এলোমেলো কিছু ফটোগ্রাফি। ফটোগ্রাফি পর্ব -৬২
9 comments
কেমন আছেন " আমার বাংলা ব্লগ " পরিবারের সবাই ? আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় সবাই খুব ভালো আছেন। আপনাদের আশীর্বাদে আমিও খুব ভালো আছি। আজ আমি আবারও আমার তোলা কিছু এলোমেলো ফটোগ্রাফি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি। আশাকরি আপনাদের খুব ভালো লাগবে।
ক্যামেরা পরিচিতি : Canon
ক্যামেরা মডেল : Canon EOS 7D
ক্যামেরা লেংথ : 600 mm
লোকেশন : নদীয়া, উত্তর ২৪ পরগনা, ইন্ডিয়া।
আসলে আমি এক জায়গাতেও বিভিন্ন ধরনের ছবি তুলেছিলাম। আর আমি যে জায়গাটিতে এসেছি সেই জায়গাটিতে প্রায় সব জায়গায় এই বি-ইটার নামক পাখিটি একদম ভরপুর ছিল। আসলে যে জায়গাতে কীটপতঙ্গের সংখ্যা বেশি থাকে সেই জায়গাতে সাধারণত এই ধরনের পাখি সব থেকে বেশি দেখা যায়। যদিও এখানে দুই পাশে বিভিন্ন ধরনের ছোট বড় অনেক পুকুর রয়েছে। তবুও এইসব ছোট ছোট বনের ভিতর এইসব পাখির কিচিরমিচির আওয়াজ সত্যিই খুব ভালো লাগছিল।
ক্যামেরা পরিচিতি : Canon
ক্যামেরা মডেল : Canon EOS 7D
ক্যামেরা লেংথ : 600 mm
লোকেশন : নদীয়া, উত্তর ২৪ পরগনা, ইন্ডিয়া।
আসলে এই পাখিগুলোর ছবি তোলা বড়ই কঠিন। যেহেতু এই পাখি খুব দ্রুত উড়ে গিয়ে এক গাছ থেকে অন্য গাছে চলে যায়। তাই এই দ্রুত অবস্থায় এই পাখির ছবি তোলা মোটেও সম্ভব নয়। আসলে আমরা বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন ধরনের জিনিস দেখে থাকি। কিন্তু গ্রাম-বাংলায় ঘুরতে গেলে আপনি এক জায়গায় অনেক জিনিসের প্রাচুর্য দেখতে পারবেন। যেদিকে তাকাবেন সেদিকেই নতুন নতুন প্রাকৃতিক দৃশ্য আপনি দেখতে পাবেন। এছাড়াও আপনি চারিদিক ঘুরে অনেক সুন্দর সুন্দর মনোরম দৃশ্যের ছবিও তুলতে পারবেন।
ক্যামেরা পরিচিতি : Canon
ক্যামেরা মডেল : Canon EOS 7D
ক্যামেরা লেংথ : 600 mm
লোকেশন : নদীয়া, উত্তর ২৪ পরগনা, ইন্ডিয়া।
আসলে এই চরম রোদের ভিতর আপনি আপনার ক্যামেরা দিয়ে তেমন বেশি একটা ছবি তুলতে পারবেন না। কারণ এক দিক থেকে আপনি ঘেমে যাবেন এবং অন্য দিক থেকে আপনি আলোর দিকে ঠিকঠাক করে ফোকাস করতে পারবেন না। সব থেকে আরেকটা বড় প্রবলেম হচ্ছে যে আপনি যখন আপনার ক্যামেরার ভিউ ফাইন্ডার দিয়ে কোন ছবি তুলতে যাবেন তখন ঘামের জলের জন্য আপনার চোখ দিয়ে ঠিকঠাক করে সেই ছবি আপনি দেখতে পারবেন না। যদিও এই ব্যাপারটি আমার সাথে প্রতিটা গরমকালে হয়ে থাকে।
ক্যামেরা পরিচিতি : Canon
ক্যামেরা মডেল : Canon EOS 7D
ক্যামেরা লেংথ : 600 mm
লোকেশন : নদীয়া, উত্তর ২৪ পরগনা, ইন্ডিয়া।
যেহেতু আমি আর একটু মাঠের ভিতরের দিকে প্রবেশ করতে শুরু করলাম। আর আমি সামনে এগিয়ে একটা মরা গাছের ডালে কতগুলো বি-ইটার দেখতে পেলাম। আসলে ছবিটা খালি চোখে দেখে যেমন মনে হচ্ছিল কিন্তু যখন আমি আমার ক্যামেরায় সেই ছবিটা তুললাম তখন আমার কাছে ছবিটা অন্যরকম মনে হচ্ছিল। কিন্তু ছবিটা তুলতে আমার আরেকটু সমস্যা হচ্ছিল। কারণ যেহেতু আমার কাছে জুম লেন্স তেমন একটা ছিল না। আর পাখিটিও একদম গাছের মগডালে বসে আছে। আর এত দূরত্বের ছবি তুলতে আমার একটু বেশি কষ্ট হচ্ছিল।
ক্যামেরা পরিচিতি : Canon
ক্যামেরা মডেল : Canon EOS 7D
ক্যামেরা লেংথ : 600 mm
লোকেশন : নদীয়া, উত্তর ২৪ পরগনা, ইন্ডিয়া।
এরপর আমি দেখতে পেলাম যে আমার ক্যামেরার ছবি তোলা দেখে কয়েকটি পাখি সেই গাছ থেকে উড়ে পালালো। হয়তোবা তারা ভেবেছে যে কোন পাখির শিকারি এসে তাদের শিকার করছে। আসলে এটা কিন্তু পাখিদের মোটেও ভুলভ্রান্তি নয়। কারণ বিভিন্ন পাখি শিকারীরা প্রতিনিয়ত যে হারে পাখি শিকার করছে তাতে করে দেশে পাখির সংখ্যা অনেকটা কমে যাচ্ছে। এছাড়াও বর্তমান সময়ে মাঠঘাটে তেমন একটা বেশি পাখি আর দেখা যায় না। যাইহোক আমি বাকি পাখিদের ছবি তুলতে শুরু করলাম।
ক্যামেরা পরিচিতি : Canon
ক্যামেরা মডেল : Canon EOS 7D
ক্যামেরা লেংথ : 600 mm
লোকেশন : নদীয়া, উত্তর ২৪ পরগনা, ইন্ডিয়া।
যেহেতু বাইরের আলো অনেকটা কমে আসছিল এবং ছবি তুলতে একটু বেশি অসুবিধা হচ্ছিল। তাই আমি আর বেশি দেরি করলাম না। আমি হাঁটতে হাঁটতে মাঠের অনেকটা ভেতরের দিকে চলে এসেছিলাম। তাই আমার অন্ধকার হয়ে যাওয়ার আগে স্টেশনের দিকে হেঁটে পৌঁছাতে হবে। আর গ্রামাঞ্চলের দিকে একটু অন্ধকার হলেই আর কোন যানবাহন পাওয়া যায় না। তাই আমি আর দেরি না করে ক্যামেরাটি ব্যাগে ঢুকিয়ে বাড়ির দিকে রওনা দিলাম। যাইহোক আজকের দিনের মত আমার পাখির ফটোগ্রাফি শেষ হয়ে গেল।
আশাকরি আজকের এই ফটোগ্রাফিক পোস্টটি আপনাদের খুব ভালো লেগেছে। আর ভালো লাগলে কমেন্ট করতে অবশ্যই ভুলবেন না।
সবাই ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন দেখা হবে পরবর্তী পোস্টে।
Comments