New to Nutbox?

লাইফ স্টাইল || এবার মায়ের জন্য শপিং করতে যাওয়া।

16 comments

ronggin
73
23 days agoSteemit5 min read

নমস্কার,

তোমরা সবাই কেমন আছো? আশা করি, সবাই অনেক অনেক ভাল আছো। আমিও বেশ ভালো আছি।

বন্ধুরা, আজকের নতুন একটি ব্লগে সবাইকে স্বাগতম। আজকের ব্লগে তোমাদের সাথে আমাদের পরিবারের শপিং করা নিয়ে কিছু কথা শেয়ার করবো। বেশ কিছুদিন ধরে আমাদের বাড়িতে শুধু শপিংই চলছে। একদিন আমার শপিং, একদিন বাবার শপিং, একদিন মায়ের শপিং এরকম করেই বেশ কিছুদিন যাচ্ছে। গত সপ্তাহে তোমাদের সাথে আমি বাবার জন্য শপিং করতে যাওয়া নিয়ে একটি ব্লগ শেয়ার করেছিলাম। সেইদিন মাকে কোন কিছু শপিং করে দেওয়া হয়নি। সেইজন্য কয়েকদিন পরেই ভাবলাম বাবাকে যখন শপিং করে দিয়েছি, এবার মাকেও শপিং করে দেওয়া যাক।

20240421_201246.jpg

20240421_201434.jpg

20240421_201253.jpg

তারপর আমি মায়ের কাছে শোনা শুরু করি, মায়ের কি প্রয়োজন। মা বেশ কিছুদিন ধরে বলছিল, মায়ের চলাচল করতে পায়ে একটু ব্যথা হচ্ছে। যদি ভালো জুতো বা স্যান্ডেল এরকম কোন কিছু হয় তাহলে তার চলাচলে একটু সুবিধা হবে, এমনটা মা আমাকে বলেছিল। সেইজন্য আমি ভেবেই নিয়েছিলাম মাকে ভালো জুতো কিনে দেবো এইবার। সেই উদ্দেশ্যে আমি কয়েকদিন আগে মায়ের জন্য জুতোর শপিং করতে বেরিয়েছিলাম। জুতো কেনার ক্ষেত্রে আমরা সব সময় বাটাতে যাই। কারণ বাটার জুতো বেশ কমফোর্ট হয়। আর এই ব্যাপারটা প্রায় সব লোকই জানে। যাইহোক, মায়ের জুতো কিনতে আমরা প্রথমে বাটাতে গিয়েছিলাম। সেখানে গিয়ে আমরা অনেক জুতো দেখি কিন্তু মায়ের যেগুলো পছন্দ হয়েছিল, সেগুলো আবার বাবার পছন্দ হচ্ছিল না। আবার যেগুলো বাবার পছন্দ হচ্ছিল, সেগুলো মায়ের পছন্দ হচ্ছিল না!

20240421_201753.jpg

20240421_201802.jpg

20240421_201147.jpg

জুতো কেনার ক্ষেত্রে সবার মতামত জরুরি ছিল আর আমরা যেহেতু একসাথে শপিং করতে গেছিলাম, এজন্যই এই প্রবলেমটা হচ্ছিল আমাদের। যাইহোক, অনেক দেখা দেখির পরেও বাটা থেকে আমরা কোন প্রকার জুতো বা স্যান্ডেল কোন কিছুই কিনতে পারি না। তারপর আমরা চলে যাই, ক্যাম্পাস নামের জুতোর কোম্পানির শোরুমে। ক্যাম্পাস ব্র্যান্ড টা নতুন হয়তো আর আমি খুব বেশি এই ব্র্যান্ডের জুতো ব্যবহার করিনি তাই এই ব্র্যান্ড সম্পর্কে খুব বেশি আমার ধারণাও নেই। এই ব্র্যান্ডের জুতো দুই একটা যা ব্যবহার করেছি, বেশ ভালোই মনে হয়েছে আমার কাছে। সেই জন্যই গেছিলাম ক্যাম্পাসের শোরুমে মায়ের জুতো কেনার জন্য। এখানেও অনেক ধরনের জুতো পাওয়া গেছিল কিন্তু মায়ের ঠিক মনের মত হচ্ছিল না। সেই জন্য আমাদের কনফিউশন বেড়ে যায়। সেইদিন রাত ৯ টা পর্যন্ত আমরা একের পর এক জুতোর শোরুম বদলাতে থাকি কিন্তু জুতো পছন্দ করে কিনতে পারি না আর!

