গল্প-- "অনাথ মেয়ে" পর্ব-৪

tania69 -

আসসালামুআলাইকুম সবাইকে।



আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ।



আজকে আবার হাজির হয়ে গেলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আজকে আপনাদের সঙ্গে "অনাথ মেয়ে" গল্পটির চতুর্থ পর্ব শেয়ার করবো। গত পর্বে শেয়ার করেছিলাম আশা বিয়ে করে স্বামীর সঙ্গে বেশ ভালো সংসার করছিলো। এখন দেখা যাক যে তার সংসার কতদিন টিকেছিলো বা পরবর্তীতে কি হয়েছিলো। আশা করি আজকের পর্বটিও আপনাদের ভালো লাগবে।




Link


অনাথ মেয়ে


আশা তাদের বাড়িতেই থাকে। ছেলে ছুটির হলে বাড়িতে আসে। আবার আশাও মাঝে মাঝে শশুর বাড়ী গিয়ে থাকে। বেশ কিছুদিন পর আশার সংসারে ফুটফুটে একটি ছেলের জন্ম হয়। আশা ছেলেটির তেমন একটা যত্ন নেয় না। আসার বাবা-মা ছেলেটির সব যত্ন করে। ছেলেটি একটু বড় হলে দেখা যায় তার কিছু শারীরিক সমস্যা। তাতেও আশার কোনো খেয়াল নেই। কিছুদিন যেতে না যেতে স্বামী দূরে থাকার কারণে আশা আবারও মোবাইলে আসক্ত হয়ে যায় এবং বিভিন্ন ছেলেদের সঙ্গে গল্প করতে থাকে।

একসময় তার স্বামীকে আর তার ভালো লাগেনা। সে তার বাবা মাকে বিভিন্নভাবে বোঝায় স্বামীর বিভিন্ন দোষ। তার বাবা-মা ও মেয়ের কথায় বিশ্বাস করে আশার স্বামীকে দোষ দিতে থাকে। আরো কিছুদিন যাওয়ার পর আশা স্বামীর সঙ্গে আর একেবারেই থাকতে চায় না। ডিভোর্স নেওয়ার জন্য উঠে পড়ে লাগে। আসার স্বামী অনেক চেষ্টা করে যাতে ডিভোর্স না হয়। সে চাকরি ছেড়ে দিয়ে বাড়িতে এসে থাকে। কিন্তু তাতেও আশাকে রাজি করাতে পারে না।

অবশেষে আশা তাকে ডিভোর্স দিয়েই দেয়। আশা আবারো তার আগেকার জীবনের ফিরে যায়। বিভিন্ন ছেলেদের সঙ্গে ঘোরাফেরা আড্ডা এগুলোই করতে থাকে। এভাবে চলতে চলতে আশার বাবাও একসময় অসুস্থ হয়ে যায়। তার হার্টের প্রবলেম হয়। মেয়ের জন্য অসংখ্য টাকা খরচ করে কিন্তু নিজের চিকিৎসার জন্য খুব একটা টাকা খরচ করতে আগ্রহী নয় তার বাবা। তাই ধীরে ধীরে তার হার্টের প্রবলেম বড় আকার ধারণ করে। তার হার্ট একেবারে ব্লক হয়ে যায়। তখন ওপেন হার্ট সার্জারি ছাড়া আর কোন উপায় থাকে না।

যখন আশার বাবার অবস্থা বেশি খারাপ হয়ে যায় তখন সে ঢাকায় আসে ওপেন হার্ট সার্জারি করার জন্য। কিন্তু তখন বেশ দেরি হয়ে যায়। তার রক্তে আরো বেশ কিছু সমস্যা দেখা দেয়। যার ফলে ডাক্তাররা ওপেন হার্ট সার্জারি করতে পারে না। রক্তের সমস্যাটা আগে ঠিক করার পর ওপেন হার্ট সার্জারি করবে। এভাবেই বেশ কিছুদিন চলতে থাকে। বেশ কয়েকবার ঢাকায় এসে আশার বাবা ট্রিটমেন্ট করাতে থাকে। লাস্ট বার যখন আসে তখন আর সুস্থ হয়ে ফিরে যেতে পারে না। অবস্থা আরো বেশি খারাপ হয়ে যায় এবং সে ঢাকার স্কয়ারে মৃত্যুবরণ করে। তার লাশ বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়।

আশা এবং তার মা যেন অসহায় হয়ে পড়ে। পরিবারের মাথা যেখানে চলে যায় সেখানে পরিবারের আর কি থাকে। আশার বাবা শেষ দিকে এসে বুঝতে পেরেছিল সে আর বেশিদিন বাঁচবে না। সেজন্য সে তার সম্পত্তির অর্ধেকের বেশি অংশ আশা এবং দুলালীর নামে লিখে দিয়ে যায়। যাতে সে না থাকলে তাদের কোনো কষ্ট না হয়। কারণ সে হঠাৎ মারা গেলে আশা তো কোনো সম্পত্তি পাবে না। আশা এরকম বিশাল সম্পত্তির মালিক হয়ে যেন ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে যায়। তখন তাকে আর কে পায়।



আশার বাবা মারা যাওয়ায় আশা কি ভালো হবে? নাকি এত সম্পত্তির মালিক হয়ে আরও খারাপের দিকে যাবে। জানতে হলে পরবর্তী পর্ব অবশ্যই পড়তে হবে। সময় নিয়ে আমার গল্পটি পড়ার জন্য সকলকে ধন্যবাদ। সবাই ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।


ধন্যবাদ

@tania

Photographer@tania
Phoneoppo reno5
আমি তানিয়া তমা। আমি বাংলাদেশে থাকি। ঢাকায় বসবাস করি। আমি বিবাহিত। আমার দুটি ছেলে আছে। আমার শখ রান্না করা, শপিং করা, ঘুরে বেড়ানো। আমি বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলাদেশকে ভালবাসি।


VOTE @bangla.witness as witness

OR SET @rme as your proxy