ছোট ভাইয়ের শীতের শপিং
14 comments
আমি @rahnumanurdisha বাংলাদেশ থেকে। কেমন আছেন আমার বাংলা ব্লগ এর সকল ইন্ডিয়ান এবং বাংলাদেশি বন্ধুরা?আশা করছি সকলেই অনেক ভালো আছেন?আমিও ভালো আছি আপনাদের দোয়ায়।ফিরে এলাম আপনাদের মাঝে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে।
শীতকাল দুয়ারে কড়া নাড়তে শুরু করে দিয়েছে। যেহেতু নভেম্বর মাস চলে তাই দিনের বেলায় গরম আর রাতে শীত আরম্ভ হয়ে গিয়েছে। যদিও ট্যাংকের পানি এখনো খুব একটা ঠান্ডা হয়নি তবে আশা করা যাচ্ছে খুব শীঘ্রই ঠান্ডা হতে শুরু করে দিবে। শীতকাল খাওয়া-দাওয়ার জন্য শ্রেষ্ঠ একটি সময় ।তবে এই সময়টা রোগব্যাধি বাসা বাঁধে সবার শরীরে বিশেষ করে ঠান্ডা, সর্দি ,কাশি ইত্যাদি। আর যাদের শ্বাসকষ্ট নিয়ে আসে তাদের তো আরো খারাপ অবস্থা।যাইহোক নাতিশীতোষ্ণ আমাদের বাংলাদেশ, তাই বছরের সকল ঋতু আমাদের উপভোগ করা হয়। এদিক দিয়ে আমরা খুবই লাকি আমরা উভয় ফিলিংসি নিতে পারি। আমাদের সোনার বাংলাদেশ এজন্যই সবদিকে সেরা।আমরা বাঙালিরা আসলেই অনেক সৌভাগ্যবান অনেক কাছে থেকে ঋতু পরিক্রমা গুলো দেখতে পারি।
গতকাল মার্কেটে গিয়েছিলাম একটু কেনাকাটা করার জন্য। শীতকালে আসতে না আসতেই যেন কেনাকাটার ধুম পড়ে গিয়েছে। মার্কেটে অনেকটাই ভিড় মনে হচ্ছে ঈদের আমেজ বিরাজ করছে।যদিও বিকেল বেলায় মানুষের যাতায়াত একটু বেশি থাকে মার্কেটে এজন্যই হয়তোবা ভিড় ।তো সবার জন্যই কমবেশি কেনাকাটা করা হয়েছে।তবে আজ আমি আপনাদের সাথে আমার ভাই এর শপিং গুলোই শেয়ার করব।
তো শীতের দিন যেহেতু এসে পড়েছে তাই বিকেলে খুব একটা টাইম পাওয়া যাবেনা।এজন্য আমরা দুপুর আড়াইটার মধ্যেই বাসা থেকে বেরিয়ে পড়েছিলাম।আব্বু ,আমি আর ভাই গিয়েছিলাম মূলত মার্কেটে।বাসা থেকে বেরিয়ে সোজা মার্কেটার উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম।আমাদের আধ ঘণ্টা মত লাগলো।তারপর মার্কেটে পৌঁছে প্রথমে চলে গেলাম ইজির শোরুমে। ওখানে গিয়ে আমার ভাইয়ের পছন্দ মত একটি শীতের কাপড় হুডি কিনলাম।তারপর আরো একটি টি-শার্ট নিলাম। তারপর ওখান থেকে বেরিয়ে সোজা মার্কেটে চলে গেলাম। মার্কেটে গিয়ে যে দোকান থেকে আমার ভাইয়ের শার্ট এবং প্যান্ট কেনা হয় সেখানে গেলাম সরাসরি।কারণ এখানেই ভালো মানের শার্ট ,প্যান্ট পাওয়া যায়। আর যেহেতু অনেকদিন ধরেই শপিং করা হয় এই দোকান থেকে আঙ্কেলের সাথে অনেক ভালো পরিচয় হয়ে গিয়েছে।
ভাইয়ের পছন্দ মতোই প্যান্ট নেওয়া হলো। কিন্তু শার্ট আব্বুর পছন্দ নেওয়া হলো। আমার ভাইয়ের আবার কালো রঙ পছন্দ। কিন্তু অনেকগুলো শার্ট যেহেতু ওই একই রঙের রয়েছে ।তাই আমি বললাম এবার অন্য রঙের নিতে। এজন্য সাদা শার্ট নেওয়া হলো।এখানে মোট খরচ পড়েছিল সাড়ে তিন হাজার টাকা। ভাইয়ের শপিং শেষ করে আমরা চলে গেলাম গজ কাপড় কিনতে ত। সেখানে গিয়ে কয়েক গজ কাপড় নেওয়া হলো। তারপর কয়েকটি থ্রিপিস নেওয়া হলো বাসায় পরার জন্য। মোটামুটি এগুলো শপিং করতেই বিকেল পাঁচটা বেজে গিয়েছিল আমাদের। তারপর কিছু কেনাকাটা ছিল বাসার জন্য সেগুলো সেরে নিলাম আমরা। তারপর আর দেরি না করে মার্কেট থেকে বেরিয়ে সোজা বাসায় চলে এলাম। বাসায় পৌঁছাতে প্রায় সন্ধ্যা লেগে গিয়েছিল।
ধন্যবাদ সবাইকে আমার ব্লগটি পড়ার জন্য।আমার আজকের ব্লগটি কেমন লেগেছে কমেন্টে জানতে ভুলবেন না কিন্তু বন্ধুরা । আবার নতুন কোনো ব্লগ নিয়ে খুব শীঘ্রই আপনাদের মাঝে উপস্থিত হবো।
Post by-@rahnumanurdisha
Date -12th November,2024
VOTE @bangla.witness as witness
OR
VOTE @bangla.witness as witness
Comments