ক্রিয়েটিভ রাইটিং।। চোখের সামনে একজন মৎস্য চাষীর সব স্বপ্ন ভেঙে যাওয়ার গল্প।।
3 comments
আসসালামু আলাইকুম/আদাব আমার বাংলা ব্লগ স্টিমেট কমিউনিটির বন্ধু গণ আপনারা সবাই কেমন আছেন? আমি @biplob89 বাংলাদেশ থেকে বলছি আজ (১০/১১ /২০২৪) রোজ: রবিবার ।
💞শুভ বিকেল💞
প্রতিদিনের ন্যায় আজকে আবারো আমি আপনাদের মাঝে আরো নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে সকাল থেকে সময়টা ভালো কাটলো দুপুর থেকে অনেক দুঃখের সাথে সময় পার করছি।
আমি আজকে কি বিষয়ে আপনাদের মাঝে পোস্ট শেয়ার করতে যাচ্ছে তাই ইতিমধ্যে আপনারা টাইটেল দেখে বুঝতে পেরেছেন। এইতো কয়েকটা দিন আগে আমার এক বড় ভাই তিনি মাছ চাষে অনেক ভালো একজন মৎস্য চাষী। তাছাড়া আমাদের এলাকায় অনেক বিপুল পরিমাণে মাছ চাষ করা হয়। গ্রামের প্রত্যেকটা মানুষের নিজস্ব একটি দুইটি আরো অনেকগুলো পুকুর রয়েছে। তবে আবার চোখে দেখা এই তো কয়েকদিন আগের ঘটনা। আমার এক ভাই তিনি অনেক ভালো একজন মৎস্য চাষী। তাছাড়া আমি সেই ছোটবেলা থেকেই দেখে আসছে তেড়ে মাছ চাষের খুব ভালো উদ্যোক্তা। তার নিজস্ব ৩০ বিঘা জমি শুধু পুকুর রয়েছে। এইতো কয়েকদিন আগে একটা বিষয়ে আমাকে খুব গভীরভাবে ভাবিয়েছিল। ওই ভাই তিনি অনেক ভালো মানের মাছ চাষ করে থাকে। আসলে গ্রামের প্রতিটা মানুষ অনেকেই আছে যারা মাছ চাষ করে তারা সবকিছু মাছের উপর নির্ভর করে। কেননা মাছ চাষ করতে হলে যেমন খরচ রয়েছে ঠিক তেমনি কিছুটা মুনাফা পাওয়া যায়। সবশেষে যাতে কিছু পুঁজি থাকে সেই আশায় অনেকে মাছ চাষ করে। ঠিক তেমনি আমার ভাই ও মাছ চাষ করেছিল। এতে করে সে মনে করেছিল বিক্রি করে সেই অনেক ঋণ থেকে মুক্ত হবে। শুধু তাই নয় মাছ চাষ করতে হলে অনেকেই বাকি করে খাবার ক্রয় করে মাছকে খাওয়ায়। পরিশেষে মাছ বিক্রি করেছে টাকা পরিশোধ করে এবং কিছু টাকা লাভ খেতে জমা হয় এভাবেই খুব সুন্দরভাবে জীবন যাপন চলে। আর তা যদি নিমিষেই শেষ হয়ে যায় সে দুঃখ তো বলে শেষ করা যায় না। এইতো কিছুদিন আগে আমার ভাইয়ের যে পুকুর হয়েছিল তাতে আনুমানিক যা মাস ছিল বড় আকারের পুকুর। সেখানে আনুমানিক ধরা যায় ত্রিশ লক্ষ টাকার মাছ ছিল। পুকুরটি অনেক বড় তাই এত টাকার মাছ এই পুকুরে ছিল। আর আমার ভাইয়ের স্বপ্ন ছিল সে এ মাছগুলো বিক্রি করে যে কয়টাকার ঋণ আছে সেগুলো পরিশোধ করবে এবং বাকি টাকা দিয়ে আরো ভালোভাবে মাছ চাষ করবে। কিন্তু তার আর হলো না। আসলে আজও আমাদের সমাজে অনেক মানুষ রয়েছে যারা অন্যের ভালো চায় না। এমনকি অন্যকে এমন ভাবে ক্ষতি করে যাতে সে আর উঠে দাড়াতে না পারে। এই তো কিছুদিন আগে সকাল হলেই ভাইয়া উপরে মাছ দেখতে চাই খুব সকালে। সেই দিন গিয়ে দেখতে পেল পুকুরে মাছ মরে পড়া কুকুর সাদা হয়ে গেছে। এমনটা দেখা মাত্রই সে মাথা ঘুরে ঠাস করে পড়ে যায়। আসলে পুকুরে মাছ চাষ করা হয়েছিল তা দেখলে মনে হবে পুকুরে মাছ সাজানো রয়েছে বুঝতেই পারছেন ৩০ লক্ষ টাকার মাছ তাহলে বিষয়টা একটু ভালোভাবে ভেবে দেখলে কারোর মাথায় ওই সময় ঠিক থাকবে না। আসলে সবাই