New to Nutbox?

বন্ধুদের সাথে আম পাড়তে গিয়ে শ্মশানে ভূত দেখার স্মৃতিময় গল্প// পর্ব- ১

5 comments

rayhan111
75
10 days ago5 min read

আসসালামু আলাইকুম/🌺

হ্যা লো বন্ধুরা,কেমন আছেন সবাই? আশাকরি সকলেই সুস্থ আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় খুব ভাল আছি। আমি @rayhan111 🇧🇩 বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগ থেকে।


আমাদের জীবনে স্মৃতিময় অনেক গল্প রয়েছে। আসলে বন্ধুদের সাথে ছোটবেলা হাজারো গল্প যেন আমরা পার করে এসেছি। সেই ছোটবেলার কথা মনে করতে পেরেই খুবই ভালো লাগে। এখন আমের সময়, কাঁচা আম খেতে খুবি ভালো লেগে।আর কাঁচা মিঠ গাছের আম খেতে খুবই মজা লাগে,সবাই খেতে পছন্দ করে।আজকে আমি বন্ধুদের সাথে এই কাঁচা মিঠা আম পেরে খাওয়ার একটি গল্প শেয়ার করতে আসলাম। আর এই আম পারতে গিয়ে বন্ধুদের সাথে ঘটে যাওয়া স্মৃতিময় একটি গল্প খুব মনে পড়ছিল। এই গল্পটি আজকে তাই আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম। আসলে আমাদের গ্রামের একটি শ্মশান আছে।তার পাশে দুটি আম গাছ আছে। কাঁচা মিঠা গাছের আম দিনের বেলা পেরে খাওয়া যায়না।কারণ গাছের মালিক সারা দিন সেই গাছের নিচে শুয়ে বসে থাকে।তো বন্ধুরা আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম। সেই গাছ থেকে আমপাড়ার স্মৃতিময় গল্প।তো বন্ধুরা চলুন এই গল্পটি পড়া শুরু করা যাক।


castle-1483681_1280.jpg

source

তো গ্রামের এই শ্মশানের পাশে যে দুটি আমগাছ রয়েছে। এখানকার আম খুবই মিষ্টি, যার কারণে সবাই এই আম খেতে চায়তো,তো আম গাছের মালিক খুবই করা টাইপের লোক ছিল। যার কারণে সে আম পারতে দিত না, আর সে আমতলায় বসে থাকতো,কিভাবে আম পারা যায় এটা নিয়ে গ্রামের মধ্যে বড়দের অনেক পরিকল্পনা করতে দেখেছি তারা রাতের বেলা এই গাছ থেকে আম পেড়ে খেয়েছে, কিন্তু আমরা ছিলাম ছোট আমরা রাতের বেলা কিভাবে পারবো আমরা খুব ভয় পেতাম।আমরা ভয় পেতাম, কারণ এই আম গাছের পাশেই ছিল শ্মশান। আর এই শ্মশানে অনেক ভয়ানক জিনিস রয়েছে। শ্মশানের পাশ দিয়ে দিনের বেলায় কেউ হেঁটে যেতে ভয় পেত। কারণ এখানে নাকি অনেক ভূত রয়েছে। আর এই ভূতের গল্প অনেক শুনেছি, আসলে শ্বশানে যে ভূত রয়েছে এই ভূতের গল্প দাদা-দাদী এবং বড়দের কাছে অনেক গল্প শুনেছি,তাই ভয়টা বেশি ছিলো।


শ্মশানে যে ভূত রয়েছে এই ভূতের একটি গল্প শুনেছিলাম। সেই গল্পটি হল একজন মানুষ শ্মশানের পাশ দিয়ে ইলিশ মাছ কিনে নিয়ে বাড়ি যাচ্ছিল সন্ধাবেলা।আর সে বাড়ি গিয়ে দেখে তার ব্যাগের ভিতর কোন ইলিশ মাছ নেই। শুধু কাঁটাগুলো পড়ে রয়েছে। এই গল্পটি আমি আমার দাদীর কাছে শুনেছিলাম। এই গল্পটি শুনেই এতটা ভয় পেয়েছিলাম, যে মাছ কিভাবে ব্যাগের ভিতর থেকে খেয়ে কাঁটা বানিয়ে দিল। তার পরে আরো অনেক গল্প শুনেছি, এখান দিয়ে রাতের বেলা কেউ আসতো না, ভয় পেতো। অনেকের সামনে সাদা পোশাক পরে দাঁড়িয়ে যেত। কিংবা সে আর যেতে পারত না, অনেক ধরনেরই ভুতের গল্প শুনেছি তাই খুবি ভয় পেতাম।তাই আমি দিনের বেলা ছাড়া কখনো এই আম গাছের আশেপাশে আসতাম না।


