গ্রামের বাড়িতে মাছ ধরার আনন্দ
20 comments
আসসালামুআলাইকুম সবাইকে।
আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজকে আবার হাজির হয়ে গেলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আমাদের শ্বশুরবাড়িতে বেশ কতগুলো পুকুর রয়েছে। একটি পুকুর আমার শ্বশুর এবং ছোট চাচা শ্বশুরের। বড় আরেকটি পুকুর আছে বাড়ির সবার ভাগের। তার পাশে আরো বড় একটি পুকুর রয়েছে চাচাতো ভাসুরের। আমরা যখন গ্রামে যাই তখন আমাদের পুকুর থেকে মাছ তোলা হয়। আর যখন চাচা শ্বশুর এবং আমরা একসঙ্গে যাই তখন বড় পুকুর থেকে মাছ তোলা হয়। বিশেষ করে বাচ্চাদেরকে দেখানোর জন্য এই আয়োজন। এবার যেহেতু আমার সবাই বাড়িতে গিয়েছিলাম তাই পুকুর থেকে মাছ ধরার আয়োজন করা হয়েছিলো। সকালবেলায় জেলে চলে আসে মাছ ধরার জন্য।
এই পুকুরটি বাড়ির সবার। শুরুতে এই পুকুরটিতে জাল ফেলা হয়। জাল ফেলার পদ্ধতিটা খুব সুন্দর। পুকুরের এক প্রান্তে জাল ফেলে টানতে টানতে অপর প্রান্তে নিয়ে যায়। এতে পুকুরের সব মাছ জালে আটকা পরে। কিছু বড় বড় মাছ লাফিয়ে পার হয়ে যায়। আর কিছু মাছ নিচ দিয়ে বের হয়ে যায়। তারপরও একেবারে শেষের দিকে অনেক মাছ ধরা পড়ে জালে।
আমাদের বাসায় যে মাছ কেনা হয় তা বাজার থেকে কেটে আনা হয়। এর কারণ তাজা মাছ আমি ধরতে খুব ভয় পাই। তাজা মাছের গায়ে হাত দিলে মাছ নাড়াচড়া করলে কেমন যেন লাগে। কিন্তু ছেলেদের দেখলাম বেশ সাহস। আমার হাসবেন্ড একটি মাছ নিয়ে প্রথমে বড় ছেলের হাতে দিল। সে প্রথমে ধরতে চায়নি। তার দেখাদেখি ছোট ছেলেও হাতে নিয়েছিলো। আমার দেখেই ভয় লাগছিলো। কিন্তু ওরা দেখলাম খুব একটা ভয় পায়নি। জাল তোলার পর এই মাছগুলো পেয়েছিলো। আমরা অনেকদিন পর বাড়িতে যাওয়ার জন্য আমাদেরকে পছন্দমত আগে মাছ দিয়ে দিয়েছে। যদিও নিতে চাইনি। জোর করেই দিয়েছে। তারপর বাকিগুলো সবাই ভাগ করে নিয়েছিলো।
এই পুকুরে মাছ ধরা শেষ হলে চাচাতো ভাসুরের পুকুরে জাল ফেলা হয়। ছোট ছেলের ততক্ষণে দেখি জ্বর চলে এসেছে। আগের দিন বিয়ে বাড়িতে সারাদিন ছিল। কিছুটা গরম লেগে এই জ্বর এসেছিল। তাই ওকে নিয়ে আমি শুয়েছিলাম। ও ঘুমানোর পর এসে দেখি সবাই পুকুরে নেমেছে। তখন জাল টানা প্রায় শেষের দিকে। অন্য পাড়ে নিয়ে এসেছে। আরো আগে আসলে আমিও হয়তো পুকুরে নামতে পারতাম। অনেক বছর হলো পুকুরে নামা হয় না। আমাকে ডেকেছিলো। ছোট ছেলের জন্য যেতে পারিনি।
এই পুকুরের জাল ফেলার প্রধান কারণ ছিল শোল মাছ। এই পুকুরে নাকি অনেক শোল মাছ আছে। ঢাকা থেকে যে ভাবি গিয়েছে ওনার খুব ইচ্ছা ছিল শোল মাছ নেয়ার। শেষে অবশ্য বড় বড় তিনটি শোল মাছ পাওয়া গিয়েছে। আর এই পুকুর থেকে বেশি মাছ নেয়া হয়নি। সবগুলো ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। শুধু নিচের মাছ গুলো আমাদেরকে জোর করে দিয়েছিল।
বড় বড় মাছ তিনটে অবশ্য ভাবী সঙ্গে সঙ্গে কেটে রান্না করে ফেলেছিল। খুব মজা করে খেয়েছিলাম সবাই। বেশ ভালোই আনন্দ করেছিল সবাই।
এই ছিল আমার আজকের আয়োজন। সময় নিয়ে আমার পোস্টটি দেখার জন্য সকলকে ধন্যবাদ। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। পরবর্তীতে দেখা হবে আবার নতুন কিছু নিয়ে।
ধন্যবাদ
@tania
Photographer | @tania |
---|---|
Phone | i phone11 |
আমি তানিয়া তমা। আমি বাংলাদেশে থাকি। ঢাকায় বসবাস করি। আমি অর্থনীতিতে অনার্স মাস্টার্স কমপ্লিট করেছি। আমি বিবাহিত। আমার দুটি ছেলে আছে। আমার শখ রান্না করা, শপিং করা,আর্ট করা, ঘুরে বেড়ানো। আমি বাংলায় কথা বলতে এবং ব্লগিং করতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলাদেশকে ভালবাসি। |
---|
VOTE @bangla.witness as witness OR SET @rme as your proxy
Comments