জেনারেল রাইটিং: পিঁপড়ার ডিম খুঁজতে গিয়ে কামরাঙ্গা মাখা খাওয়ার অনুভূতি।
3 comments
🌿আমি মোঃ আশিকুর রহমান। আমি বাংলাদেশ 🇧🇩 থেকে বলছি। আমার স্টিমিট আইডির নাম @ayaan001।
কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে অনেক ভালো আছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে জেনারেল পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। কয়েকদিন আগে আমি ডিউটি করছিলাম দুপুরের দিকে। দুপুরটা ছিল খুবই তীব্র রোদ্দুরে ভরপুর। অন্যান্য দিনের তুলনায় এই দিনে অনেক বেশি গরম পড়ছিল। এমন সময় উপর থেকে আমারে এক ছোট ভাই আসলো গোশল করার উদ্দেশ্য নিয়ে। তার নাম হলো ফরোজ, সে খুবই ভালো ছেলে তার সাথে আমার সম্পর্ক একেবারে বন্ধুর মতো যদিও আমিও তার দুই বছরের সিনিয়র। আমাকে দেখে ফিরোজ বললো ভাই চলেন বাগানে গিয়ে দেখি পিপড়ার ডিম পাওয়া যায় কিনা। আমাদের অফিসের পাশে নিচু জমি আছে সেখানে পানি জমে থাকে যার কারণে সেখানে কম বেশি মাছ পাওয়া যায়। আর এর কারণে আমরা টোপ খোঁজ করি মাছ ধরার জন্য।
এরপর আমরা সেখান থেকে গেলাম বাগানের দিকে বাগানে গিয়ে প্রতিটা গাছের ডালে ডালে লক্ষ্য করে দেখলাম কোন পিঁপড়ার বাসা আছে কিনা তবে অনেক খোঁজাখুঁজির পর আমরা পিঁপড়ার কোন বাসায় খুঁজে পেলাম না। যদি একটি বাসা পেয়েছিলাম তবে সে বাসায় কোন ডিম ছিল না। আমরা যখন ডিম পেলাম না তখন আমি বললাম চলো দেখে কামরাঙ্গা গাছের দিকে যাই যদি কোন কামরাঙ্গ পাওয়া যায় তাহলে মাকে খাওয়া যাবে। আমার কথা শুনে ফিরোজ বলে ঠিক আছে ভাই চলেন আমার মন চাচ্ছে একটু কামরাঙ্গা মাখা খাই। সেখানে গিয়ে গাছের দিকে তাকে দেখে, দেখতে পেলাম বেশ কয়েকটি কামরাঙ্গা আছে। ফিরোজকে বললাম তুমি গাছে উঠে পড়ো। সে গাছে ওঠে খুব দ্রুত কামরাঙ্গা পারতে লাগল আর আমার কাছে ছুড়ে ছিড়ে দিতে লাগলো আমি সেগুলো ধরে একটি জায়গায় রাখলাম।
এরপর আমরা সেখান থেকে কামরাঙ্গা গুলো নিয়ে এসে রান্নাঘরে হাজির হলাম এরপর ঝটাফট আমি নিজের হাতে সুন্দর করে ধুয়ে সাইজ করে কেটে ফেললাম, আর ফিরোজকে বললাম তুমি কিছু শুকনো মরিচ পুড়িয়ে নিয়ে আসো। সে আমার কথা শোনা মাত্র এসে তার কাছে চলে গেল এদিকে আমি আমার কাজ করতে লাগলাম। খালাকে দিয়ে একটু সরিষা বেটে নিলাম। কামরাঙ্গা গুলো কাটা হয়ে গেলে এর ভেতরের প্রয়োজনীয় মসলা উপকরণ দিয়ে পরিমান মত লবণ দিয়ে ভালো করে হাত দিয়ে মাখাতে লাগলাম। বেশ সুন্দর করে কামরাঙ্গা মাখানোর পর সবাই মিলে খাওয়া শুরু করলাম। এরপর কিছু কামরাঙ্গা মাখা আমাদের স্যারের জন্য এবং কিছু কামরাঙ্গা মাখা বড় ভাইদের জন্য রেখে দিলাম। বাকি কামরাঙ্গা গুলো আমি ফিরোজ ও আমার ছেলে খেতে থাকলাম।
যদিও ফিরোজ তেমন একটা কামরাঙ্গা মাখা পছন্দ করে না তবে আজকে কামরাঙ্গা মাখানোটা এত সুন্দর হয়েছিল যে সে অনেক তৃপ্তি ভরে খেয়েছে এমনকি আমার ছেলেও কামরাঙ্গা মাখা খাওয়া মিস করেনি। যদিও বছর পরিমাণে ঝাল দিয়েছিলাম যার কারনে আইয়ান খুব ভালো করে খেতে পারছিলনা তারপরও সে হাল ছাড়তে চাইছিলো না।কামরাঙ্গা মাখা দেখে ফিরোজ বলেছিল ভাই এত কামরাঙ্গা কে খাবে তবে যখন কামরাঙ্গা মাখানো শেষ করে খাওয়া শুরু করলাম তখন সে বলছে ভাই আরো একটু হলে আরো বেশি ভালো হতো। যেকোনো জিনিস মাখানোর পর শেষের দিকে যে পানি(ঝোল) থাকে সেটা খেতে অনেক ভালো লাগে। আমি একটু খেলাম আর ফিরোজকে দিলাম ঝোল খাওয়ার জন্য। সে তো ডিস ধরেই খাওয়া শুরু করলো। তবে তাই হোক যতটুকু খেয়েছি আমরা সবাই তৃপ্তি ভরে খেয়েছি কারণ কামরাঙ্গা মাখানো এত সুন্দর হয়েছিল যে সবাই অনেক পছন্দ করেছিলো।
বিষয় | জেনারেল রাইটিং |
---|---|
পোস্টকারী | মোঃ আশিকুর রহমান |
ডিভাইস | গ্যালাক্সি এ ১৫ |
লোকেশন | পাবনা |
Comments