fantasy-2847724_1280.jpg

source

আমরা ছিলাম পাঁচ বন্ধু, পাঁচ বন্ধুর মধ্যে দুজনের খুবই সাহস ছিলো। ওদের এতটা সহজে ওরা রাতের বেলা মাছ ধরতে যেত একা একাই। তাও ওরা ভয় পায় না। ওরা বলল যে গাছে উঠবো আম পারবো, তোরা শুধু সাথে থাকবি। কোন সমস্যা হবে না। আমি যেতে চাইলাম না কিন্তু আমার আর দুই বন্ধু আমাকে ছাড়লো না, আমাকে নিয়ে যাবে রাতের বেলা শ্মশানের পাশে আম পারার কথা ভেবে যেন শরীরের ভিতরে আমার খুবই ভয় হচ্ছিল। গায়ের কাটা খারাপ হয়ে যাচ্ছিল। তারপরেও বন্ধুরা খুবই সাহস দিচ্ছিল, যে তুই শ্মশানের দিকে তাকাবি না।শ্মশানের দিকে না তাকালে কি হবে, আম পাড়তে যাব এটাই যেন মনের ভিতরে ভাবতে ভাবতে আমি ভয় পাচ্ছিলাম। যে হঠাৎ করে যদি আম গাছের মালিক চলে আসে, কিংবা কোন ভুল যদি সামনে চলে আসে। তাহলে তো ভয়ে অজ্ঞান হয়ে যাব। তখন কি হবে তারপরে বন্ধু খুবই সাহস দিচ্ছিল, বলল কিছুই হবে না আম পাড়তে আজকে রাতেই যাব, রাত ১১ টার দিকে। আসলে দশটার পরে আর আমতলা কেউ থাকেনা, যার কারণে এগারোটার দিকে আমরা বন্ধুরা মিলে সময় ঠিক করে রাখলাম।


আমরা রাত ১১ টার দিকে আম পারতে যাব, কিন্তু গ্রামাঞ্চলে এগারোটা মানে অনেক রাত। এই সময় তো বাড়ি থেকে বের হতে দিবে না। তাই আমরা আগেই পরিকল্পনা করেছিলাম আমরা এক বন্ধুর বাড়িতে থাকব, বন্ধুর নাম হলো সাজু। সাজুর বাড়িতে আমরা থাকলাম, আর রাতের বেলা আমরা সেখানে পিকনিক করার জন্য প্রত্যেকে একটি করে ডিম কিনে নিয়ে আসলাম আসলে পিকনিক খাওয়াটা মেইন উদ্দেশ্য ছিল না। তবে একসাথে থাকার জন্য এই পিকনিকের আয়োজন করা হলো।আমরা সকল বন্ধুরা মিলে পিকনিকের সেই মুহূর্তটা আনন্দের সাথে উপভোগ করলাম। তারপর রাতের খারার খেয়ে আমরা বাইরে বসে ছিলাম, তারপর আম পারার জন্য বাড়ি থেকে বের হলাম, যখনই বের হলাম তখন যেন খুবই ভয় হচ্ছিল আমার।


তারপর আমরা বাড়ি থেকে বের হয়ে আমতলা আসলাম। আমতলা এসে দেখতে পেলাম কেউ নেই একদম নিরিবিলি। আমার দুই বন্ধু দুটি আম গাছে উঠলো। কাঁচা মিঠা দুটি আম গাছে ছিল, তবে এই গাছ বেশি বড় ছিল না। তারা আম গাছে উঠে আম পারা শুরু করে দিল। তারপরে হঠাৎ কি যেন একটা শব্দ হলো, শব্দটা পেয়ে যেন ভয় পেয়ে গেলাম। তো বন্ধুরা আজকের পর্ব এখানে শেষ করছি ম কিসের শব্দ পেয়ে ভয় পেয়েছিলাম এবং গল্পের বাকি গল্পটুকু আপনাদের সাথে দ্বিতীয় পর্বের মাধ্যমে আগামীতে শেয়ার করবে ইনশাআল্লাহ। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন, এবং আশা করছি আগামী পর্বের জন্য অপেক্ষা করবেন। 🙏🤲🙏

আমার পরিচয়

IMG_20211018_182622.jpg

আমার নাম মোঃ রায়হান রেজা।আমি বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগে সিরাজগঞ্জ জেলায় বসবাস করি। আমি বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে নিজেকে গর্বিত মনে করি। আমি আমার জন্মভূমিকে খুবই ভালোবাসি। আমি পেশায় একজন সহকারী মেডিকেল অফিসার ।আমি সর্বদাই গরীব-দুঃখীদের সেবায় নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই। আমি ফটোগ্রাফি করতে খুব ভালোবাসি এবং নতুন সৃজনশীলতার মাধ্যমে কিছু তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে।এই ছিল আমার সংক্ষিপ্ত পরিচয়, আপনারা সবাই আমার পাশে থেকে আমাকে সাপোর্ট দিয়ে উৎসাহিত করবেন, ধন্যবাদ সবাইকে🌹💖🌹।

Amar_Bangla_Blog_logo_png.png

👉 বিশেষভাবে ধন্যবাদ সকল বন্ধুদের যারা এই পোস্টকে সমর্থন করছেন🌺🌹🌺

Posted using SteemPro Mobile

Comments

Sort byBest