টিভি সিরিজ রিভিউ: দ্যা ইমপারফেক্টস-সার্কোভস চিলড্রেন ( পর্ব ১ )
13 comments
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি। |
---|
আজকে আপনাদের সাথে একটি নতুন টিভি সিরিজ 'দ্যা ইমপারফেক্টস' এর প্রথম পর্ব রিভিউ দেব। প্রথম পর্বের নাম হলো "সার্কোভস চিলড্রেন"। এটি মূলত রিসার্চ এর বিষয়ের উপর, যা কিছু সিনড্রোম তিনজন ব্যক্তির শরীরে থাকার কারণে তাদের টেস্ট করে এবং তার ফলে তাদের শরীরে বিভিন্ন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয় আর তার জন্য সায়েন্টিসদের দায়ী করে থাকে। আর তারা এই সমস্যার প্রতিকার করার জন্য চেষ্টা করতে থাকে। প্রথম পর্বে দেখবো কি হয়।
ꕥকিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:ꕥ
ꕥমূল কাহিনী:ꕥ
সিরিজের প্রথমে দেখা যায় ইতালিয়া রিকি নামক একজন ডাক্তার একজন পুরুষের বডি কাটা ছেড়া করে যেমনটা ফরেনসিক রুমে করে থাকে। আর সেখানে ডক্টরের সাথে উপস্থিত ছিল রুইজ, আবি সিং, সেলিনা মার্টিন সহ আরো অনেকে। এরা আসলে একদিকে মানুষের মতো দেখতে আবার আদমখোর এর মতো হয়ে যায়। যে মানুষটিকে অপারেশন টেবিলে কাটাছেড়া করছিলো ওই লোকটিকে মেরেছে রুইজ নামে ওই ছেলেটি। হঠাৎ করে মানব শরীর থেকে আদমখোর এর রূপে চলে আসে আর লোকটির গলায় কামড় দিয়ে মেরে ফেলে। এই লোকটিকেও যদি তারা বডি কেটে না পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতো তাহলে এই লোকটিও এদের মতো আদমখোরে পরিণত হত, এইগুলো একটা ইনফেকশন এর মতো অর্থাৎ এটা একপ্রকার ভাইরাস এর মতো। তবে এইগুলো নিয়ন্ত্রণ করার জন্যও একধরণের ঔষধ আছে যেটা তাদের প্রত্যেকের কাছে ডাক্তার দিয়ে রেখেছে। যাইহোক এরপর আবি সিং এর বায়োলজিস্ট রিসার্চ এর উপর অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি থেকে একটা মেইল আসে যে তাকে ইন্টারভিউ এর জন্য সিলেক্ট করা হয়েছে। আর আবি সিং যদি এই ইন্টারভিউ থেকে পাস্ করে যায় তাহলে তার সরাসরি ইংল্যান্ডে রিসার্চ এর বিষয়ে চাঞ্জ হয়ে যাবে। আর এদিকে রুইজ ছেলেটি অদ্ভুত অদ্ভুত বিভিন্ন ধরণের কমিক্সস নিজে হাতে এঁকে, ডিজাইন করে একটা স্কুলে নিয়ে যায় প্রধান শিক্ষকের এর কাছে, আর রুইজ লুকিয়ে এই সমস্ত কমিক্স ওই স্কুলের প্রিন্টার মেশিন এবং কাগজ দিয়ে করেছে প্রায় ২০০০ এর মতো কমিক্সস। আর এইসব ফালতু কমিক্সস ছাড়তে দেবে না বলে জানিয়ে দেয় শিক্ষক কিন্তু রুইজ ওনাকে ১০% কমিশন দেওয়ার জন্য জানিয়ে দেয় আর লোভে পড়ে রাজি হয়ে যায়।
