বিয়ে বাড়ি নিয়ে মজার গল্প।
4 comments
হ্যালো সবাইকে
কেমন আছেন সবাই ?আশা করি ভাল আছেন। আমিও ভাল আছি আল্লাহর রহমতে। আজকে আরও একটি নতুন পোস্ট নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি। বিয়ে বাড়ি নিয়ে মজার গল্প। আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব। আশা করি আপনাদের কাছে আমার এই পোস্টটি ভালো লাগবে।
আজকে আরো একটি নতুন গল্প নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হলাম। গল্প পড়তে এবং গল্প লিখতে দুটোই আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে। তবে ভূতের গল্প পড়তে সব থেকে বেশি ভালো লাগে কারণ সে ধরনের গল্প গুলোর মধ্যে অনেক বেশি কৌতূহল জাগে। তাছাড়া সবাই গল্প শেয়ার করে সেই গল্পগুলো পড়েও খুবই ভালো লাগে। আজকে আমি নতুন আরেকটি গল্প নিয়ে হাজির হয়েছি। আমার আজকের গল্পটি হচ্ছে বিয়ে বাড়ি নিয়ে মজার গল্প। আজকে আমি আপনাদের আমাদের এই গ্রামের একটি ঘটনা আপনাদের মাঝে শেয়ার করব। আত্মীয়-স্বজনের বাড়ি আত্মীয়-স্বজনের মধ্যে অনেক অনেক মজার ঘটনা ঘটে থাকে সেগুলো অনেক বেশি মজার হাসির হয়ে থাকে সেরকম একটি গল্প আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে এসেছি।
গ্রামের মধ্যে যখন একই দিনে একই সময় দুটো বিয়ে একসাথে হয় তখন যা হয় আরকি। অনেকদিন আগের কথা আমাদের গ্রামে তিনি আলাদা আলাদা দুটো বাড়িতে বিয়ে হচ্ছিল। দুই বাড়িতে মেয়ের বিয়ে হচ্ছিল। দুপুরবেলা ছেলেপক্ষ আসবে বিয়ে পড়িয়ে নিয়ে যাবে এবং খাওয়া দাওয়া করবে এরকম হয়ে থাকি সবসময়। একটা পরিবার ছিল মধ্যবিত্ত একটা পরিবার। কোনরকম কষ্ট করে টাকার জোগাড় করে মেয়ে বিয়ে দিচ্ছিল। আরেকটা পরিবারের মোটামুটি টাকা পয়সা ছিল। তারা ধুমধাম করে মেয়ের বিয়ে দিচ্ছিল। যাদের টাকা পয়সা ছিল তিনি আবার কোন এক সময় গ্রামের মেম্বার ছিলেন। সেই হিসেবে তো তার গ্রামের নাম ডাক রয়েছে। তিনি সেভাবেই মেয়ের বিয়ে দিচ্ছিল না ধুমধাম করে।
যথাক্রমে বিয়ের কার্যক্রমে চলতে থাকলেও দুই দিন ধরে। যত রকম সমস্যা শুরু হলো বিয়ের দিন দুপুর বেলা। দুই বাড়ির বর পক্ষ থেকে যখন লোকজন আসতে শুরু করল তখনই হল যত রকম সমস্যা শুরু। স্বাভাবিকভাবে দুটো বাড়িতে বিয়ে হয়েছে আর কারো বাড়িতে গ্রামে ঢুকতে আগে পড়বি কারো বাড়ি পরে। এখন সমস্যা হল বরপক্ষের যে লোকজন ছিল গ্রামবাসীবা বাড়ির আশেপাশে লোকজন তাদেরকে দাওয়াত দেওয়া হয়েছিল। তারা যখন আসছেন তারা তো আর মেয়ের বাড়ির ও লোকজন চিনে না। ড্রাইভার ছিলেন গাড়ির প্রথম অবস্থায় যে লোকজন গুলো এসেছিলেন। তারা কি করলেন গ্রামে ঢোকার সময় যেই বিয়ে বাড়িটা প্রথমেই পড়ে সেই বাড়িতে ঢুকে পড়লেন।
এবং সেখানে খাওয়া-দাওয়া শুরু করলেন। এদিকে নতুন বিয়ে হচ্ছে মেয়ের বাড়ির লোকজনই তো সেরকম ভাবে কাউকে চেনে না। তারাও ভেবেছিলেন তাদের মেয়ে শ্বশুরবাড়ি থেকে লোকজনের সাথে তারপর সেই ভাবে আপ্যায়ন করছিল। এদিকে দুপক্ষের এত লোকজন দেখে পক্ষের প্রথম বিয়ে বাড়ির মেয়ের মা বাবা তো অবস্থানে খারাপ যে এত লোকজন কি করে হয়ে গেল। পরবর্তীতে মেয়ের বাবা এরকম লোকজন বাড়তে থাকার কারণে খাবার শেষ হয়ে যাওয়ার কারণে এ ব্যাপারে ছেলের বাড়ির লোকদের সাথে গিয়ে কথা বলাতে জানতে পার যে পাশের বাড়িতে যে বিয়ে হচ্ছে সেই বাড়ির লোকজনের বাড়িতে এসে খাওয়া দাওয়া করেছেন।
তবে যাদের মেয়ে তাদের মোটামুটি অবস্থা ভালো ছিল।তাদের বাড়িতেই সবাই মিলে খাওয়া দাওয়া শুরু করল। এদিকে যখন খাওয়া দাওয়া কম পড়েছে সবকিছু যখন জানাৎছিল বাড়িতে খাওয়া দাওয়া করানোর জন্য যে খাবার গুলো ছিল ।সেগুলোর এখানে এনে দিয়ে দেওয়া হয় কারণ তাদের বাড়ির জামাইরাও সেখানে খেয়ে ফেলেছিল। সেদিনতো পুরো গ্রাম জুড়ে হই হই পড়ে গিয়েছিল এই মজার কান্ড দেখে। এক বিয়ে বাড়ির লোকজন অন্য
বাড়িতে গিয়ে খাওয়া দাওয়া। আসলে একই গ্রামে একই দিনে দুটো বিয়ে হলে যেটা হয় আর কি। এই ছিল আমার আজকের বিয়ে বাড়ি নিয়ে মজার একটি গল্প। আশা করি আপনাদের কাছে আমার আজকের এই গল্পটি ভালো লাগবে।
শ্রেণী | জেনারেল |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @fasoniya |
ডিভাইস | Vivo Y15s |
লোকেশন | বাংলাদেশ |
আমার পরিচয়
আমার নাম ফারজানা আক্তার সোনিয়া। আমি বাংলাদেশী।আমি বর্তমানে লেখাপড়া করি আমি একজন স্টুডেন্ট। আমি আর্ট করতে ভালোবাসি আর যখনই সময় পাই তখনই আর্ট করি।আমি ফটোগ্রাফি করতে খুবই ভালোবাসি । যখনই কোথাও খুব সুন্দর কিছু আমার চোখে পড়ে আমি ফটোগ্রাফি করে ফেলি। এছাড়াও আমি ক্রাফট তৈরি করে থাকি । বিভিন্ন ধরনের রান্না করে থাকি রান্না করতে অনেক পছন্দ করি। আমি আমার পরিবারের সবচেয়ে বড় মেয়ে । আমার ছোট ছোট দুইটা ভাই আছে। আমার অনেক স্বপ্ন রয়েছে যেগুলো স্টিমিট এ কাজ করে পূরণ করতে চাই।
Comments