আমার বিজয় দিবসের ছুটি যেভাবে কাটলো......
4 comments
হে লো আমার বাংলা ব্লগ বাসী। কেমন আছেন সবাই। আশা করি ভালো আছেন। আমিও অনেক ভালো আছি। আবার ও হাজির হলাম একটি পোস্ট নিয়ে। আশা করি সবার ভালো লাগবে।
কি অবস্থা সবার। আশা করি আপনারা সবাই জোশ মুড এ আছেন। আমিও আছি চমৎকার। সবাইকে প্রথমেই বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। তো আজ সবার তো ছুটি ছিলো। আমিও অনেকদিন পর ছুটি পেয়েছি। তাই দিনটা অনেক ভালো ভাবেই উৎযাপন করেছি। সব মিলিয়ে দারুণ একটি দিন পার করেছি আমি বলা চলে। আজকের সারাদিন নিয়েই আজ কথা বলবো।
অনেক দিন পর ছুটি পেলাম এমন। গত বছর বিজয় দিবসে আমাদের ছুটি দেয়নি। অবশ্য এর একটা কারণ আছে। সেটি হচ্ছে গত বছর ১৬ ডিসেম্বর ছিলো শনিবার। আর শনিবার আমাদের সার্ভিসে প্রচুর প্রেশার থাকে। ওইদিন ভালো একটা সেল হয়। তাই সেবার বন্ধ দেয়নি। এবার ও আমাদের টেরিটরি ম্যানেজার স্যার বন্ধ না বলে সেটা ডিলার স্যার দের উপর চাপাই দিলেন। কিন্তু ডিলার রা তো বন্ধ রাখবেন না কখনো। এবার আমি সহ কয়েকজন মিলে স্যার কে ধরলাম রীতিমত। স্যার এর মুখ থেকে বন্ধ কথা বলাই ছাড়লাম। এই তো এভাবে বন্ধ পেয়ে গেলাম। হাহাহা। সব সময় তো স্যার রা আমাদের চার্জ করেন। এবার আমরা স্যার কে চার্জ করেছিলাম অনেক উদাহরণ টেনে। বেস স্যার ও আমাদের চাপ এ পরে ছুটি ঘোষণা দিলেন। অবশ্য পরে আমরা সবাই স্যার কে ধন্যবাদ দিয়েছিলাম। তো যাই হোক। আজ বন্ধের দিন। গতকাল রাতে আম্মুকে বলেছিলাম অফিস নাই। তাই আমাকে যেনো সকালে না ডাকে। সকালে ঘুম থেকে উঠলাম ১১ টার দিকে। এরপর ফ্রেশ হয়ে খেয়ে নিলাম। কিছুক্ষন ইউটিউব ব্রাউজ করছিলাম। তেমন একটা ভালো লাগছিলোনা।
তখন আমার টিমমেট কে ডেকে পাবজিতে আনলাম। দুজন কয়েক ম্যাচ পাবজি খেললাম। তবে বেশির ভাগ মার খাচ্ছিলাম। এমন করতে করতে ১ টা বেজে যায়। তখন আমার কিছু কাপড় জমা ছিলো। সেগুলো ডিটারজেন্ট দিয়ে ভিজিয়ে রাখি। এরপর সেগুলো ধুয়ে গোসল করে নেই। এরপর আব্বু আম্মু আমি মিলে খাওয়া দাওয়া শেষ করি। মাঝে আমার ফ্রেন্ড সোহান মেসেজ দিয়ে বলে বের হবো কিনা। ও বাইক কিনেছে। তাই ঘুরতে যাবো এক সাথে। আমার বাইক আর ওর বাইক নিয়ে। আমি বললাম ঠিক আছে বিকালে যাবো। এরপর আবার কিছুক্ষন পাবজি খেললাম। বিকালে আমি আর সোহান বাইক নিয়ে বের হলাম। আমাদের সাথে ছিলো প্লাবন আর সচিন। প্রথমে বনরুপা গিয়েছিলাম। সেখানে ওদের বাইক চালানোর কথা ছিলো। কিন্তু যেহেতু অনেক ভিড় ছিলো তাই আর ওদের চালাতে দিলাম না। এরপর আমরা সোজা চলে যাই ৩০০ ফিট রোড হয়ে পুর্বাচল এ। সেখানে গিয়ে বাইক রাখতেই হাঁসের মাংসের ঘ্রান পাচ্ছিলাম। আমি তো ওদের বললাম খেয়ে নেওয়া যাক। তবে সবার কাছে তেমন টাকা ছিলোনা। তবুও কাচাই কুচাই সবাই ২০০ করে বাজেট নিইয়ে গেলাম দাম জিজ্ঞেস করতে। গিয়ে শুনি এখনো রেডি হয়নি সব। শুধু রাজ হাঁস আছে এখন।
কিন্তু ওটার দাম বেশি। তাই সিদ্ধান্ত নিলাম খাবোনা আমরা। এরপর চলে গেলাম অন্য এক দোকানে। সেখান থেকে তান্দুরি চিকেন অর্ডার করলাম ৩ টা । আর সাথে একজনের জন্য মালাই চিকেন। আর রুমালি রুটি অর্ডার দিলাম ১২ টা। তান্দুরি চিকেন ছিলো ১৩০ টাকা করে পিছ। আর মালাই চিকেন ছিলো ১৫০ টাকা। আর রুটি প্রতি পিছ ২০ টাকা করে। এরপর আমরা একটা ভাসমান যায়গায় বসলাম। অনেক্ষন অপেক্ষা করার পর আমাদের খাবার আসলো। খাবার গুলো ভালো ছিলো। কিছু ফটোগ্রাফি করে খাওয়া শুরু করে দিলাম। এরপর বিল চুকিয়ে এলাকায় চলে আসলাম।
░▒▓█►─═ ধন্যবাদ ═─◄█▓▒░
আমি রাজু আহমেদ। আমি একজন ডিপ্লোমা ইন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ছি সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটি থেকে। আমি বাঙ্গালী তাই বাংলা ভাষায় লিখতে ও পড়তে পছন্দ করি। ফোন দিয়ে ছোটখাট ছবি তোলাই আমার সখ। এছাড়াও ঘুরতে অনেক ভালো লাগে।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Comments