এদিকে আবি সিং যেখানে ইন্টারভিউ দিতে গিয়েছিলো সেখানে জাস্টিসরা হঠাৎ তার প্রতি এট্রাক্টিভ হয়ে পড়ে, শুধু তারাই না, সবাই তার প্রতি এট্রাক্টিভ হয়ে পড়ে। এর একটা কারণ হলো সে যে ঔষধ খেত সেই ঔষধ খাওয়ার পরে একটা ঘ্রান তার নিশ্বাসের মাধ্যমে বের হয়ে যার যার নিঃশ্বাসের সাথে শরীরের ভিতরে প্রবেশ করছে তাদেরই ব্যবহার এইরকম হয়ে যাচ্ছে কিন্তু পরোক্ষনে আবার ঠিক হয়ে যাচ্ছে যখন তাদের কাছের থেকে দূরে চলে যাচ্ছে। আবার টিল্ডা নামক একজন পপ রক ছিল কিন্তু তারও হঠাৎ করে শারীরিক কিছু সমস্যা হতে শুরু করে গান গাইতে গাইতে। কোনো কিছুর সামান্য সাউন্ড যেন তার কাছে এতটাই উচ্চ স্বরে লাগছে যে সে সহ্যই করতে পারছিলো না। এদিকে রুইজ এর বাড়িতে একটা পার্টি হয় এবং সেখানে বিভিন্ন আর্ট এর প্রফেসররাও আসে। তবে রাতে পার্টির মুহূর্তে রুইজ এর শারীরিক পরিস্থিতি অন্যরকম হয়ে যায় অর্থাৎ সে মানব থেকে আদমখোর হয়ে যায় আর কোনো একজনকে মেরে ফেলে আর সে সকালে উঠে দেখে সে বাইরে একটা জঙ্গল মতো জায়গায় পড়ে আছে আর তার মুখে রক্তে লাল হয়ে আছে। সে ঘরে আসতেই ডার্সি তাকে জিজ্ঞাসা করে কি হয়েছে কিন্তু সে তাকে না বুঝতে দিয়েই ওয়াশরুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে বের হয়। সে নিজেকে বিশ্বাস করতে পারছিল না তাই তার বাড়ির সিসি ক্যামেরাতে দেখে যে সে কি করেছে।
এরপর রুইজ, টিল্ডা, আবি সবাই ক্লিনিকে যায় ডাক্তার ইতালিয়া রিকির কাছে ঔষধ নিতে কারণ তাদের ঔষধ শেষ হয়ে গেছে। কিন্তু রিকি ক্লিনিক এ ছিল না কিন্তু তার অ্যাসিস্ট্যান্ট ডাক্তার নিকলসন ছিল, তবে সে আবার সায়েন্টিস্ট ডাক্তার। তবে সে তাদের সবাইকে ডেকে ব্লাড পরীক্ষা করার কথা বলে আর প্রয়োজন হলে ঔষধ চেঞ্জ করার কথা বলে। সায়েন্টিস্ট নিকলসন ওদের ব্লাড কালেকশন করে এবং যার যার যে যে সমস্যা সেই সমস্যা অনুযায়ী ঔষধ দিয়ে দেয়। টিল্ডা এর আসলে হাইপারকিউসেস এর সমস্যা হয়েছে বলে জানায় যার ফলে ছোট থেকে ছোট শব্দও তার কাছে কানের পর্দা ফেটে যাওয়ার মতো যেন এইরকম তার কাছে অনুভব হচ্ছে। নিকলসনের দেওয়া ঔষধ খাওয়ার পরেও তার শরীরে তেমন কোনো কার্যকারিতা দেখা দেয় না, এদিকে আবি এবং রুইজ এর ক্ষেত্রেও একই ব্যাপার। রুইজ ঠিক পরেরদিনও একইভাবে দেখে যে সে রক্তাক্ত অবস্থায় জঙ্গলের মতো জায়গায় পড়ে আছে আর তার পাশে একটা বিশ্রী অবস্থায় লাশ পড়ে আছে। তাদের এই ঔষধ খেয়ে কোনো কাজে আসছে না বলে আবার তারা দেখা করে এবং একসাথে ক্লিনিকে চলে যায় কথা বলার জন্য। এরপর সেখানে যাওয়ার পরে ডাক্তার ইতালিয়া রিকির সাথে দেখা হয় কিন্তু সেখানে নিকলসন ছিল না, অর্থাৎ সে সকাল থেকে বেপাত্তা। তাদের তিনজনের ধারণা যে ফেক ঔষধ তাদের দিয়েছে যার ফলে এই সমস্যাগুলো তাদের ক্ষেত্রে হচ্ছে।
