পাঁচ তারিখের স্পেশাল আস্ত মুরগির বিরিয়ানি খাওয়ার মজা
3 comments
আসসালামু আলাইকুম
আমার বাংলাব্লগের বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন ভাল আছেন নিশ্চয়ই। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালই আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজকে আমি আপনাদের সামনে নতুন একটি পোষ্ট নিয়ে হাজির হয়ে গেলাম । আজকে আপনাদের সাথে শেয়ার করব পাঁচ তারিখের স্পেশাল মজার বিরিয়ানি খাওয়ার অনুভূতি । স্পেশাল বললাম এই কারণেই প্রতিমাসের ৫ তারিখে আমাদের বাসার নিচে একটা রেস্টুরেন্ট রয়েছে সেই রেস্টুরেন্টে গোটা মুরগির বিরিয়ানি ওরা বিক্রি করে । মুরগীটা ওরা আস্ত রাখে । আমি যখনই রাস্তায় বের হই তখনই ওদের দোকানের পাশে বড় একটা সাইনবোর্ডে লেখা থাকে এবং সেটা দেখতে পাই । এখানে লেখা আছে প্রতি মাসের পাঁচ তারিখে মুরগির বিরিয়ানি বিক্রি করা হয় । সেটা দেখে আমার কেন জানি না লোভ লেগেছে ।
বাইরের খাবার খেতে আমি সবসময় পছন্দ করি আর বিশেষ করে বাইরে খাবার যেদিন খাই সেদিন আমার রান্না করতে হয় না এই কারণে সেই খাবারগুলোর প্রতি বেশি আকর্ষণ থাকে । আর যখনই সময় সুযোগ হয় তখনই আমি বাইরের খাবার খেতে চলে যায় । সেই মোতাবেক আগে থেকেই ঠিক করে রেখেছিলাম এই মাসের পাঁচ তারিখে আমরা রাতের বেলা ওই বিরিয়ানিটা খাব । সেই অনুযায়ী ওর বাবাকে সন্ধ্যার সময় পাঠিয়েছি । আগে থেকে খাবারটা নিয়ে আসতে চেয়েছিলাম পরে যদি আর না পাই । যেই ভাবা সেই কাজ সে চলে গিয়েছে । তবে আগে থেকে তাদের কাছে অর্ডার দিয়ে রাখতে হয় তা না হলে পরে পাওয়া যায় না । কারন এই খাবারটা এতটাই মজা যে এর জন্য সিরিয়াল লেগে যায় । যার কারণে সন্ধ্যার সময় অর্ডার দিয়েছি ওরা রাত ১১ টার সময় দিতে পারবে ।
আমরা সে মোতাবেক অপেক্ষা করতে থাকি এর ভেতরে পাশের বাসার ভাইরা রেস্টুরেন্টে যাবে এবং সাথে আমাদেরকে ইনভাইট করলো । তখন কি আর করার আমরাও তাদের সাথে রেস্টুরেন্টে খাওয়ার জন্য চলে গেলাম । কিন্তু ওই অর্ডারটা আমরা ক্যানসেল করি নাই । ভেবেছি রেস্টুরেন্ট এর খাবার টা খেয়ে এসে ওটা ফ্রিজে রেখে দেবো পরেরদিন খাব ।রেস্টুরেন্টে গিয়ে অনেক মজার মজার খাবার খাওয়ার পরে তখন আর ওই খাবারের প্রতি তেমন একটা আকর্ষণ ফিল করছি না । তবে যখন ওর বাবা খাবারটা নিয়ে আসলে তখন খাবারটা দেখতে অনেক লোভনীয় লাগছিল । উপর থেকে কিছু খেয়ে আমরা টেস্ট করে দেখলাম খাবারটা আসলেই অনেক মজাদার ছিল । আমরা ওভাবে বাটি ধরে ফ্রিজে রেখে দিলাম । যেভাবে দেখতে পাচ্ছেন ঠিক সেই রকম ভাবেই ওরা খাবারটা দিয়ে থাকে। আর এই খাবারের সাথে ওরা একটা প্লাস্টিকের বাটি দিয়ে থেকে যেটার ভেতরে ওরা খাবারটা দেয় এবং নিচে মুরগীটা থাকে । উপর দিয়ে রাইস দিয়ে ভরা থাকে । খাবারটা সত্যি অনেক মজার ছিল । এক মাসের 5 তারিখে খেয়েছি কিন্তু পরের মাসে ৫ তারিখে আবার যখন ওটা আনতে গেলাম পাইনি । আমাদের যাওয়া একটু দেরি হয়ে গিয়েছিল বিধায় সে মাসে আর খেতে পারিনি । আগে থেকে সিরিয়াল না দেয়ার কারণে আমরা আর সেদিন খাবারটা পেলাম না । তখন মোরগ পোলাও এনে খেয়ে নিয়েছিলাম । এ দোকানের প্রত্যেকটা খাবারই অনেক মজাদার ।
আশা করছি আমার আজকের এই ব্লগটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লেগেছে। আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
ফটোগ্রাফার | @tauhida |
---|---|
ডিভাইস | samsung Galaxy s8 plus |
ধন্যবাদ
আমি তৌহিদা, বাংলাদেশ আমার মাতৃভূমি।বাংলাদেশে আমার জন্ম।আমি আমার মাতৃভূমিকে ভালোবাসি। আমি বিবাহিতা, এক সন্তানের মা। আমি রান্না করতে ও খেতে ভালোবাসি,আমি ঘুরতেও অনেক ভালোবাসি। |
---|
@tauhida
*** VOTE @bangla.witness as witness OR SET @rme as your proxy
Comments