New to Nutbox?

বাবার সাথে প্রথম ঢাকা শহরে আসার স্মৃতিময় গল্প// পর্ব-৪ ( শেষ পর্ব)

7 comments

alif111
66
3 days agoSteemit4 min read

আসসালামুআলাইকুম/আদাব

হ্যালো বন্ধুরা, কেমন আছেন সবাই? আশাকরি সকলেই ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় খুব ভাল আছি। আমি @alif111, বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগ থেকে।


প্রথমবার বাবার সাথে ঢাকা শহরে গিয়েছিলাম আর এই ঢাকা শহরে গিয়ে অনেক সুন্দরময় কিছু মুহূর্ত উপভোগ করেছি। বিশেষ করে চিড়িয়াখানায় গিয়েছিলাম। চিড়িয়াখানায় আমি সকল ধরনের পশুপাখি নিজের চোখে সামনে দেখতে পেয়েছিলাম। তাই প্রথম প্রথম ঢাকা শহরে যাওয়ার অনুভূতিটা ছিল অসাধারণ। সেই অনুভূতি কোনদিনও ভুলবো না। কারণ যতবারই আমি ঢাকা শহরে যায়। ততবারই যেন বাবার সাথে কাটানো সেই প্রথম ঢাকা শহরে আসার মুহূর্তগুলো মনে পড়ে যায়। তাই স্মৃতির পাতা থেকে এই গল্পটি আপনাদের মাঝে শেয়ার করতেছিলাম। আজকে সেই গল্পের শেষ পর্ব নিয়ে হাজির হলাম। আশা করছি আজকের এই গল্পের শেষ পর্ব পড়ে আপনাদের ভালো লাগবে।


father-and-son-8828819_1280.jpg


প্রথমবার ঢাকা শহরে এসে বাবার সাথে আমি অনেক আনন্দময় মুহূর্ত উপভোগ করেছি। তারপরে আমরা যখন চিড়িয়াখানায় গিয়েছিলাম পরিবারের সকলের সাথে, চিড়াখানায় কাটানো মুহূর্তগুলো অসাধারণ ছিল। আমি প্রথমবার চিড়িয়াখানায় গিয়ে সকল ধরনের পশুপাখি দেখেছি। এর আগে আমি টিভিতে অনেকবার দেখেছি কিন্তু চোখের সামনে কখনো বাঘ সিংহ অজগর সাপ দেখিনি। যার কারণে এই চিড়িয়াখানার ভিতরে এসে আমি এই পশুপাখি গুলো দেখে অনেক আনন্দিত হয়েছিলাম। সত্যি সেই মুহূর্তে ছিল অসাধারণ। সেখান থেকে আমরা জাতীয় সংসদ এবং স্মৃতিসৌধের উদ্দেশ্যে রওনা দেই। আমি অনেকবারই দেখতে চাইতাম বাবার কাছে গল্প শুনতাম এই স্মৃতিসৌধ নিয়ে। বাংলাদেশের স্মৃতি যেন জড়িয়ে রয়েছে হাজারো। তাই স্মৃতিময় সেই শহীদ মিনার আর স্মৃতিসৌধ দেখার জন্য আমরা রওনা দিলাম।


তারপরে আমরা ঢাকা শহরে একটি সিএনজি ঠিক করে জাতীয় সংসদ ভবনের কাছে আসলাম। সংসদ ভবনের একদম কাছে যাওয়া যায় না, তবে দূর থেকে সংসদ ভবনটি দেখে আমার খুবই ভালো লাগলো। টিভিতে অনেকবারই দেখেছিলাম। বাস্তবে যখন দেখতে পেলাম তখন এত আনন্দ আমার হচ্ছিল যা বলার মত নয়। তারপরে বাবা আমাকে স্মৃতিসৌধের কাছে নিয়ে আসলো, স্মৃতিসৌধে বসিয়ে বাবা ক্যামেরাম্যানকে দিয়ে ছবি উঠালো। তখন ক্যামেরা দিয়ে ছবি তুলতে অনেক টাকা লাগতো। তারপরেও আমরা ছবি উঠলাম। আর এই স্মৃতিসৌধ দেখতে অনেক ভালো লাগলো।তখন বাংলাদেশ স্মৃতিময় সেই পুরনো ইতিহাস বাবা বলতে ছিলো।


দেখতে দেখতে সন্ধ্যা নেমে আসলো তারপরে খালাম্মা বলল এখন বাসায় যেতে হবে। সন্ধ্যার সময় এলাকার মধ্যে দিয়ে যেতে অনেক সমস্যা হয়। কারণে এলাকার মধ্যে চোর বাটপার অনেক থাকে। যার কারণে আমরা তখন সিএনজি নিয়ে বাস স্টেশনের কাছে আসলাম। তারপরে একটি লোকাল বাসে আমরা উঠলাম। আর সেই লোকাল বাসে মানুষের অনেক ভিড় ছিল। তারপরেও আমরা উঠলাম, তখন আমি সেই বাসের ভিতর ঘেমে যাচ্ছিলাম। তারপরে আমরা যখন বাস থেকে নামলাম এবং বাসায় উঠবো রিকশা নিলাম, তখন বাবার মানিব্যাগটা হারিয়ে যায় অর্থাৎ এই লোকাল বাসের মধ্যেই পকেটমার রয়েছে তারা বাবার মানিব্যাগটা মেরে দিয়েছে। ওর ভিতরে অনেক টাকা ছিল। আসলে ঘুরতে আসার জন্য বাবা টাকা বের করে এনেছিলো। তখন বাবার মন খারাপ হয়ে গিয়েছিলো।


কোথাও ভ্রমণ করে যতটুকু শান্তি পাওয়া যায়, কিন্তু এই চোর বাটপারদের বা পকেটমারদের কারণে সেই আনন্দটা যেন মাটি হয়ে যায়। বাসার আসার আগ দিয়ে অনেক রিস্কের মধ্যে দিয়ে আসতে হয়। কখন পকেটমার টাকা মেরে দেবে। ঢাকা শহরে এই ঘটনা আগে অনেক ঘটতো তবে আগের চাইতে এখন অনেকটাই কমেছে।যাই হোক এখনও খারাপ মানুষের অভাব নেই। তাই সাবধানতার সাথে আমাদের এখনো ঢাকা শহরে চলতে হয়।তো বন্ধুরা ঢাকা শহরে প্রথম ঘুরতে যাওয়ার অনুভূতি আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে পেরে আমার ভালো লাগছে আশা করছি আপনাদেরও ভালো লাগবে। আর ঢাকা শহরে যারা রয়েছেন তারা সবসময় সাবধানতার সাথে চলাফেরা করবেন।

banner-abbVD-1.png

আমার পরিচয়

IMG-20240117-WA0007.jpg
আমার নাম মোঃআলিফ আহমেদ।আমি বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগে সিরাজগঞ্জ জেলায় বসবাস করি। আমি বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে নিজেকে গর্বিত মনে করি। আমি আমার জন্মভূমিকে খুবই ভালোবাসি। আমি সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজের একজন ছাত্র। আমি ছোট বেলা থেকেই আর্ট করতে পছন্দ করি।তাই অংকন করতে আমার খুব ভালো লাগে।তাই আমি সময় পেলেই বিভিন্ন চিত্র অংকন করি।বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমন করতে ও ফটোগ্রাফি করতে আমার খুবি ভালো লাগে।🌼💖🌼

সবার প্রতি শুভেচ্ছা রইল এবং আমার পোস্টটি সমর্থনকারী সকল বন্ধুদের বিশেষ ধন্যবাদ।🌹🌻

Comments

Sort byBest