পরিবেশ রক্ষা করতে গাছ লাগান খুবই গুরুত্বপূর্ণ
15 comments
বর্তমানে বাংলাদেশে আবহাওয়ার অবস্থা এতটাই ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে, মানুষের বসবাস যেন অনেক কষ্টকর হয়েছে।আর এই আবহাওয়ার সৃষ্টি করার পেছনে আমরাই দায়ি। ৪১, ৪২, ৪৩ ডিগ্রি তাপমাত্রা আর এত তাপমাত্রা হওয়ার কারণে মানুষের জীবনমানের উপরে বড় ধরনের প্রভাপ ফেলছে। মানুষ দ্রুত অসুস্থ হয়ে যাচ্ছে। পরিবারে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েছে। আর এই পরিবেশের মধ্যে বসবাস করা আসলে খুবই কষ্টকর। এতো গরমের মধ্যে আমরা জীবন পার করছি। প্রতিটা জায়গায় যেন প্রচন্ড গরম, আর এই গরমে নিজেদেরকে টিকিয়ে রাখা যাচ্ছে না। বিশেষ করে বাড়ির বৃদ্ধ ও শিশুদের জীবনের ওপর বড় ধরনের ঝুকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।এই গরমে জ্বর ঠান্ডা সর্দি কাশি যেন বাচ্চাদের লেগেই রয়েছে। হাসপাতালে গিয়েছিলাম সেখানে গিয়ে দেখতে পেলাম, হাজার হাজার রোগী এই গরমের কারণে তারা ভর্তি হয়েছে। গরমের কারণে শিশুরা বেশি অসুস্থ হয়ে যাচ্ছে এবং তাদের ডায়রিয়া ওর পানি শূনতা বেশি দেখা দিয়েছে এবং বৃদ্ধদের হাই প্রেসার ও স্টোকের পরিমাণ যেন অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছে।
আমাদের বাড়ির পাশে এক বড় ভাই রয়েছে। সে গতকাল বাজারে গিয়েছিল, বাজারে গিয়ে প্রচন্ড রোদের মধ্যে বাজার করে যখন দুপুরবেলা বাড়ি আসতে ছিল, বাড়ি আসার পথে এসে অজ্ঞান হয়ে রাস্তায় পড়ে ছিলো।সাথে সাথে কয়েকজন লোক থাকে ধরে হাসপাতালে নিয়ে গেল এবং আমরা যখন হাসপাতালে গিয়ে দেখতে পেলাম, সেই মেডিসিন বিভাগে ভর্তি রয়েছে এবং এই মেডিসিন ওয়ার্ডে অনেক রোগী রয়েছে যারা স্ট্রোক করেছে। ওদের কাছে জানতে পারলাম তারা নাকি এই গরমের কারণে স্ট্রোক করেছে। আসলে বাংলাদেশের প্রতিটা বিভাগে এখন এ পরিমাণের প্রচন্ড তাপমাত্রা ও গরম, যার কারণে স্ট্রোকের পরিমাণ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
বর্তমানে প্রচন্ড গরম ও বেশি তাপমাত্রা হওয়ার কারণ আমরা নিজেরাই এরকম পরিবেশ সৃষ্টি করেছি। কারণ আমরা প্রতিনিয়ত গাছপালা কেটে পরিবেশকে বসবাসের অনুপযোগী করছি। আসলে গাছ আমাদের পরম বন্ধু, এমন একটা বন্ধু গাছ যে আমাদের সব সময় উপকার করে থাকে। গাছ কখনোই আমাদের অপকার করে না। আমাদের সব সময় উপকার করে, এই পরিবেশে বসবাস করার কোন উপযোগী করে দেয়। আর সেই প্রিয় বন্ধু আজকে আমরা কেটে প্রতিনিয়ত শেষ করে দিচ্ছি।আমরা স্কুল কলেজ, মাদ্রাসা হাটবাজার তৈরি করছি এই গাছ কেটে কিন্তু গাছ কেটে যখন আমরা তৈরি করছি, তার পরিবর্তে আমরা গাছ আর লাগাচ্ছি না।