ইতালিয়া রিকি তাদের কথা শুনে একটু অবাক হয় কারণ এই ক্লিনিক এ কাজ বহুদিন ধরে বন্ধ হয়ে আছে। নিকলসন আর রিকি যখন এই ক্লিনিকে কাজ করতো তখন একটা রিসার্চ এর বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে একটা ঝামেলা হয় আর রিকি এই ক্লিনিক ছেড়ে চলে যায়। তবে তাদের তিনজনকে প্রথমে যে ঔষধ দিয়েছিলো সেটা নিকলসন আর রিকি দুইজন মিলেই তৈরি করেছিল। তবে তাদের তিনজনকে গোপন রেখে তাদের উপর রিসার্চ করেছিল তাদের সেল এর থেকে AGDA নামক একধরণের সংক্রামক এর চিকিৎসার জন্য ডোজ বানানোর জন্য এবং সেটা বানিয়েছেও বলে জানায়। এরপর তারা মানুষ কিনা সেটা জানায় কিন্তু রিকি বলে টেকনিক্যালি হ্যা আবার টেকনিক্যালি না। তবে তাদের সমস্যাগুলো সমাধান হতে পারে বলে জানায় তাই ট্রাই করে দেখতে চায়। আর তাদের উপর রিসার্চ করেছিল যাতে তাদের খারাপ জিনগুলো ভালো হয়, কারণ তাদের শরীরে যে জীন ছিল সেটা তাদের পরিবারের কারোর থেকে পাইনি। আর তাদের যে ঔষধগুলো দিয়েছিলো সেটা তাদের সাইড ইফেক্ট প্রিভেন্ট করার জন্য, ওটাকে শেষ করে দেওয়ার জন্য না তাই জানায়।
ꕥব্যক্তিগত মতামত:ꕥ
সিরিজের এই পর্বে দেখা গেলো যে আসলে তিনজন ব্যক্তি এমন তিনটি ভিন্ন ধরণের জিনের অধিকারী যেটা তাদের শারীরিক অবস্থাকে পরিবর্তন করে দিচ্ছে। তিনজন তিনধরণের সমস্যায় ভুগছে যার মধ্যে একজন আদমখোর মানে নেকড়ে হয়ে যাচ্ছে, অন্যজন হাইপারকিউসেস এর সমস্যায় ভুগছে, তবে এই সমস্যায় সে আবার এটা শুনতে পায় যদি কেউ অনেক দূরে থাকা অবস্থায় কোনদিকে আসছে। আর অন্যজন এর সমস্যা হলো তার প্রতি যেকোনো কেউ অর্থাৎ পুরুষ বা মহিলা যে কেউ এট্রাক্টিভ হয়ে পড়ে, মানে এমন একটা ঘ্রান বের হয় যেটা তার প্রতি আকৃষ্ট হতে বাধ্য করে দেয়। তো এইসব সমস্যার থেকে তাদের বাঁচার জন্য তাদের মেডিসিনও প্রয়োগ করা হয়েছে। প্রথমে যে ব্যক্তিকে কাটাছেড়া করছিলো সে আসলে ম্যাক্স লয়েড জোনস নাম একজন ব্যক্তি ছিলেন। যখন রিকি এবং এরা তিনজন সেই মেডিসিন নিয়ে ক্লিনিক থেকে বের হচ্ছিলো তখন এই ব্যক্তিটি গিয়ে এই মেডিসিন নেওয়ার জন্য হামলা করে। এরপর রুইজ নেকড়ের রূপ ধারণ করে ওই ব্যক্তিকে মেরে ফেলে। এরপর তার বডি কেটে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছিলো, কিন্তু তার বডি কেটে ফেলার পরেও বেঁচে ওঠে।
ꕥব্যক্তিগত রেটিং:ꕥ
৭.৬/১০
ꕥট্রেইলার লিঙ্ক:ꕥ
শুভেচ্ছান্তে, @winkles
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |




Comments