New to Nutbox?

"আমার বাংলা ব্লগ" আজকের ফিচারড আর্টিকেল - রাউন্ড # ২৭৭ [ তারিখ : ১৬-০৪-২০২৪ ]

1 comment

abb-featured
75
16 days agoSteemit4 min read

গত ০২ মে ২০২৩ থেকে "আমার বাংলা ব্লগের" একটা নতুন ইনিশিয়েটিভ আজকের ফিচারড আর্টিকেল চালু করা হয়েছে। ২৭৬ তম রাউন্ড শেষে আজ ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ২৭৭ তম রাউন্ড এর আর্টিকেল পাবলিশ করা হবে। এই উদ্যোগটি এখনও অব্দি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মেই একদম নতুন ও ইউনিক । কি এই "আজকের ফিচারড আর্টিকেল" ? আসুন জেনে নেওয়া যাক ।

"আমার বাংলা ব্লগ" আজকের ফিচারড আর্টিকেল : আমার বাংলা ব্লগে প্রতিদিন নতুন নতুন আর্টিকেল পাবলিশ করা হয়ে থাকে । অলটাইম এভারেজ ১৭০ জন রাইটার এক্টিভলি আর্টিকেল লিখে চলেছেন প্রতিদিন । এত এত আর্টিকেলের মধ্যে থেকে বেছে নিয়ে প্রত্যহ ফিচারড আর্টিকেল হিসেবে একটি আর্টিকেলকে আলাদা করে পাবলিশ করা হবে আমাদের কমিউনিটির নতুন একটি একাউন্টে । যেহেতু, হুবহু অন্যদের আর্টিকেল স্টিমিটে আলাদা অন্য আর একটি একাউন্টে পাবলিশ করার নিয়ম নেই তাই আমরা ফিচারড আর্টিকেলের কিছু অংশবিশেষ নিয়ে আলোচনামূলক পোস্ট করবো । সেই সাথে থাকবে সেই সকল ফিচারড আর্টিকেলের রাইটারদের নাম, আর্টিকেলের নাম ও আর্টিকেল পোস্টের লিংক । এডিশনালি আমরা ছোট্ট একটা পিডিএফ পাবলিশ করবো প্রত্যেক মাসের প্রথম রবিবারে । এই পিডিএফ -এ থাকবে বিগত এক মাসের সবগুলি ফিচারড আর্টিকেল ।



"আমার বাংলা ব্লগ" আজকের ফিচারড আর্টিকেল রাইটার-@nilaymajumder



অথর সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত পরিচিতিঃ

অথরের নাম-নিলয় মজুমদার। জাতীয়তা- ভারতীয়। শখ-ফোটোগ্রাফি।শিক্ষাগত যোগ্যতা- ইঞ্জিনিয়ারিং । স্টিমিট ব্লগিং ক্যারিয়ার-২০২২ সালের আগস্ট মাসে স্টিমিটে জয়েন করেছিলেন এবং এখন মোট ব্লগিং ক্যারিয়ারের বয়স ৫৯৮ দিন।



এক নজরে তাঁর বিগত সপ্তাহের পোস্টগুলি:



"আমার বাংলা ব্লগ" আজকের ফিচারড আর্টিকেল:


image.png
সোর্স

ছবিটি নেওয়া হয়েছে-নিলয় মজুমদারের পোস্ট থেকে

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি। ( Publish: 14.04.2024 )

বর্তমান সময়ে আমরা সবাই দেখতে পাচ্ছি যে বিভিন্ন দ্রব্যমূল্যের দাম যে হার বৃদ্ধির পেতে শুরু করেছে তাতে করে মানুষের এইসব দ্রব্য কেনার জন্য যে অর্থের প্রয়োজন হচ্ছে তা সেসব মানুষ কখনোই সংগ্রহ করতে পারছে না। আসলে এই দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির জন্য মধ্যবিত্ত এবং নিম্নবিত্ত পরিবারের লোকেরা সবথেকে বেশি সমস্যায় পড়েছে। আসলে এই দ্রব্যমূল্যের দাম এত বৃদ্ধির প্রধান কারণ হলো কিছু অসৎ লোক কম দামে পণ্য কিনে এনে সেই কম দামি পণ্য বাজারে অতিরিক্ত দামে বিক্রি করছে। এছাড়াও যে হারে জনসংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে সেই হারে কিন্তু উৎপাদন বৃদ্ধি পায়নি। তাইতো এই অতিরিক্ত জনসংখ্যার জন্য প্রয়োজন হয় অতিরিক্ত দ্রব্যের।...


