জেনারেল রাইটিংঃ শীতকালীন মিষ্টি রোদ
5 comments
আজ - বুধবার
সবাইকে সুস্বাগতম জানিয়ে আজকে আমি আবার নতুন একটি পোস্ট আপনাদের মাঝে শেয়ার করছি। আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তা অশেষ রহমতে। আপনারা সবাই ভাল আছেন। শীতকালের অনেক মজার মজার অনেক এক্সপেরিয়েন্স আমাদের সঙ্গে হয়ে থাকে তবে আজকে আমি আপনাদের মাঝে আগুন পোহানো নিয়ে কিছু মজার ঘটনা শেয়ার করার চেষ্টা করব। শীতকালে আগুন পোহানো এই কথাটা শুনলেই মনে হয় যে অমৃত একটা অনুভূতি আমাদের মাঝে ভেসে ওঠে। কারণ আর শীতকালে যখন হাত পা ঠান্ডা এবং শীতল হয়ে যায় থর থর করে কাঁপতে থাকে তখন আমাদের একমাত্র ভালোবাসার আশ্রয় হচ্ছে উষ্ণ আগুন কখনো। আমাদের গ্রামাঞ্চলে তো এই দৃশ্যটা প্রায়ই দেখা যায় বিশেষ করে যখন একটু শীত পড়া শুরু করে তখন যেই মুরুব্বী অথবা মানুষেরা রয়েছে |তখন তারা একসঙ্গে বসে গল্প এবং আড্ডা দেয় সে সাথে তারা ঘর পুড়িয়ে আগুন পোহায়। এবং ছোটবেলা থেকে আমরা ওখানে গিয়ে ওনাদের গল্প গুলো শুনি এবং আগুন পোহাই। এই অনুভূতিটা ছোটবেলা থেকে আমার অনেক বেশি ভালো লাগে।
এইতো বিগত তিন থেকে চার বছর আগে এই দৃশ্যটা অনেক বেশি চোখের সামনে ভেসে উঠতো তবে বর্তমানে এই আগুন পোহানোর দৃশ্যটা খুব কমই ভেসে ওঠে কারণ এখন বর্তমানে দ্রব্যমূলের উর্ধ্বগতির কারণে সব কিছুর জিনিসের দাম বাড়ছে যেমন আগে তো মানুষ খড়গুলো ফেলে দিত তবে বর্তমানে এগুলো বিক্রয় করা হয়। যার কারণে এগুলো পুড়িয়ে আগুন পোহানো। তবে আমার মনে আছে যখন আমি ছোট ছিলাম শীতের ছুটিতে যখন মামার বাড়িতে বেড়াতে যেতাম তখন আমাদের মামাদের ওদিকে অনেক খর রাস্তায় পড়ে থাকত বিশেষ করে হলুদের খর। আমরা সবাই যে জানি যে হলুদের নিচের অংশগুলো আমরা মসলা হিসেবে ব্যবহার করে থাকি কিন্তু হলুদ গাছ কিন্তু প্রায়ই এক থেকে দেড় ফুট লম্বা হয়ে থাকে এবং ওই গাছগুলো যখন শুকিয়ে যায় তখন সেগুলোকে খড় হিসাবে ব্যবহার করা হয়। তখন আ হিসাব ব্যবহার করার জন্য সবাই যখন গুলো এক জায়গায় জড়ো করে রাস্তার পাশে রেখে দিত তখন মাঝেমধ্যে আমরা বন্ধুরা মিলে ওখানে ওগুলো পুড়িয়ে আগুন পোহাতাম।
যেটা খুবই দারুণ একটা অনুভূতি ছিল। আর তখন ওগুলো অনেক বেশি সহজলভ্য ছিল তাই আর কেউ কিছু বলতো না যদি একজন আগুন ধরাইতো তখন আশপাশের যত মানুষগুলো রয়েছে সবাই একসঙ্গে এসে এখন গল্প গুজব করত। বর্তমান ঠান্ডা আমাদের এই অঞ্চলগুলোতে অনেক বেশি পড়ছে এইটুকু আসার জন্য তেমন কিছু দেখাই যায় না। আচ্ছা আপনাদের শীতের সময় মিষ্টি রোদ কেমন লাগে এই মিষ্টি রোদ সম্পর্কে ক্লাস ৩ এ মনে হয় একটা গল্প পড়েছিলাম যে দাদু মিষ্টি রোদে বসে খবর কাগজ পড়ছে এবং ছোটদের গল্প শোনাচ্ছে সেই কথাটা আজকে আবারো মনে পড়ে গেল। আসলে ছোটবেলা সময় গুলো সত্যিই গোল্ডেন সময় ছিল তখন কোন কিছু চিন্তা ছিল না যেটা মনে আসছে সেটাই করতাম আর সবচেয়ে বেশি খুশি হতাম ছুটির ঘন্টাতে। যখন তিন থেকে চার ঘন্টা ক্লাস করার পরে ছুটির ঘন্টা দিত তখন ধরে বাড়ি চলে আসতাম এবং তখন আমরা স্বাধীন সবাই মিলে বন্ধুরা শীতের সময় খেজুরের রস পাতা নিয়ে পাল্লাপাল্লি করতাম।
