গ্রামীন প্রকৃতি!!
6 comments
আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
আশাকরি সবাই ভালো আছেন। আমি ভালো আছি। দিনগুলো কেমন জানি অদ্ভুতভাবে কেটে যাচ্ছে। কোন রকম নতুন কিছু নেই একেবারে সাদামাটা ভাবে দিনগুলো কেটে যাচ্ছে। একটা একঘেয়েমি সৃষ্টি হচ্ছে প্রতিনিয়ত। এটা অনেক টা বিরক্তিকর এবং অসহনীয়। কিন্তু কিছু করার নেই আপাতত এই পরিস্থিতিতেই দিনগুলো অতিবাহিত করতে হবে। মানুষের জীবন খুবই অদ্ভুত। আমাদের চাওয়া এবং পাওয়ার মধ্যে যে ব্যবধান এটাই আমাদের অসুখী হওয়ার প্রকৃত কারণ। এগুলো থেকে কীভাবে বের হওয়া যায় সেটা আমারও অজানা। তবে একটা উপায় আছে। যদিও এই উপায় টা একটু অদ্ভুত অধিকাংশ মানুষ এটা করতে একটু দ্বিধাগ্রস্ত হবে। বেশ কিছুদিনের জন্য সবকিছু ছেড়ে দিয়ে একেবারে একা একা কোথাও চলে যান। সম্ভব হলে প্রকৃতির মাঝে।
যেখানে মোবাইল স্যোসাল মিডিয়ার কোন অস্তিত্ব থাকবে না। সন্ধ্যা হলেই ঝিঝিপোকার ডাক শোনা যাবে যানবাহনের শব্দ না। যেখানে গভীর রাত পযর্ন্ত জেগে থাকা লাগবে না। যাইহোক কথাগুলো আমি আমার ফিলোসফি থেকেই বলে ফেললাম। আমার যখন খুবই খারাপ লাগে চারিদিকের সবকিছু অসহনীয় মনে হয়। তখন এইরকম কিছু আমি চিন্তা করি। কিন্তু কখনো সবকিছু ছেড়ে দিয়ে বেশ কিছুদিনের জন্য এইরকম বিরতি নিতে পারব কীনা সেটা জানি না। আজ আমি আপনাদের সাথে একেবারে গ্রামীণ পরিবেশের কিছু দারুণ ফটোগ্রাফি শেয়ার করে নিব। ফটোগ্রাফি গুলো খুবই সুন্দর। গ্রামের সরু পিচঢালা ভাঙা রাস্তা দুপাশে আম গাছ। পাশেই বিশাল মাঠ। এবং উপরে সুন্দর নীল আকাশ। এমন প্রাকৃতিক গ্রামীণ দৃশ্য মনকে একেবারে প্রফুল্ল একেবারে মুক্ত করে দেয়।
পুরাতন ফোনটা থেকে একেবারে সব ডাটা ডিলিট করে দিব। সেজন্য ঐ ফোন থেকে সব ছবি আমার বতর্মান ফোনে নিচ্ছিলাম। এমন সময় কিছু ছবি নজরে আসে। ছবিগুলো বেশ কয়েক বছর আগের। এবং ছবিগুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করা হয়নি। তাই যেমন ভাবনা তেমন কাজ। ভাবলাম যাই এই ছবিগুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করে নিব। তবে পোস্ট টা হবে দুই পর্বে আজ তার প্রথম পর্ব। ঐসময় লোডশেডিং চলছিল। তো এক শরৎ এর বিকেলে আমি এবং আমার বন্ধু লিখন বাইকে ঘুরতে বের হলাম। আমরা শহর থেকে বের হয়ে গ্রামের রাস্তা দিয়ে বাইকে চালিয়ে যাচ্ছি। লিখন বাইক চালাচ্ছে এবং প্রতিবারের মতো আমি পেছনে বসে আছি। গ্রামীণ ঐ পরিবেশ টা এতো সুন্দর লাগছিল আমি ফোন বের করে ফটোগ্রাফি শুরু করি।
ঐদিন আশ্চর্যজনক ভাবে আমি যতগুলো ফটোগ্রাফি ধারণ করেছিলাম সবগুলোই বেশ সুন্দর এসেছিল। এর মূল কারণ ছিল ঐদিনের পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন পরিবেশ এবং ভালো ফোন। গ্রামের রাস্তার একটা দিক হলো রাস্তা গুলো বেশ আকাবাঁকা হয়ে থাকে। এবং আমাদের দেশে এই রাস্তা গুলো তৈরির সময় খুবই পলিটিকস হয়। এইজন্য রাস্তা টা নির্মাণ হওয়ার কিছুদিন পরেই ভাঙতে শুরু করে। বলা বাহুল্য এটাও তার ব্যতিক্রম ছিল না। রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় একটু সাবধানে যাওয়া লাগছিল আমাদের। মাঝে মাঝে আমার ক্লিক করা ছবিগুলো এলোমেলো হয়ে যাচ্ছিল। কথাগুলো মূহুর্ত্তের মধ্যে যেন আমার মনে পড়ে গেল যখন এই ছবিগুলো দেখলাম।
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
------ | ------ |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @emon42 |
ডিভাইস | Redmi note 10 Pro |
লোকেশন | কুমারখালী, কুষ্টিয়া |
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।
Comments