হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি। |
---|
আজকে আপনাদের সাথে ডিএনএ এবং জেনেটিক্স এর বিষয় নিয়ে আলোচনা করবো। এই ডিএনএ এবং জেনেটিক্স আসলে আমাদের জীবনের একটা জটিল বিস্ময়কর বিষয়, যা সবসময় আমাদের জীবনযাত্রার ক্ষেত্রে প্রভাব বিস্তার করে থাকে। আমাদের মধ্যে এই যে বিভিন্ন ধরণের বৈশিষ্ট্য লক্ষ্য করা যায়, তার একমাত্র প্রভাব পড়ে কিন্তু এই ডিএনএ এর কারণে। এর কারণেই আমাদের শরীরে নানান পরিবর্তন লক্ষণ করা যায়, যেমন-আমাদের প্রত্যেকের চুলের গঠন বা ধরণ এর কারণে ভিন্ন হয়ে থাকে আবার চোখের আকার, আমাদের উচ্চতা, তারপর আমাদের মধ্যে যেসব রোগবালাই হয়ে থাকে সেটাও এর প্রভাবে হয়ে থাকে। তবে আজকাল যেসব বিভিন্ন অত্যাধুনিক অস্ত্রপচার বেরিয়েছে চিকিৎসা ক্ষেত্রে , তাতে আমরা চাইলে আমাদের ভিতরকার জেনেটিক পরিবর্তন ঘটাতে পারি।
এইগুলো ধীরে ধীরে ভবিষ্যতে আরো উন্নত হবে। এই যে আমাদের ভিতরে ডিএনএ থাকে এইগুলো আসলে প্রতিটা কোষের সমন্বয়ে তৈরি একটা কোড, যা আমাদের শারীরিক বৈশিষ্ট্যগুলো নির্ধারণ হয়ে থাকে। তবে এই ডিএনএ এর কিছু ক্ষুদ্র রাসায়নিক যৌগ থাকে যা আবার এইগুলো একটার পরে আরেকটা ক্রমান্বয়ে সাজানো থাকে, যা পরবর্তীতে আমাদের জীন গঠনে সাহায্য করে । আমাদের মানব জীবন কত রহস্যময় না! কত কিছু দিয়ে আমাদের জীবন এর বৈশিষ্ট্যগুলো নিয়ন্ত্রিত হয়ে থাকে। প্রত্যেকের কাজ এক একটা বিষয়ের তৈরিতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এই যেমন আমাদের শরীরে জীন গঠন হয়, সেটার আবার অনেকগুলো কাজ আছে, যেমন-কোষ বিভাজনে , রোগ প্রতিরোধ এবং হরমোন উৎপাদনে ভূমিকা রাখে।
আসলে আমাদের শরীরে যে প্রতি ক্ষেত্রে হরমোন এর প্রয়োজন হয় এটা এই জিনের কারণেই উৎপন্ন হয়ে থাকে, বিষয়টা বেশ ইন্টারেষ্টিং। ডিএনএ এবং জেনেটিক্স উভয়ের প্রয়োজন অপরিসীম। আমাদের প্রত্যেকের কিন্তু ডিএনএ এর ভিত্তি একইরকম, কিন্তু তারপরেও কিছু ক্ষুদ্র পার্থক্য থেকে যায়। তা না হলে কিন্তু আমাদের মধ্যে বিভিন্ন গঠনের মানুষ পরিলক্ষিত হতো না। সবারই গঠন আলাদারকমের হয়ে থাকে শুধু এই ক্ষুদ্র কিছু পার্থক্যের বিভাজন রয়েছে বলেই। এই যেমন দেখুন, আমরা যে বংশগত রোগ বা বৈশিষ্ট্য এর বিষয়ে বলে থাকি, এই পরিবর্তনগুলোগুলো মূলত ডিএনএ এর কারণে এক প্রজন্ম থেকে আরেক প্রজন্মে, এইভাবেই চলে যাচ্ছে। আর এইগুলো সাধারণত বাবা এবং মায়ের থেকে এসে থাকে উত্তরাধিকার অনুযায়ী।
এইজন্য আমাদের জীবনে কিন্তু বাবা এবং মায়ের উভয়ের কাছ থেকে যে জীন পাই, তার প্রভাবে আমাদের প্রত্যেকের বৈশিষ্ট্য বা চেহারার পরিবর্তন বিভিন্নতায় পরিলক্ষিত হয়ে থাকে। তবে এছাড়াও আমাদের জীবনে অনেক বংশগত রোগের সৃষ্টি হতে পারে, মূলত এইগুলো হয়ে থাকে ডিএনএ এর পরিবর্তনের কারণে। এই ডিএনএ তে যদি সামান্য একটু পরিবর্তন ঘটে তাহলে এইধরণের রোগের সম্ভাবনা হয়ে থাকে। বংশগত রোগ বিভিন্ন ধরণের হতে পারে। আজকাল এই ডিএনএ চেঞ্জ করে আমাদের সমাজে অনেক মানুষ পুরুষ থেকে নারী বা নারী থেকে পুরুষ হচ্ছে।
কিন্তু আসলে চেঞ্জ আসলেও তাদের স্বভাব বা বৈশিষ্ট্যের তেমন কোনো চেঞ্জিং আসে না। এক্ষেত্রে তাদের পরবর্তীতে শারীরিক সমস্যার সম্মুখীন হওয়ার চান্স থাকে। এটাকে ওই জীন এডিটিং এর মতো একটা বিষয়, যা আজকাল জীবনে অনেক কিছুর পরিবর্তন আনা সম্ভব। আসলে এই পরিবর্তনের কোনো সীমা নেই কিন্তু, যেকোনো কিছুতে পরিবর্তন করা যায় এই জীন এডিটিং এর মাধ্যমে। এইরকম কত বিষয় আছে ডিএনএ এবং জেনেটিক্স এর, যা আমাদের মানব জীবনে অনেক গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে পরিলক্ষিত।
শুভেচ্ছান্তে, @winkles
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |