বাঙালির সাধের লাউ চিংড়ি রেসিপি//১০% পেআউট লাজুক খ্যাঁককে
10 comments
নমস্কার বন্ধুরা,
আশা করি সবাই ভালো আছেন, সুস্থ আছেন।লাউ চিংড়ি হল আঞ্চলিক গ্রাম বাংলার একটি রেসিপি। যা বাঙালির জনপ্রিয় একটি রেসিপি। লাউ চিংড়ি রান্না যেমন টেস্টি তেমন পুষ্টিকরও বটে।কারণ লাউ শরীরের অনেক উপকার করে। লাউয়ের মধ্যে যেমন প্রচুর পরিমাণে জল থাকে তেমনই থাকে গুরুত্বপূর্ণ খনিজ উপাদানও ক্যালশিয়াম, ফসফরাস, ম্যাগনেশিয়াম, আয়রন, পটাশিয়াম। ফলে শরীর সুস্থ থাকে। সেই সঙ্গে থাকে প্রচুর লাউয়ের মধ্যে কোলন নামের এক ধরনের নিউরো ট্রান্সমিটার রয়েছে। যা শরীরে স্ট্রেস লেভেল নিয়ন্ত্রণে রাখে। যে কারণে বিভিন্ন মানসিক সমস্যাও দূরে থাকে। যাঁদের মধ্যে রক্তচাপের সমস্যা রয়েছে তাঁরাও রোজ লাউ খান। লাউয়ের মধ্যে যে পটাশিয়াম থাকে তাই আমাদের রক্তচাপ মাত্রার মধ্যে রাখে। লাউ চিংড়ি , লাউয়ের পায়েস, লাউ দিয়ে ডাল এসব খেতে তো বেশ লাগে।আর লাউ চিংড়ি বাড়িতে বানানো খুবই সহজ।তাই আজ আমি আপনাদের সঙ্গে লাউ চিংড়ি রেসিপি ভাগ করে দেখালাম।আশা করি সকলের ভালো লাগবে।
চলুন তাহলে শুরু করা যাক রেসিপিটি।
উপকরণের নাম | পরিমাণ |
---|---|
১. লাউ | ১ টি (কুচোনো) |
২. সাদা তেল | পরিমাণ মতো |
৩. তেজ পাতা | ২ টো |
৪. চিংড়ি মাছ | ১৫০ গ্রাম |
৫. হলুদ গুঁড়ো | পরিমাণ মতো |
৬. জিরে ফোড়ন | পরিমাণ মতো |
৭. কাঁচা লঙ্কা | ৪টে |
৮. লবণ | ১ চামচ |
৯. চিনি | ১ চামচ |
১০.গরম মশলা | পরিমাণ মতো |
রন্ধন প্রণালী :
প্রথম ধাপ
• প্রথমে একটি লাউ ভাল করে কুচিয়ে নিলাম।
দ্বিতীয় ধাপ
• এরপর একটি কড়াইতে সাদা তেল গরম করে নিলাম।
তৃতীয় ধাপ
• তেল গরম হয়ে এলে জিরে তেজপাতা ফোড়ন দিয়ে দিলাম।
চতুর্থ ধাপ
• এরপর নুন, হলুদ দিয়ে মাখানো চিংড়ি মাছ গুলো হালকা ভেজে নিতে হবে।
পঞ্চম ধাপ
• এরপর ঝিরিঝিরি করে কেটে রাখা লাউ দিয়ে দিলাম।
ষষ্ঠ ধাপ
• এরপর পরিমাণমতো নুন, হলুদ দিয়ে দিলাম।লাউ এর থেকে যে জল বেড়োবে তাতে ই রান্নাটা হবে।
সপ্তম ধাপ
• লাউ এর জল শুকিয়ে এলে এর মধ্যে চিনি,চিংড়ি মাছ দিয়ে দিলাম। তার সঙ্গে দুটো কাঁচালঙ্কা দিয়ে দিলাম ।এরপর বেশ কিছুক্ষণ ঢেকে রাখলাম একটি পাত্র দিয়ে।
অষ্টম ধাপ
• সবশেষে গরম মশলা দিয়ে নামিয়ে দিলাম।
নবম ধাপ
• ব্যাস এভাবে লাউ চিংড়ি তৈরি হয়ে গেল ।
দশম ধাপ
ধন্যবাদ
Comments