20240421_205100.jpg

20240421_205056.jpg

20240421_213017.jpg

আমরা বিকালের পরে বেরিয়েছিলাম আর এরকম করতে করতে অনেকটা সময় চলে গেছিল আমাদের। আমি তো সেদিন ভেবেই নিয়েছিলাম হয়তো আমাদের কোন জুতো কেনা হবে না। অবশেষে, বাড়ি ফিরে আসবো ঠিক এই সময়টাতে আমরা আমাদের বাড়ির পাশে থাকা একটি অজান্তার জুতোর শোরুমে যাই। অজান্তা ব্র্যান্ডটা কিন্তু জুতো স্যান্ডেল তৈরির ক্ষেত্রে বেশ নামকরা। সেখানে যাওয়ার পরই দেখি মায়ের এক জোড়া জুতো পছন্দ হয়ে গেছে। তখন আমি সেই জুতো মাকে পরে শো রুমের মধ্যে হাঁটাহাঁটি করতে বলি। কিছু সময় হাঁটাহাঁটি করে মাও বেশ কমফোর্ট ফিল করে সেই জুতো পড়ে। আর মা এই জুতো জোড়া পছন্দ করার পর দেখি, বাবারও পছন্দ হয়ে গেছে এই জুতো জোড়া। পরে তো আমাদের কেনাকাটির জন্য এই জুতোই ফাইনাল করা হয়।

20240421_213026.jpg

20240421_213045.jpg

জুতো পছন্দ হওয়ার পর মা বলে, তার এক জোড়া স্যান্ডেলও দরকার। তারপর পুনরায় আমাদের স্যান্ডেল দেখা শুরু হয়। সেখানে খুঁজতে খুঁজতে মা একটি ভালো স্যান্ডেলও পেয়ে যায়। বেশ নরম টাইপের ছিল স্যান্ডেল জোড়া, পায়ে পরে চলাচলের সময় পায়ে ব্যথা করবে না, অনেকটা সেরকম ছিল। তারপর সেটাও কেনা হয় মায়ের জন্য। তারপর মা আমাকে সেখান থেকে কিছু একটা কেনার জন্য বলে । মায়ের কথায় আমি তখন স্যান্ডেল দেখা শুরু করি নিজের জন্য। কয়েকটি স্যান্ডেল দেখার পরই আমিও আমার পছন্দ মত এক জোড়া স্যান্ডেল পেয়ে যাই।

20240421_225508.jpg

20240421_225330.jpg

এভাবে সেদিন আমাদের এক জোড়া জুতো আর দুই জোড়া স্যান্ডেল কেনা হয়। আমাদের শপিং শেষ করতে করতে প্রায় রাত দশটা বেজে গেছিল। অনেক লেট করেই বাড়িতে ফিরতে হয়েছিল সেদিন আমাদের। এইভাবে আমাদের সেদিনের জুতোর শপিং শেষ হয়। যাইহোক, সেদিন বেশ ভালো লেগেছিল মাকে কিছু কিনে দিতে পেরে। কারণ এর আগের দিন যখন বাবাকে শপিং করে দিয়েছিলাম আর মাকে শপিং করে দিতে পারিনি তখন আমার বেশ খারাপ লেগেছিল। তবে এবার জুতোর শপিং করতে গিয়ে বাবাকেও জুতো নেওয়ার জন্য বলেছিলাম আমি। তবে বাবা আর নেয়নি। তাই মা আর আমি জুতো স্যান্ডেল কিনেই সেদিনের শপিং পর্ব শেষ করি আমাদের।


পোস্ট বিবরণ

শ্রেণীলাইফ স্টাইল
ডিভাইসSamsung Galaxy M31s
ফটোগ্রাফার@ronggin
লোকেশনবারাসাত , ওয়েস্ট বেঙ্গল।
বন্ধুরা, মায়ের জন্য শপিং করতে যাওয়া নিয়ে শেয়ার করা আজকের এই পোস্টটি তোমাদের কেমন লাগলো তা কমেন্ট এর মাধ্যমে জানিও । সবাই ভালো থাকো, সুস্থ থাকো , সুন্দর থাকো ,হাসিখুশি থাকো , নিজের পরিবার নিয়ে সুখে শান্তিতে থাকো , সবার জন্য এই শুভকামনা রইল।

ধন্যবাদ সবাইকে






আমার পরিচয়

IMG_20220728_164437.jpg

আমি সুবীর বিশ্বাস( রঙিন)। কলকাতার বারাসাতে আমি বসবাস করি। আমি স্টেট ইউনিভার্সিটি থেকে আমার গ্রাজুয়েশন কমপ্লিট করেছি, ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফিস এন্ড ফিসারিস সাবজেক্ট নিয়ে। বর্তমানে আমি রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যানরত আছি। আমি ব্যক্তিগতভাবে একটু শান্ত স্বভাবের । চুপচাপ থাকতেই বেশি ভালোবাসি আমি। নতুন নতুন জিনিস শিখতে আমার খুব ভালো লাগে। মাঝে মাঝে আর্ট করা, ফটোগ্রাফি করা, রেসিপি করা , গল্প লেখা আমার বেশ ভালো লাগে। আমি স্টিমিটকে অনেক ভালোবাসি এবং সব সময় স্টিমিটে কাজ করতে চাই।

🌷🌷 সমাপ্ত 🌷🌷

Comments

Sort byBest