অনেক আশা করে মাছ চাষ করে সেই আশা যদি নিবি সেই ভেঙ্গে যায় তাহলে তা থেকে উঠে দাঁড়ানো অনেক কষ্টকর হয়ে যায়। পরে অনেক পরীক্ষা করার মাধ্যমে দেখা গেল পুকুরে কেউ শয়তানে এবং দুশমনি করে বিষ দিয়েছে। আসলে মানুষ যে এতটা ক্ষতি করবে তা সত্যিই অকল্পনীয়। এরপরে দেখলাম গ্রামের মধ্যে তোলপাড় হয়ে গেল যে পুকুরে সব মাছ মরে যাচ্ছে সবাই ছুটে আসো। তবে আমি আমার গ্রামের মানুষের ব্যবহার দেখে খুবই ভালো লাগে কেননা তারা বিপদে-আপদে খুব দ্রুত নিঃস্বার্থভাবে এগিয়ে আসে। এভাবে সকাল হতে না হতেই চারিদিকে ফোন দেওয়া শুরু হলো এবং মাছ ধরে বিক্রয় করার জন্য তোলপাড় বেঁধে গেল কেননা মাছগুলো কেবল মরতে শুরু করেছে তাই যেটুকু দামে বিক্রি হবে সেটুকুই কিছুটা হলেও সেই ক্ষতি থেকে একটু বাঁচা যাবে। আসলেই এ যেন বেঁচে থেকে মরে যাওয়া। কোন না ৩০ লক্ষ টাকার মাছ সব মরে সাদা এমন বিষয়টা যদি কেউ চোখে সামনে দেখা তাহলে সে সেটা বুঝতে পারবে তখনকার পরিস্থিতি। আসলে বিষয়টা আমি দেখে হতভম্ব হয়ে গিয়েছিলাম এবং আমার মনে হয়েছিল আমি যেন স্টক করবো। আসলে যেই মাছের দাম ৩০০ টাকা সেই মাছ এই ক্ষতির জন্য বিক্রি হলে ১০০ টাকা এতে করে কি আর সেই ক্ষতি পোষানো যায় ?কখনোই সম্ভব না। এভাবে আমি দেখতে পেলাম মুহূর্তের মধ্যে অনেকগুলো গাড়ি রাস্তায় এসে হাজির হলো এবং একে একে মাছ ধরে গাড়ি লোড দেয়া হলো। উপরের ছবি দেখে লক্ষ্য করলে আপনারা দেখতে পাবেন অনেকগুলো মানুষ গাড়ির কাছে দাঁড়িয়ে সবাই একদম হতভম্ব যে এ কেমন ক্ষতি এটা কে করল। আজ থেকে দুই বছর আগে আমাদেরও ঠিক এমন হয়েছিল।
আসলে পুকুর পাড়ের দৃশ্যগুলো যদি আমি ক্যামেরাবন্দি করতাম তাহলে আপনারা দেখে একদম হতাশ হয়ে যেতেন এমনকি হতভম্ব হয়ে যেতেন। আসলে ওই পরিস্থিতিতে ছবি তোলার কথা আমার মাথায় আসেনি। পুকুরপাড় থেকে যখন রাস্তায় আসলাম তখন দেখি অনেকগুলো গাড়ি তাই ছবি ধারণ করার একটু সুযোগ আমার হয়েছিল। অবশেষে আপনারা দেখতে পাচ্ছেন একের পর এক হাড়ি মাথায় করে নিয়ে আসছে এবং গাড়ি লোড দিচ্ছে। এভাবে ঐদিন ৪০ জন মানুষ শুধু হাঁড়িতে মাছ বয়ে গাড়ি লোড করেছিল। এমনকি পুকুর পাড়ে এতগুলো মানুষ ছিল তা বলে বোঝানো সম্ভব নয়।। কেননা গ্রামের মানুষ তো সেখানে সবাই গিয়েছিল সেই সাথে বাইরের থেকে অনেকগুলো মানুষ এসেছিল যে এত বড় পুকুরের মাছ কে মেরে দিল আর কতটা লোকসান হল। চোখের সামনে এমন দৃশ্য দেখে সত্যিই আবার বুক ফেটে যাচ্ছিল। আসলে এভাবেই মানুষের স্বপ্নগুলো নিমিষেই মুহূর্তের মধ্যে শেষ হয়ে যায়। তবে যারা এই স্বপ্নগুলোকে ভেঙে দেয় তারা কি আদিতেও তাদের স্বপ্ন পূরণ করতে পারে? আসলে যারা এমন অকর্ম কাজ করে থাকে আমার মনে হয় তারা কোনদিন সুখ বলে জিনিসটা পাই না। কেননা মনে রাখতে হবে পরের চালে ঢালা মারলে নিজের চালেও পরে। তা শুধু কিছু সময়ের ব্যবধানে।
আজ এখানেই শেষ করলাম পরবর্তীতে আরো নতুন কোনো পোস্ট শেয়ার করবো ইনশাআল্লাহ।
টেবিল ০১ | টেবিল ০২ |
---|---|
ডিভাইস | OPPO A15 |
পোস্ট তৈরি | @biplob89 |
Comments