আসলে শীতের সময় আমাদের এদিকে খেজুরের রস অনেক বেশি হয়ে থাকে। যখন ভোর বেলায় গাছীরা এসে খেজুরের রস গাছ থেকে পেড়ে নিয়ে যেত তখন আমরা ওই গাছে উঠে বোতল পেতে রাখতাম এবং ওই বোতলে কয়েক ঘন্টা পরে রসে একেবারে পরিপূর্ণ হয়ে যেত তখন আমরা ওই বোতলের রসগুলো বাড়িতে নিয়ে এসে ফুটিয়ে নই টানা অথবা খেজুরের গুড় তৈরি করতাম এবং এই খেজুরের টাটকা গুড় সকাল বেলায় রুটি দিয়ে খেতে অসাধারণ লাগতো। এছাড়াও এর পাশাপাশি খেজুরের রসের খাজা তৈরি করা যেত যেগুলো শুকনো মুড়ি দিয়ে খেতেও বেশ মজাদার লাগতো। আসলে শীতকাল মানেই এই সুন্দর সুন্দর মুহূর্ত গুলো দিয়ে সাজানো আর এই শীতকালেও মোটামুটি বেশ মজা করলাম। আশা করি সামনের দিনগুলোতেও অনেক নতুন নতুন এক্সপেন্স আমার সামনে আসবে এবং সেগুলো আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে পারব। তো আজকের পোস্টটা কেমন লেগেছে আশা করি কমেন্টে জানিয়ে যাবেন এবং আপনাদের যদি এমন কোন এক্সপেরিয়েন্স লাইফে থেকে থাকে সেক্ষেত্রে অবশ্যই শেয়ার করবেন।
ধন্যবাদ আপনাদের সবাইকে এতক্ষণ বাসা থেকে আমার ছোট্ট এই বক্তব্য উপভোগ করার জন্য আবারও আপনাদের মাঝে নতুন কোন পোস্টটি আমি হাজির হব। তখন সবাই সুস্থ থাকুন ভালো থাকুন আল্লাহ হাফেজ।
ক্রোম | ব্লগার | @emonv |
---|---|---|
১ | ডিভাইস | Tecno camon 20 |
আমার নাম মোঃ ইউনুস আলী ইমন। বর্তমানে আমি সিরাজগঞ্জ মৎস ইনস্টিটিউট এর একজন ছাত্র হিসেবে পড়াশোনা করছি। এছাড়া পরিচয় দেওয়ার মতো এখনো কিছু করে উঠতে পারেনি তবে নিজের ব্যক্তিত্ব এবং ক্যারিয়ারের উপরে কাজ চলমান......। আমি নিজেকে ভেঙে চুড়ে নতুন করে আবিষ্কার করতে অনেক পছন্দ করি এবং আমি মানুষকে সাহায্য করতে অনেক ভালোবাসি। আমি প্রায়শই নিজেকে আবিস্কার করি। কেননা এটা আমার কথায় এবং লিখাতে নতুন স্বাদ যুক্ত করে, যার ফলে আমি নিজের সবথেকে ভালো টুকু আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করতে পারি। আমি প্রতিদিন একবার নিজের সাথে কথা বলি, কারণ এটা আমার নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস আরো বাড়িয়ে দেয়। আমি ভ্রমণ করতে এবং ফটোগ্রাফি করতে অনেক পছন্দ করি। আমি প্রতিনিয়ত নতুন ,নতুন মানুষদের সাথে মিশে তাদের জীবনের অভিজ্ঞতার ভালোটুকু আমার জীবনে বাস্তবায়িত করতে পছন্দ করি। আপনাকে স্বাগতম আমার সম্পর্কে জানতে আগ্রহী হওয়ার জন্য। ভালোবাসা রইলো অবিরাম সবাইকে 💝।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
SET @rme as your proxy
Comments