গাছ আমাদের পরম বন্ধু। আমাদের প্রয়োজনীয় কাজে গাছের দরকার হয়। সেজন্য আমরা গাছ কাটি কিন্তু এই গাছ কাটার পরিবর্তে আমরা যে গাছ লাগাবো সেই কাজটা আমরা আর করি না। যার কারণে আমাদের পরিবেশের বসবাসের অনুপযোগী হয়ে যাচ্ছে। এখন আমরা দেখতে পাবেন বর্তমানে যদি ৪০ ডিগ্রি তাপমাত্রা হচ্ছে। আর কোন গাছের নিচে গেলে সেখানকার তাপমাত্রা মেপে দেখবেন ৩৫ ডিগ্রি তাপমাত্রা। সর্বনিম্ন হলেও আপনি পাঁচ থেকে ছয় ডিগ্রি তাপমাত্রা এই গাছের নিচে গিয়ে কম পাবেন। আর এভাবে যদি আমাদের পরিবেশের মধ্যে গাছ লাগানো হয় তাহলে এত গরমে এবং তাপমাত্রা থাকতো না। তাই আমরা যদি আমাদের পরিবেশকে রক্ষা করার জন্য গাছ এভাবে কেটে শেষ না করি এবং প্রতিনিয়ত গাছ লাগাই তাহলে অবশ্যই এই পরিবেশ বসবাস করতেএত গরম ও এতো প্রচন্ড তাপমাত্রার মধ্যে আমাদের জীবন প্রবাহিত করতে হতো না।
আসলে আমরা যদি প্রতিনিয়ত আমাদের পরিবেশকে রক্ষা করতে চাই এবং পরিবেশের মঙ্গল কামনা করতে চাই ও আমাদের জীবনমানকে সুস্থভাবে বেঁচে থাকার জন্য বসবাসের উপযোগী করতে চাই। তাহলে আমাদের গাছ লাগাতে হবে এবং গাছ লাগালে হবে না সেই গাছের যত্ন করতে হবে। গাছের যদি আমরা প্রতিনিয়ত যত্ন করে থাকি, তাহলে এই গাছ দ্রুত বড় হবে আর এই গাছ আমাদের বসবাসের জন্য সুন্দর পরিবেশ সৃষ্টি করে দিবে। যার কারণে আমাদের পরিবেশ হবে আরামদায়ক এবং বসবাসের উপযোগী। তাই আমাদের প্রত্যেকেরই উচিত গাছ লাগানো,তাই রাস্তার পাশ দিয়ে ফাঁকা জায়গা ফেলে না রেখে রাস্তার ধার দিয়ে যদি আমরা গাছ লাগাই, তাহলে আমাদের পরিবেশ অনেক উন্নত হবে। আপনি দেখতে পাবেন গ্রামের তুলনায় শহরের তাপমাত্রা বেশি, কারণ শহরে আমরা গাছপালা কেটে বিল্ডিং তৈরি করেছি প্রতিনিয়তো।তাই শুধু গ্রাম নয়, শহর অঞ্চলেও গাছ লাগানো প্রয়োজন। কারণ শহরে এই গাছ না থাকার কারণেই তাপমাত্রায় বেশি থাকে, আর আমাদের বসবাসের অনুপোযোগী হয়ে যায়। তারপরে আমরা প্রচন্ড ভাবে এসি ব্যবহার করি। আর এই এসি শহরের আশেপাশে ঠান্ডা বাতাস গুলো নিয়ে নেয় এবং গরম বাতাস ছেড়ে দিচ্ছে, যার কারণে পরিবেশটা যেন বসবাসের অনুপযোগী হয়ে যাচ্ছে। তাই আমাদের বেশি বেশি গাছ লাগালে এই সমস্যা থেকে সমাধান পাওয়া যাবে।
আজ এখানেই শেষ করছি। অন্য কোন একদিন ভিন্ন ধরনের কনটেন্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হব। ততক্ষন পর্যন্ত আপনারা সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন, আল্লাহ হাফেজ।
👉বিশেষভাবে ধন্যবাদ সকল বন্ধুদের যারা এই পোস্টকে সমর্থন করছেন🌺🌹🌺
Comments