রেস্টুরেন্টে খেতে যাওয়ার কিছু মুহূর্ত।
17 comments
হ্যালো সবাইকে
কেমন আছেন সবাই ?আশা করি ভাল আছেন। আমিও ভাল আছি আল্লাহর রহমতে। আজকে আরও একটি নতুন পোস্ট নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি। রেস্টুরেন্টে খেতে যাওয়ার কিছু মুহূর্ত আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব। আশা করি আপনাদের কাছে আমার এই পোস্টটি ভালো লাগবে।
আবারো চলে এলাম আপনাদের মাঝে কিছু আনন্দের মুহূর্তে শেয়ার করার জন্য। কিছু বাইরে ঘুরতে যাওয়া খাওয়া-দাওয়া করতে শেয়ার করার জন্য। এইতো প্রায় দুইদিন আগে বেরিয়েছিলাম বিকেল বেলা। সেদিন সারাদিন প্রায় বৃষ্টি হয়েছিল বাইরে অনেক বাতাস ঝড় তুফান হয়েছিল। বিকেলবেলা বৃষ্টি থামার পর আমরা বেরিয়েছিলাম। বেরিয়ে বাজারে কিছুক্ষণ ঘোরাঘুরি করলাম। রিকশায় করে যাওয়ার সময় পরিবেশটা আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে। কারণ বাইরে অনেক বাতাস আবহাওয়া অনেক ঠান্ডা সেজন্য রিকশায় করে বাজারে যেতেও বেশ ভালো লাগলো।
বাজারে গিয়ে প্রথমে কিছু কেনাকাটা করলাম। বেশি তো সময় লাগেনি কেনাকাটা করতে কেন জানি। মেয়েদের অনেক বেশি কেনাকাটা করতে সময় লাগে আমারও মাঝে মাঝে লাগে। কিন্তু আমার মাঝে মাঝে কিছুক্ষণের মধ্যেই সব কেনাকাটা হয়ে যায় এটা আমার কাছে বেশ অবাক লাগে।যেই দিন তাড়াতাড়ি কেনাকাটা হয়ে গেছে সেদিন মনে হয় কিছুই কেনা হয়নি। যাইহোক কেনাকাটা শেষে একটা রেস্টুরেন্টে গেলাম। রেস্টুরেন্টে প্রবেশের যেই দরজাটা রয়েছে এই দরজাটা এত ওজন আমি কখনোই খুলতে পারিনা।এখনো পর্যন্ত রেস্টুরেন্টে যতবারই গিয়েছি এই দরজাটা আমি কখনোই খুলতে পারিনি। আগে চিকন ছিলাম কিন্তু এখন অনেকটাই শরীর বেড়েছে তাও ওই দরজাটা আমি খুলতে পারিনা।
এরপর রেস্টুরেন্টের ভিতরে গিয়ে বসলাম। বসে জানালার পাশ দিয়ে বাইরের এই পরিবেশটা উপভোগ করছিলাম। বাইরে আশেপাশের গাছগুলো বাতাসে এদিক থেকে ওইদিক ধুলছিল দেখে মনে যেন আলাদাই শান্তি পাচ্ছিলাম। এরপর খাওয়ার জন্য অর্ডার দিলাম। আমরা খাওয়ার জন্য অর্ডার দিয়েছিলাম চিকেন সাবোওয়ে। তারপর অনেকটা সময় অপেক্ষা করতে হয় কারন অর্ডার দেওয়ার পর সাথে সাথেই তারা খাবারটা বানিয়ে দেয়। কিন্তু আজকে অপেক্ষা করতে খারাপ লাগছিল না কারণ বাইরে পরিবেশটা বেশ ভালো লাগছিল। অনেকটাই সময় ধরেই বাইরে জানালা দিয়ে বসে বসে বাইরে পরিবেশটা উপভোগ করছিলাম। আর অনেক ধরনের কথা বলছিলাম।