আসলেই বর্তমানে দ্রব্যমূলের দিকে নজর দিলে বোঝা যায় যে, কি পরিমানে বৃদ্ধি পেয়েছে। এখন বাজারঘাট করতে গেলে সবজি থেকে শুরু করে যেকোনো সামগ্রীতে মাত্রাতিরিক্ত দাম। শুধু দ্রাব্যসামগ্রী বললে ভুল হবে, বর্তমানে যেকোনো জিনিসের দামই অনেক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। ব্যবসায়ীরা আজকাল জনগণের কাছ থেকে বিভিন্নভাবে লুটে খাচ্ছে বলতে গেলে। তবে এই অতিরিক্ত দামের কারণে সাধারণ মানুষগুলো ভুগছে, তারা না পারছে ঠিকমতো বাজারঘাট করতে আর না পারছে অন্যান্য কিছু কিনতে। তাদের বাস্তবিক দিক যদি বিবেচনা করা হয়, তাহলে দেখা যায়, তাদের যে সামগ্রীগুলো প্রয়োজন সেই দামের কাছে একটা কিনলে হয়তো আরেকটা কেনা হয় না।

এই দ্রব্যমূল্যের দাম এত বৃদ্ধির প্রধান কারণ হলো কিছু অসৎ লোক কম দামে পণ্য কিনে এনে সেই কম দামি পণ্য বাজারে অতিরিক্ত দামে বিক্রি করছে।

এটা কিন্তু একদম সত্যি কথা, বর্তমানে বেশিরভাগ ব্যবসায়ীদের মধ্যে এই বিষয়টা লক্ষ্য করা যায় যে, তারা যে দ্রব্য বা যেকোনো পণ্যের ক্ষেত্রে কম দামে কিনে আনে, কিন্তু বাজারে খুচরো পাইকারি হিসেবে চড়া দামে বিক্রি করে। আর এদের বলেও কোনো লাভ হয় না, এদের সাথে কথা বলতে গেলে নিজেরই ক্ষতি আবার, কারণ তর্ক ছাড়া তারা আর কিছুই বোঝে না।

এখন আসলে বর্তমানে দিন দিন যেকোনো কিছুর দাম বাড়তেই থাকবে, কারণ বছরে বছরে যে পরিমানে দেশে জনসংখ্যা বেড়েই চলেছে তাতে খাদ্যসামগ্রী কুলিয়ে পারা মুশকিল একটা দেশের পক্ষে। প্রয়োজনের তুলনায় যত খাদ্যের ঘাটতি পড়তে থাকবে, তত জিনিসের দামও বাড়তে থাকবে। কারণ একটা দেশের সরকারের কাছে হিসেবে থাকে যে এতো জনসংখ্যা আছে, সেই হিসেবে খাদ্য উৎপাদন করতে হবে। কিন্তু সেই হিসেবে দেখা যায়, তার থেকেও বেশি লোকজন একটা দেশে যদি হঠাৎ করে বেড়ে যায় সেক্ষেত্রে চাপ সৃষ্টি তো হবেই।

এখন বর্তমানে আসলে যে পরিমানে জনসংখ্যা বাড়ছে সেই তুলনায় খাদ্য উৎপাদনও বাড়াতে হবে সেই দেশে, তাহলে দাম নিয়ন্ত্রণে থাকবে। আর নাহলে এইভাবে চলতে চলতে একসময়ে দাম এতো বেড়ে যাবে যে, কোনো কিছুতেই সাধারণ মানুষ হাত দিতেই পারবে না। তবে এখন বর্তমানে কৃষিক্ষেত্রে চাষবাসের পরিমান আগের তুলনায় হ্রাস পেয়েছে খুব, ফলে এদিকেও ঘাটতি পড়ছে।

এই অতিরিক্ত জনসংখ্যার জন্য দেশে অতিরিক্ত জমি দখল হয়ে যাচ্ছে বসবাসের জন্য। আসলে এমনটা হলেও কিন্তু ফসল উৎপাদন বেশি করে কোন লাভ নেই। কারণ জমির পরিমাণ কমে গেলে মানুষ ফসল কোথায় উৎপাদন করবে।

এইটা কিন্তু একটা ভালো পয়েন্ট, এখন ফসলের মাঠ কিন্তু একটাও ফাঁকা থাকছে না। সবই এখন ইট-পাথরের নিচে চলে যাচ্ছে। আগে যেখানে বিভিন্ন ফসল ফলাতো কৃষক, এখন সেখানে উঁচু উঁচু দালান। সবই এখন জনসংখ্যার চাপে হারিয়ে যাচ্ছে। এরপরে তিল পরিমাণও মাঠ খুঁজে পাওয়া যাবে না বলতে গেলে।


ধন্যবাদ সবাইকে।

Banner New.png

Comments

Sort byBest