New to Nutbox?

হাক্কা ঢাকায় খাওয়ার অভিজ্ঞতা।

14 comments

rupok
79
2 years agoSteemit4 min read

কেমন আছেন আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা? আমি ভালো আছি। আশাকরি আপনারা ও ভালো আছেন।


আজ সকাল বেলা উঠেই আমাকে কাজে যেতে হয়েছিল শান্তিনগরে। প্রতিদিন আমার সাথে আমার আম্মাও যায় সেখানে। তবে আজ আম্মার শরীর কিছুটা অসুস্থ থাকায় আমাকে একাই যেতে হয়েছিল। সেখানে আমাদের নির্মাণ কাজ চলছে। যার ফলে প্রতিনিয়ত সেখানে কোনো না কোনো কারণে আমাদের প্রয়োজন হয়। তাই প্রতিদিনই সেখানে যেতে হয় কাজ জন্য দেখাশোনার জন্য। অন্যান্য দিনের মতো আজও সকালে বাসা থেকে বের হয়ে মোটামুটি অল্প সময়ের ভেতরে সেখানে পৌছালাম। পরে সেখানে পৌঁছে বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত থাকতে থাকতে একসময় দুপুর হয়ে গেলো।

IMG_20220925_202846.jpg

IMG_20220925_202829.jpg

সকালে বাসা থেকে নাস্তা করে বের হয়েছি এর ভেতরে আর কিছু খাওয়া হয়নি। যার ফলে পেটের ক্ষুধাটা টের পাচ্ছিলাম। এর ভেতরে দেখি আযান দিয়ে দিয়েছে। তাই চিন্তা করলাম নামাজ পড়ে তারপর খেতে হবে। কিন্তু কি খাব বা কোথায় খেতে যাবো সেটা নিয়ে চিন্তা করছিলাম। আমার অত্যন্ত প্রিয় একটি খাবার হচ্ছে মতিঝিলের ঘরোয়ার মাটন খিচুড়ি। প্রথমে পরিকল্পনা করেছিলাম আজ মতিঝিলে যাবো ঘরোয়ার খিচুড়ি খেতে। কিন্তু আজ বেশ গরম পড়েছিলো। তাছাড়া শরীরটাও খুব একটা ভালো লাগছিল না। ঠান্ডা গরম লেগে যাওয়ার ফলে গলার ভেতর খারাপ লাগছিলো। তাই চিন্তা করলাম আজ আর দূরে কোথাও না গিয়ে এখান থেকে কিছু খেয়ে নেই।

IMG_20220925_134629.jpg

কি খাওয়া যায় সেটা খোঁজার জন্য আমি ফুড পান্ডা অ্যাপস ওপেন করলাম। এপ্স ওপেন করে যখন ঘাটাঘাটি করছিলাম তখন হঠাৎ করে দেখতে পেলাম হাক্কা ঢাকা নামের একটি রেস্টুরেন্ট রয়েছে শান্তিনগরের খুব কাছেই। এই রেস্টুরেন্ট থেকে আমার অনেক আগে থেকেই খাওয়ার ইচ্ছা ছিলো। কিন্তু আশেপাশের রেস্টুরেন্টটি না থাকায় আর খাওয়া হয়নি। আজ যখন দেখলাম বেলিরোডে হাক্কা ঢাকার একটি আউটলেট রয়েছে। তাই চিন্তা করলাম সেখান থেকেই দুপুরের খাওয়াটা সেরে নেই। যেই চিন্তা সেই কাজ। নামাজ শেষ করেই সরাসরি চলে গেলাম হাক্কা ঢাকাতে।

IMG_20220925_134958.jpg

IMG_20220925_134702.jpg

শান্তিনগর বাজার থেকে সেখানে পৌঁছাতে আমার মাত্র ৫-৬ মিনিট সময় লাগলো। সেখানে পৌঁছে আমি মেনু দেখছিলাম কি খাওয়া যায়। মেনু দেখা শেষ হলে আমি একটি সেট মেনু অর্ডার করলাম। শুনেছিলাম সেখানকার খাবার নাকি খুব সুস্বাদু। যখন আমি খাবারটা খেতে শুরু করলাম তখন খেয়াল করে দেখলাম খাবারটা গরম রয়েছে। ওই রেস্টুরেন্টের খাবারের প্যাকেটটা আমার কাছে পছন্দ হয়েছে। কারণ তারা অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল ব্যবহার করেছে। এই ধরনের প্যাকেটে সাধারণত খাবার বেশ অনেকটা সময় গরম থাকে। যখন খাবার খাওয়া শুরু করলাম তখন দেখলাম যেটা আগে শুনেছি সেটা ভুল শুনিনি। এদের খাবারের স্বাদ যথেষ্ট ভালো।

IMG_20220925_202811.jpg

তবে আমার সেই সেট মেন্যুতে মাত্র তিনটা আইটেম ছিলো। যার একটি আইটেম আমার কাছে খুব একটা ভালো লাগেনি। বাকি দুটো আইটেম বেশ মজার ছিলো। এই ধরনের খাবারের সাথে আমি সবসময় কোল্ড ড্রিংকস নিয়ে থাকি। তবে বেশ কিছুদিন হলো আমি কোল্ড ড্রিঙ্কস খাওয়া কমানোর চেষ্টা করছি। তাই আজকে আমি নিয়েছিলাম মিন্ট লেমোনেড। এবার ঢাকা আসার পর থেকে আমি প্রচুর এই ড্রিঙ্কসটা খেয়েছি। আমার কাছে এই ড্রিঙ্কসটা খুবই ভালো লাগে। যাইহোক গরম গরম খাবার আমি অল্প কিছুক্ষণই শেষ করে ফেললাম। তবে আমি রেস্টুরেন্টে না খেয়ে পার্সেল নিয়েছিলাম একটু সমস্যার কারণে। হাক্কা ঢাকার কিছু ব্যাপার আমার কাছে খারাপ লাগলেও তাদের খাবারের স্বাদটা আমার কাছে বেশ পছন্দ হয়েছে। মনে মনে পরিকল্পনা করলাম এরপরে আরো একদিন ওদের রেস্টুরেন্ট থেকে খেতে হবে। কারণ ওদের রেস্টুরেন্টে বিভিন্ন রকম প্ল্যাটার রয়েছে। সেই প্লাটার গুলিতে প্রচুর আইটেম থাকে। সমস্যা হচ্ছে সেগুলোর কোনটাই একজনের খাওয়ার জন্য না। সবই ন্যূনতম দুজনের জন্য। যদিও এই ব্যাপারটি আমার কাছে খুব একটা ভালো লাগেনি। কারণ যদি প্ল্যাটারগুলো একজনের জন্য থাকতো তাহলে আমি বা আমার মত আরো অনেকেই সেগুলো টেস্ট করতে পারতো।

আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।


ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইসহুয়াই নোভা 2i
ফটোগ্রাফার@rupok
স্থানবেইলী রোড

logo.png

Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

standard_Discord_Zip.gif


🇧🇩🇧🇩ধন্যবাদ🇧🇩🇧🇩


@rupok

Comments

Sort byBest