ভ্রমণ পোস্ট: //শ্যামপুর টু তিন বিঘা করিডোর ভ্রমণ ১ম পর্ব//
4 comments
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম
আসসালামুয়ালাইকুম এবং হিন্দু ভাই ও বোনদের প্রতি আমার আদাব। আমার বাংলা ব্লগের আপনারা সবাই কেমন আছেন, আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে এবং আপনাদের দোয়ায় আলহামদুলিল্লাহ অনেক ভালো আছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে ভ্রমণ পোস্ট শেয়ার করবো শ্যামপুর টু তিন বিঘা করিডোর ভ্রমণ। আমি সব সময় নতুন কিছু শেয়ার করার চেষ্টা করি। আসলে আপনাদের মাঝে নতুন কিছু শেয়ার করতে পারলে আমার অনেক বেশি ভালো লাগে। আশা করি আমার ব্লগটি আপনাদের ভালো লাগবে। আমার ব্লগটি যদি আপনাদের কাছে একটুও ভালো লাগে তাহলে আপনারা আমাকে লাইক,কমেন্ট করে উৎসাহিত করবেন। তাহলে চলুন এবার শুরু করা যাক।
ঐদিন রাতে আমি গ্রুপে মেসেজ দিলাম যে আমরা ট্রেনে করে তিন বিঘা করিডোর ঘুরতে যাইতে চাইতেছি তোরা কে কে যাবি একটু রেসপন্স কর। তারপর অনেকেই বলল যে আমি যাব না। শুধু চারজন বলল যে আমরা যাব তারপর আমি বললাম যে ঠিক আছে তাহলে । আমি একটা অটো ঠিক করতেছি। কালকে সকালে অটোতে করে শ্যামপুরে যাব সেখান থেকে ট্রেনে করে তিন বিঘা করিডোর ঘুরে আসবো। তারপর আমি একটি অটো ভাড়া করলাম। কিন্তু সকালে যেতে হবে তো তাই আমি আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে সবাইকে জানিয়ে দিলাম যে কালকে সকালে সবাই বের হবি দেরি করলে কিন্তু ট্রেন পাবো না। তারপরের দিন আবার আমি সকালে আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে মেসেজ দিলাম দিয়ে সবাইকে রেডি হয়ে থাকতে বললাম। তারপর আমি অটো আলাক ফোন দিলাম দিয়ে আমাদের বাসায় আসতে বললাম। কিছুক্ষণের মধ্যে আমাদের বাসায় এসে হর্ন দিতে না দিতেই আমি বাসা থেকে বের হলাম। তারপর আমি তাদের সবাইকে আমাদের বাসায় আসতে বললাম তারা কিছুক্ষণের মধ্যে আমার বাসায় আসলো। এরপর আমরা অটো নিয়ে শ্যামপুর যাওয়ার জন্য রওনা দিলাম।
ঐদিন সকালবেলা প্রচুর পরিমাণে কুয়াশা পড়ছিল, আমার মনে হয় এই বছরে আমি এরকম কুয়াশা এর আগে কোনদিন দেখিনি। এত পরিমাণে কুয়াশা পড়ছিল যে কিছুদূর যাইতে না যাইতে অটোর গ্লাস পরিষ্কার করা লাগতেছে কুয়াশায় কিছুই দেখা যাইতেছে না। আমরা যেহেতু ট্রেনে করে তিন বিঘা করিডোর ঘুরতে যাব। এজন্য আমাদের সকাল ছয়টার ট্রেন ধরা লাগবে। তাই একটু অটো আলা মামাকে বলতেছি যে একটু স্পিডে গাড়ি চালান, ট্রেন মিস করলে কিন্তু বাসে করে যাইতে হবে। আবার কুয়াশাও পড়তে ছিল প্রচুর পরিমাণে তারপরও মামা স্পিডে গাড়ি চালিয়ে আমাদেরকে শ্যামপুর স্টেশনে নামিয়ে দেন। ঠিক ছয়টার সময় আমরা শ্যামপুর স্টেশনে পৌঁছাই। সেখানে আমরা কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করছিলাম, আর তারি মাঝে বেশ কয়েকটি ফটোগ্রাফিও করে নেই। তার কিছুক্ষণের মধ্যে আমরা জানতে পারলাম যে ট্রেন ২০ মিনিট পরে আসবে। যেহেতু আমরা সকাল সকাল বাসায় কিছু খাবার সময় পায়নি, তাই আমরা ভাবলাম যে এই ২০ মিনিটে কিছু খেয়ে নেই।
তারপর আমরা সেখানে একটা হোটেলে গেলাম নাস্তা করার জন্য। সেখানে গিয়ে আমরা দেখতে পেলাম যে খিচুড়ি রান্না হয়েছে ,গরম গরম খিচুড়ি দেখে তো আমি তাড়াতাড়ি করে পাঁচটা খিচুড়ি অর্ডার দিলাম। খিচুড়ি অর্ডার দেওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যে আমাদেরকে খিচুড়ি দিয়ে দেয়। আমরা খিচুড়ি খাওয়া শেষ করে স্টেশনে গেলাম। সেখানে গিয়ে পাঁচ সাত মিনিট অপেক্ষা করতে না করতেই ট্রেন এসে হাজির। এরপর আমরা এক এক করে ট্রেনে উঠে দেখতে পেলাম যে ট্রেনের সব সিট খালি তাই আমরা সবাই এক জায়গায় বসে পড়লাম। পাঁচ মিনিটের মধ্যে ট্রেন ছেড়ে দিল। আজকে এই পর্যন্তই বাকি সবকিছু পরবর্তী পোস্টে শেয়ার করার চেষ্টা করব।
আমার আজকের ব্লগটি আমি এখানেই শেষ করলাম।আশাকরি আপনাদের সবার খুব ভালো লেগেছে আমার আজকের ব্লগটি । ভালো লাগলে অবশ্যই লাইক,কমেন্ট করে আমাকে উৎসাহিত করবেন।আজ এই পর্যন্তই।আশা করছি যে আপনারা আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমেই আমার এই লেখাটি সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবেন এবং আপনাদের মতামত ব্যক্ত করবেন। আমি যদি কোনো কিছু ভুল বলে থাকি। তাহলে অবশ্যই আমাকে শুধরে দিতে ভুলবেন না।
আমার বাংলা ব্লগের ভাইয়া ও আপুদের সবাইকে ধন্যবাদ। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। দেখা হবে পরবর্তী কোন ব্লগে।
আল্লাহ হাফেজ
Device | Motorola g34 5g |
---|---|
Camera | 52 MP |
County | Bangladesh |
Location | Rangpur, Bangladesh |
Vote@bangla.witness as witness
আমার ব্লগটি ভিজিট করার জন্য সবাইকে অসংখ্য "ধন্যবাদ।
Comments