিকেলাস পুরান। পুরান মাঠে থাকলে একাই খেলা জিতিয়ে উঠবে। সেজন্য একটু ভয় তো ছিলই। তবে দাড়াঁনোর আগেই মেহেদী হাসানের বলে স্ট্যাম্প আউট হয়ে সাজঘরে ফেরে! তারপর মাঠে আসে রসটন চেইস। চেইস মাঠে নামার পর চার্লস একটু মারমুখী ব্যাটিং করতে থাকে। কিন্তু চার্লসের ইনিংস থামে দলীয় সংগ্রহ যখন ৩৩ রান। চার্লস আউট হওয়ার পর মাঠে নামে ফ্লেটচার! ফ্লেটচার ও ভালো ক্রিকেট খেলে। কিন্তু মেহেদী হাসানের বলে শূন্য রান করে মাঠ ছাড়ে। খেলা তখন অনেকটাই বাংলাদেশের হাতে! তবে ভয়ের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল ক্যাপ্টেন পাওয়েল! শেষ অবধি সবকটি উইকেট হারিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১৪০ রান সংগ্রহ করতে সমর্থ হয়। মেহেদী হাসান তুলে নিয়েছিল চারটি উইকেট। ১৬ই ডিসেম্বর টাইগাররা বিজয় দিয়েই উদযাপন করে।
10% beneficary for @shyfox ❤️
ধন্যবাদ সবাইকে
আমি কে?
আমার নাম হায়দার ইমতিয়াজ উদ্দিন রাকিব। সবাই আমাকে ইমতিয়াজ নামেই চিনে। পেশায় আমি একজন ছাত্র। বর্তমানে ডুয়েটে অধ্যয়নরত আছি। পাশাপাশি লেখালেখি করে আসছি গত তিন বছর ধরে। ভালো লাগার জায়গা হলো নিজের অনুভূতি শেয়ার করা, আর সেটা আমার বাংলা ব্লগের মাধ্যমেই সম্ভব হয়েছে। নিজেকে সবসময় সাধারণ মনে করি। অন্যের মতামতকে গুরুত্ব দেয় এবং তা মেনে চলার চেষ্টা করি। বাংলা ভাষায় নিজের অভিমত প্রকাশ করতে ভালো লাগে। তাছাড়া ফটোগ্রাফি,কবিতা লেখা,গল্প লেখা ,রিভিউ,ডাই এবং আর্ট করতে ভালো লাগে। অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে ভালো লাগে। বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করি। ভবিষ্যতে প্রিয় মাতৃভূমির জন্য কিছু করতে চাই।
Comments