New to Nutbox?

"বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর" ভ্রমণ - পর্ব ১৬

15 comments

rme
89
last yearSteemit3 min read


"বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর" ভ্রমণের আজ ষোড়শ পর্ব । আর মাত্র দু'টি এপিসোডেই শেষ হয়ে যাবে এই সিরিজটি । গতকালের পর্বে আপনারা দেখেছিলেন বেশ কিছু টেরাকোটার নিদর্শন । এগুলি সত্যি অমূল্য । প্রত্যেক বছরেই কোটি কোটি টাকার এই সব টেরাকোটার অমূল্য সব ভাস্কর্য বিদেশে পাচার হয়ে যাচ্ছে । সত্যজিৎ রায়ের ফেলুদার সেই গল্পে ফেলুদার মতোই বলতে হয় -

"মানুষ খুন তো আকছারই হচ্ছে, কিন্তু মানুষ খুনের চাইতেও বড় অপরাধ কি জানিস তোপসে ? যাঁরা দেশের অমূল্য সব ভাস্কর্য বিদেশে পাচার করে দেয় ।"

কথাটি কিন্তু শতভাগ সত্য । একটা সময় বাংলার আনাচে কানাচে বহু টেরাকোটার মন্দির আর অট্টালিকা ছিল । এইসব মন্দির আর অট্টালিকার দেওয়াল গাত্রে ছিল অসংখ্য টেরাকোটার ভাস্কর্য । বিভিন্ন নকশা, হিন্দু ও বৌদ্ধ দেব দেবীর মূর্তি, তৎকালীন গ্রাম বাংলার নানান সামাজিক ও রাজনৈতিক নানান চরিত্র ও ঘটনাবলী, রামায়ণ, মহাভারত ও পুরাণের নানান চরিত্র ও ঘটনা, নানান কল্পিত প্রাণী এসবই ছিল টেরাকোটার ভাস্কর্যের বিষয়বস্তু ।

টেরাকোটা একটি ল্যাটিন শব্দ । "টেরা" অর্থ মাটি আর "কোটা" অর্থ পোড়ানো । অর্থাৎ, দুইয়ে মিলে মাটি পোড়ানো । অর্থাৎ মাটির তৈরী যে কোনো ভাস্কর্য রোদে শুকিয়ে তারপরে আগুনে পোড়ালে সেটাই "টেরাকোটা" । সুদূর দক্ষিণ আমেরিকার মায়ান সিভিলাইজেশন থেকে শুরু করে মেসোপটেমিয়া, ব্যাবিলন হয়ে সমগ্র ভারতবর্ষে এই শিল্প ছড়িয়ে পড়ে । মৌর্য ও গুপ্ত সাম্রাজ্যের আমলে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, আসাম, ত্রিপুরা এবং সমগ্র বাংলাদেশ জুড়ে টেরাকোটা শিল্পের ব্যাপক বিস্তৃতি লাভ করে ।

তবে ঐতিহাসিকদের মতে এই টেরাকোটা বহুত পুরোনো একটা শিল্প । খ্রিষ্টপূর্ব প্রায় ৫০০০ বছর পূর্বে সিন্ধু নদের তীরে যারা সিন্ধু সভ্যতা স্থাপন করেছিল সেই হিন্দুদের হাত ধরেই এই শিল্প এশিয়ায় বিস্তারলাভ করে । সিন্ধু সভ্যতার ধ্বংসাবশেষে প্রচুর পরিমাণে টেরাকোটার নিদর্শন পাওয়া গিয়েছে । মহেঞ্জোদারো খননের সময় প্রাপ্ত নিদর্শন থেকে এটা প্রমাণিত যে তখনকার নগরের ধনী ব্যক্তিরা টেরাকোটার নকশাকাটা ফলক দিয়ে ঘরের মেঝে ও দেওয়ালে টাইলসের মতো ব্যবহার করতেন ।

বাংলাদেশের মিউজিয়ামে যে সকল টেরাকোটার নিদর্শন পাওয়া যায় সেগুলোর অধিকাংশই দিনাজপুরের কান্তজীর মন্দির থেকে প্রাপ্ত । তবে বাংলাদেশের বেশ কিছু মসজিদ গাত্রেও টেরাকোটার বহু নিদর্শন পাওয়া গিয়েছে ।


টেরাকোটার ফলক । এই সব ফলকে বিভিন্ন নকশা করা রয়েছে ।

তারিখ : ০৪ জানুয়ারি ২০২৩

সময় : বিকেল ৫ টা ০৫ মিনিট

স্থান : ঢাকা, বাংলাদেশ


উপরের দু'টি ছবিতে যেসকল টেরাকোটার ভাস্কর্য রয়েছে প্রায় সব ক'টিই বিষ্ণুপুরাণ থেকে নানান চরিত্র ও দৃশ্যাবলীর উপরে আধারিত ।

তারিখ : ০৪ জানুয়ারি ২০২৩

সময় : বিকেল ৫ টা ০৫ মিনিট

স্থান : ঢাকা, বাংলাদেশ


এই টেরাকোটার ভাস্কর্যগুলিতে নানান জীবজন্তু, মানুষের মূর্তি, দেব-দেবীর মুখ এবং বেশ কিছু অলঙ্কার রয়েছে ।

তারিখ : ০৪ জানুয়ারি ২০২৩

সময় : বিকেল ৫ টা ০৫ মিনিট

স্থান : ঢাকা, বাংলাদেশ


এই টেরাকোটার ভাস্কর্যগুলিতে তৎকালীন সমাজ ব্যবস্থার নানান অবস্থার দৃশ্যায়ন করা হয়েছে ।

তারিখ : ০৪ জানুয়ারি ২০২৩

সময় : বিকেল ৫ টা ০৫ মিনিট

স্থান : ঢাকা, বাংলাদেশ


ক্যামেরা পরিচিতি : OnePlus
ক্যামেরা মডেল : EB2101
ফোকাল লেংথ : ৫ মিমিঃ



পরিশিষ্ট


আজকের টার্গেট : ৫০০ ট্রন জমানো (Today's target : To collect 500 trx)


তারিখ : ১৭ মার্চ ২০২৩

টাস্ক ২০৭ : ৫০০ ট্রন ডিপোজিট করা আমার একটি পার্সোনাল TRON HD WALLET এ যার নাম Tintin_tron


আমার ট্রন ওয়ালেট : TTXKunVJb12nkBRwPBq2PZ9787ikEQDQTx

৫০০ TRX ডিপোজিট হওয়ার ট্রানসাকশান আইডি :

TX ID : bdbeeb258a48161d09c2c530610aeee0e8269efc23dc489171de2455677187b4

টাস্ক ২০৭ কমপ্লিটেড সাকসেসফুলি


এই পোস্টটি যদি ভালো লেগে থাকে তো যে কোনো এমাউন্ট এর টিপস আনন্দের সহিত গ্রহণীয়

Account QR Code

TTXKunVJb12nkBRwPBq2PZ9787ikEQDQTx (1).png


VOTE @bangla.witness as witness

witness_proxy_vote.png

OR

SET @rme as your proxy


witness_vote.png

Comments

Sort byBest