জিন্দা পার্কে ঘুরাঘুরি শেষ পর্ব
6 comments
আসসালামুআলাইকুম সবাইকে।
আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজকে আবার হাজির হয়ে গেলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। গত দিন আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করেছিলাম জিন্দাপার্কে ঘুরাঘুরি। বিশাল বড় এরিয়া নিয়ে তৈরি এর জন্য একদিনে পুরো জায়গার ঘোরাঘুরি শেয়ার করে শেষ করতে পারিনি। আমরা নামাজ পড়া শেষ করে সামনের দিকে আগাতে থাকলাম। যতই ভিতর দিকে যাচ্ছিলাম ততই মনে হচ্ছে যে গভীর জঙ্গলে যাচ্ছি। এত গাছপালা চারপাশে। একেবারে নিরিবিলি পরিবেশ পাখির ডাক শোনা যাচ্ছিলো। প্রথমে গাড়ি থেকে নামার পর জিন্দা পার্ক দেখে যতটা হতাশ হয়ে ছিলাম ভিতরে যতই যাচ্ছিলাম ততই এর সৌন্দর্য দেখে মুগ্ধ হচ্ছিলাম। একেবারে সাজানো গোছানো একটি জায়গা। এত গাছ-গাছালি কিন্তু কোথাও একটা গাছের পাতা পড়ে নেই। একেবারে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করে রাখা সব জায়গায়।
কিছুটা ভিতরে যাওয়ার পরে এরকম আরেকটি গেট করা। তাছাড়া বিভিন্ন জায়গায় সুন্দর সুন্দর লেখা রয়েছে। কোরআন থেকে নেওয়া সেগুলো। তাছাড়া এমনি শিক্ষণীয় লেখাও ছিল বিভিন্ন গাছে। পরের গেট দিয়ে ঢোকার আগে নিচের সাইডে দেখলাম এরকম একটি দোকান। দোকান দেখেইতো বাচ্চারা অস্থির হয়ে গেল যাওয়ার জন্য। পরে সেখানে গিয়ে দেখতে পেলাম যে আড়ংয়ের বিভিন্ন জিনিসপত্র এখানে পাওয়া যাচ্ছে এবং তুলনামূলক ভাবে দাম অনেক কম। তারা বলল যে আড়ং থেকে নাকি তাদের এখান থেকে জিনিস সাপ্লাই হয়। সত্যি কিনা জানিনা। এখান থেকে আমি দুটি চামচ নিলাম এবং বাচ্চারা একটি শোপিস কিনলো।
কিছুটা ভিতরে যাওয়ার পর একটি রেস্টুরেন্ট দেখতে পেলাম। অনেক বড় একটি রেস্টুরেন্ট। এখানে খাবার নাকি খুবই মজা পরে জানতে পারলাম। আমরা দুপুরের খাবার খেয়ে গিয়েছিলাম তাই আর এখানে খাওয়া হলো না। যেহেতু রেস্টুরেন্টে ঢুকেই পড়েছি তাই আমরা দই খেলাম এবং বাচ্চারা কোল্ড্রিংস খেলো। এর পরের বার গেলে এখান থেকে দুপুরের খাবার খাওয়া যাবে।
আরো ভিতরে যাওয়ার পর আমাদের জন্য আরও বেশি সারপ্রাইজ অপেক্ষা করছিল। বিশাল বড় একটি পুকুর তার সাইডে এরকম দোলনা করা ছিল। আমরা ছুটির দিনে যায়নি তার জন্য অনেক ফাঁকা ছিল। তাই এই দোলনাটি ফাঁকা পেয়েছিলাম। অনেকক্ষণ বসে দোলনায় দোল খেলাম পুকুরপাড়ে বসে। ছুটির দিনে গেলে নাকি এই দোলনায় বসার সুযোগ পাওয়া যায় না। এত বেশি ভিড় থাকে। তাছাড়া পুকুরের মাঝখানে ছোট্ট একটা দ্বীপের মতো তৈরি করা। ড্রাম দিয়ে তৈরি বাঁশের ব্রিজের উপর দিয়ে যেতে হয়। কিছুটা ভয় লাগে যাওয়ার সময়। কারণ ড্রামগুলো খুব নড়াচড়া করে। তারপরও ভয়ে ভয়ে গিয়েছিলাম। সেখানেও খুব সুন্দর বসার জায়গা ছিল।
দ্বীপ থেকে বের হয়ে পুকুরের অন্য সাইডে গেলাম। সেখানে এরকম চমৎকার লম্বা লম্বা গাছের সারি ছিল। তাছাড়া একটি ট্রি হাউজ তৈরি করা। ট্রি হাউস দেখে বড় ছেলে ওঠার জন্য খুবই অস্থির হয়ে গিয়েছিলো। বেশ খানিকটা উঠেছিল। আমিও তার সাথে সাথে উঠলাম। কিন্তু মাঝে গিয়ে দেখলাম যে সেটা কিছুটা ভাঙ্গা। এর জন্য আর ওঠার সাহস পেলাম না। নিচে ছোট ছেলেও আমাদের ওঠা দেখে সে ও ওঠার চেষ্টা করছিল।
অনেক সুন্দর একটি দিন কেটেছিল আমাদের এত সুন্দর একটি জায়গায় গিয়ে। কেউ যদি এদিকে আসেন তাহলে অবশ্যই জিন্দা পার্ক থেকে একবার ঘুরে আসবেন। আশা করি খুবই ভালো লাগবে।
এই ছিল আমার আজকের আয়োজন। সময় নিয়ে আমার পোস্টটি দেখার জন্য সকলকে ধন্যবাদ। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। পরবর্তীতে দেখা হবে আবার নতুন কিছু নিয়ে।
ধন্যবাদ
@tania
Photographer | @tania |
---|---|
Phone | I phone 15 Pro max |
আমি তানিয়া তমা। আমি বাংলাদেশে থাকি। ঢাকায় বসবাস করি। আমি অর্থনীতিতে অনার্স মাস্টার্স কমপ্লিট করেছি। আমি বিবাহিত। আমার দুটি ছেলে আছে। আমার শখ রান্না করা, শপিং করা,আর্ট করা, ঘুরে বেড়ানো। আমি বাংলায় কথা বলতে এবং ব্লগিং করতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলাদেশকে ভালবাসি। |
---|
VOTE @bangla.witness as witness OR SET @rme as your proxy
Comments