ইলিশ মাছ নিয়ে শৈশবের মজার স্মৃতি
5 comments
আমি @rahnumanurdisha বাংলাদেশ থেকে। কেমন আছেন আমার বাংলা ব্লগ এর সকল ইন্ডিয়ান এবং বাংলাদেশি বন্ধুরা?আশা করছি সকলেই অনেক ভালো আছেন?আমিও ভালো আছি আপনাদের দোয়ায়।ফিরে এলাম আপনাদের মাঝে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে।
আজকে আপনাদের সাথে আমার শৈশবের একটি মজার ঘটনা শেয়ার করব।প্রত্যেকের জীবনে শৈশবের সময়টা খুব ভালো কাটে।যদিও এই বিষয়টি শৈশবে থাকাকালীন বোঝা যায় না। যেমনটি আমরা আগে বুঝিনি কিন্তু এখন ঠিকই উপলব্ধি করতে পারি আমাদের জীবনের বেস্ট সময়ের কথা আসলেই যেন শৈশবকে বলি সবাই।আমার মতে,শৈশব,কৈশোরের সময়টায় মানুষের জীবনে গোল্ডেন পিরিয়ড ।
আমার শৈশব একজায়গায় যদিও কাটেনি।কারণ আব্বুর ট্রান্সফার হতো কয়েক বছর পরপর।তাই ভিন্ন ভিন্ন জায়গার অভিজ্ঞতা আমার রয়েছে।তবে সব জায়গায় আমি আমার বয়সের সঙ্গী পেয়েছিলাম এজন্য আমার সময়টা ভালো কেটেছে।একসাথে স্কুলে যাওয়া তারপর বিকেলে খেলাধুলা ।স্কুলে বিরতির সময়গুলোকেও খেলাধুলায় কাজে লাগানো।আমি যেহেতু কেজি স্কুলেও পড়েছি স্যার ও আমাদের সাথে বসে যেতেন গুটি খেলতে।অন্যদের সাথে আমি ঐভাবে ভালো গুটি খেলতে পারতাম না।তাই স্যার আমার পক্ষে থাকতেন ।আর পরে গিয়ে দেখা যেত আমি এবং স্যার হেরে গিয়েছি। কিন্তু আমার বান্ধবীরা জিতে যেত।তবে জিতে গেলেও সবাই আমদের কেই বলতো স্যার থাকার জন্য যে আমরাই জিতেছি,হাহা ।এইটা কিন্তু বেশ মজার লাগতো আমার কাছে হেরে গিয়েও জিতে যাওয়ার যে ফিলটা।
তো চলুন সেই মজার ঘটনাটি আগে বলি আসলে এই স্মৃতিগুলো বলতে থাকলে শেষ করা যাবেনা একটি পোস্টে।যখন ছোট ছিলাম সবার কথা খুব সহজেই বিশ্বাস করতাম।সবার বলতে ওই সময় তো টিচার এর কথা কিন্তু বাচ্চারা বিশ্বাস করে ।এইটা আপনারা লক্ষ্য করবেন একজন বাচ্চা স্কুল থেকে যদি একটি বিষয় ভুল শিখেও আসে।আপনি যদি তাকে সঠিক টা শেখান সে আপনাকে বিশ্বাস করবেনা।কারণ তার কাছে তার টিচার ই একমাত্র সঠিক।
তো ২০০৯ এর দিকে তখন আমি চতুর্থ শ্রেণীতে পড়ছিলাম।একদিন ক্লাসে স্যার বিজ্ঞানের জৈব সার বিষয়ক কোনো পড়া বুঝাতে গিয়ে হঠাৎ বলেন।ইলিশ মাছ সকল বর্জ্য পদার্থ খায় যেমন - মরা গরু,ছাগল,মানুষ ,ইত্যাদি ।আর আমার ধারণা ছিল যে ইলিশ মাছ তো পদ্মায় থাকে।আর প্রতি বছর যেসব নৌকা,জাহাজ,ফেরি ডুবে যায় আর নিখোঁজ লাশ গুলো তো আর পাওয়া যায়না। ওগুলোই খেয়ে মনে হয় ইলিশ মাছ বাঁচে।তো ইলিশ মাছ সর্ম্পকে আমার বেশ ভালো ধারণা হয়ে গিয়েছিল সেদিন ক্লাস থেকে।এবার আমি বাড়িতে চলে আসলাম।আর আম্মু ওইদিন আবার ইলিশ মাছ রান্না করেছিল বাসায়।আমাকে আর কে খাওয়ায় ওই মাছ।কেন খাব না জিজ্ঞেস করলে ওই বিষয় গুলো বলি ।তো ওই স্যার আবার আমাকে বাসায় পড়াতে আসতেন বিকেলে।এবার স্যার আসলে আম্মু বিষয়টি স্যারকে বললেন। স্যার বললেন আরে বোকা সব মাছ এগুলো খায় তাই কি তুই সব মাছ খাবিনা?আর মরে যাওয়া মানুষ,গরু,ছাগল এগুলো পাবে কোথায় যে ইলিশ মাছ খাবে।
স্যার তো খেতে বললেন আর বুঝলেন এগুলো কোনো বিষয় না।কিন্তু আমি তো যা বোঝার বুঝে গিয়েছিলাম।সেদিন থেকে মূলত আমার ইলিশ মাছ খাওয়া বন্ধ হয়।আর এই মাছ না খাওয়ায় ব্যাপারটা চলে ইন্টারমিডিয়েট লাইফ পর্যন্ত।এর মাঝে বাসায় সবাই খেত ঠিকই মাঝে মাঝে অন্য মাছ নাম করে খাওয়াতো।কিন্তু যখনই মুখে দিতাম বুঝতাম ইলিশ মাছ আর খাওয়া বন্ধ করে দিতাম ।এভাবেই অনেকদিন প্রায় সাত থেকে আট বছর পর থেকে ইলিশ মাছ খাওয়া শুরু হলো এখন আর অসুবিধা লাগেনা খেতে গেলে।অন্যদিকে এখন এই মাছ আমার ভাই খায়না আর এক কাজিন, ওদের নাকি এই স্মেল ভালো লাগেনা।তবে আমার স্মেল এর জন্য না ওই বিষয়টির জন্য খাওয়া হতো না।এমন বিষয় ছিল না খেতে খেতে যে,ওই মাছের স্মেল সহ্য করতে পারতাম না।
যত সহজে বলছি এটা আমার একটি মজার বিষয় শৈশবের।কিন্তু আসলেই শৈশবের সময়টায় মোটেও মজার ছিলনা।অনেকটাই বিরক্তির বিষয় ছিল এই ইলিশ মাছ।
ধন্যবাদ সবাইকে আমার ব্লগটি পড়ার জন্য।আমার আজকের ব্লগটি কেমন লেগেছে কমেন্টে জানতে ভুলবেন না কিন্তু বন্ধুরা । আবার নতুন কোনো ব্লগ নিয়ে খুব শীঘ্রই আপনাদের মাঝে উপস্থিত হবো।
Post by-@rahnumanurdisha
Date -14th November,2024
VOTE @bangla.witness as witness
OR
VOTE @bangla.witness as witness
Comments