এর মধ্যে অপেক্ষা করতে করতে ভাবলাম কিছু ছবি তুলে নিই। যেখানেই যাই ফটোগ্রাফি আর নিজের ছবি না তুললে যেন ওই জায়গায় যাওয়ায় সম্পূর্ণ হয় না। খাবার আসার জন্য অপেক্ষা করতে করতে কিছু নিজের ছবি তুলে নিলাম কিছু বাইরের ফটোগ্রাফিও করে নিলাম। তার মধ্যে হাজবেন্ডের সাথে বসে বসে অনেক ধরনের কথা বলছিলাম বকবক করছিলাম। আর রেস্টুরেন্টে এর আগে অনেক বার এসেছিলাম। তারা আবার আমাদের এই এলাকার মধ্যে হোম ডেলিভারি ও দিয়ে থাকে। আমার কাছে সব ধরনের বার্গার এর থেকেই রেস্টুরেন্টের বার্গার একটা বেস্ট মনে হয়।
কিছুক্ষণের মধ্যেই আমাদের খাবার চলে এসেছে। খাবারটা খেতে বেশ ভালোই লেগেছে সবকিছুই ফ্রেশ ছিল। গরম গরম এই খাবারটা বাইরের ঠান্ডা পরিবেশের সাথে খেতে আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে। আর আমাদের এই এলাকার সবগুলো রেস্টুরেন্ট খাবার থেকে এই রেস্টুরেন্টের খাবারের মান স্বাস্থ্যকর খাবার সব দিক দিয়ে এই রেস্টুরেন্টটা সবার উপরে রয়েছে। খাবার সুস্বাদু হয় আর রেস্টুরেন্টের পরিবেশ বেশ ভালো তারা সব ধরনের স্বাস্থ্যকর উপায় মেনে পরিবেশন করা যা আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে।
খাওয়া শেষে একটা কোল্ড ড্রিংস খেলাম খেতেও বেশ ভালো লেগেছে। কোল ড্রিংস খাওয়া শেষ আমরা বিল দিয়ে বাইরে চলে এলাম। এরপর একটা রিকশা করে বাড়িতে চলে গেলা।ম বাড়িতে আসতে আসতে সন্ধ্যা হয়ে গিয়েছিল আর সন্ধ্যাবেলায় বাইরে বাতাস বাইরে এই সময় রিকশায় করে আসতে অনেক বেশি ভালো লেগেছে আর খাবারের মান অনেক বেশি ভালো ছিল। আসলে মাঝেমধ্যে এরকম বের হয়ে বাইরে থেকে ঘুরে আসলে আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। বাড়িতে থাকতে থাকতে খুবই খারাপ লাগে। যাইহোক আশা করি আমারে বাইরে খাওয়া-দাওয়ার কিছু মুহূর্ত আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
শ্রেণী | জেনারেল |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @fasoniya |
ডিভাইস | Vivo Y15s |
লোকেশন | বাংলাদেশ |
আমার পরিচয়
আমার নাম ফারজানা আক্তার সোনিয়া। আমি বাংলাদেশী।আমি বর্তমানে লেখাপড়া করি আমি একজন স্টুডেন্ট। আমি আর্ট করতে ভালোবাসি আর যখনই সময় পাই তখনই আর্ট করি।আমি ফটোগ্রাফি করতে খুবই ভালোবাসি । যখনই কোথাও খুব সুন্দর কিছু আমার চোখে পড়ে আমি ফটোগ্রাফি করে ফেলি। এছাড়াও আমি ক্রাফট তৈরি করে থাকি । বিভিন্ন ধরনের রান্না করে থাকি রান্না করতে অনেক পছন্দ করি। আমি আমার পরিবারের সবচেয়ে বড় মেয়ে । আমার ছোট ছোট দুইটা ভাই আছে। আমার অনেক স্বপ্ন রয়েছে যেগুলো স্টিমিট এ কাজ করে পূরণ করতে চাই।
Comments