মায়ের সঙ্গে মাছ বাজারে যাওয়ার অভিজ্ঞতা

wahidasuma -

আসসালামু আলাইকুম


আমার প্রিয় বাংলা ব্লগের বন্ধুরা আপনারা সবাই কেমন আছেন ?আশা করছি সবাই সুস্থ আছেন, ভালো আছেন।আমিও আল্লাহর রহমতে মোটামুটি ভাল আছি।




বন্ধুরা আজ আবারো আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি নতুন একটি পোস্ট নিয়ে । মূলত আজ আমি একদিন মায়ের সঙ্গে মাছ বাজারে যাবার অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে এসেছি । এইতো কয়েকদিন আগে আমি আমার মায়ের সঙ্গে মাছের বাজারে গিয়েছিলাম ।যদিও মাছের বাজারে আমার যাওয়ার অভিজ্ঞতা খুবই কম । তার পরেও দু-এক বার যাওয়া হয়েছে । তবে আমার মাছের বাজারে যাওয়ার দরকার হয় না ,যার কারণে খুব একটা যাই না । তবে এখন যেহেতু বাসায় আছি আম্মা অনেকদিন থেকেই বলছিল একদিন আমার সঙ্গে বাজারে যাবে । কারণ আম্মাও কখনো মাছের বাজারে যায় না । আমার ছোট ভাই সেই সব সময় বাজার করে । তবে আম্মার ইচ্ছা ছিল নিজে দেখেশুনে কিছু মাছ কিনবে। কিন্তু বেশ কিছুদিন থেকে আম্মার শরীর খারাপ থাকার কারণে যাব যাব করেও যাওয়া হয়ে উঠছিল না। তার পরেও আমরা সেদিন গিয়েছিলাম মাছের বাজারে ।সেই অভিজ্ঞতাই এখন আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করব ।আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে।

মায়ের সঙ্গে মাছ বাজারে যাওয়ার অভিজ্ঞতা


মাছ বাজারে গেলে নিজে দেখে শুনে মাছ কেনার মধ্যেও কিন্তু একটা আনন্দ আছে । এর আগেও আমি দু-একবার গিয়েছিলাম এবং যখন মাছ কিনেছিলাম নিজে দেখে শুনে তখন বেশ ভালো লেগেছিল। এবার যখন মায়ের সঙ্গে গেলাম তখন আমরা বেশ কিছু মাছ এবার কিনেছিলাম । মূলত মায়ের ইচ্ছা ছিল কিছু নদীর মাছ কেনার জন্য। কিন্তু এখনকার দিনে নদীর মাছ পাওয়া বেশ মুশকিল ।তারপরেও আমরা একটু খোঁজাখুঁজি করে কিছু মাছ পেয়েছিলাম এবং সেগুলো কিনেছিলাম ।যেহেতু সবসময় আমার ভাই বাজার করে ।কিন্তু ও বাজারে খুব একটা সময় দিতে চায় না। তাড়াহুড়ো করে যা পায় তাই কিনে নিয়ে আসে। যেটা মায়ের খুব একটা পছন্দ হয় না। যার কারণেই মূলত মায়ের নিজের থেকে বাজারে যাবার ইচ্ছা। প্রথমে যেয়েই ইলিশ মাছ দেখতে পেলাম ।সেখান থেকে আমরা কয়েকটি ইলিশ মাছ কিনেছিলাম ।তবে দাম প্রচুর চেয়েছিল ।বার্গেনিং করে এদের সঙ্গে পারা যায় না। এরা একদাম চেয়ে বসে থাকে। এটা বেশ বিরক্তিকর লেগেছিল আমার কাছে।


তারপর আমরা আরো বেশ কিছু দোকান দেখতে লাগলাম। যেখানে বিভিন্ন ধরনের মাছ ছিল ।রুই ,কাতল, বোয়াল, চিতল সব ধরনের মাছই ছিল ।তবে আমাদের সেদিন বড় মাছগুলো কেনার খুব একটা ইচ্ছা ছিল না। যার কারণে ছোট মাছ গুলো বেশি দেখছিলাম। তারপরেও কিছু বড় মাছও কেনা হয়েছিল। তবে আমার মত মানুষ মাছ বাজারে গেলে নির্ঘাত ঠকে আসবে। কেননা আমি কোন মাছই ভালোমতো চিনি না । বোয়াল মাছ, পাঙ্গাস মাছ আমার কাছে এক রকম লাগে দেখতে।


তারপর আমরা আরও একটু ঘুরে আরো কিছু মাছ কিনলাম ।আমার কাছে আবার রুই মাছ, কাতল মাছ দেখতেও একই লাগে বেশ ঝামেলার বিষয়। কোনো মাছই চিনতে পারি না । আর দোকানদারকে যদি জিজ্ঞাসা করা হয় এটি কি মাছ তাহলে তো বুঝা যায়, এ কিছুই চেনে না দামও চায় সেরকম ।আমরা দুজনই যেহেতু মাছ কেনায় খুব বেশি অভিজ্ঞ নয় তাই বাসায় এসে মনে হয়েছে আমরা খুব একটা জিততে পারিনি ।বেশ বেশি দাম দিয়েই মাছগুলো কেনা হয়েছে ।যেহেতু আমরা কেউই নিয়মিত বাজারে যাই না দুজনই হঠাৎ করে গিয়েছি ।আমার মাও মনে হয় জীবনে এই দ্বিতীয়বার বাজারে গেল । এর আগের বারও আমার সঙ্গে গিয়েছিল।


তারপর আমরা ঘুরে ঘুরে কিছু নদীর মাছ পেয়েছিলাম যেটার নাম বাচা মাছ । এই মাছ আমি অবশ্য চিনতাম না ।আম্মা আবার দেখলাম এই মাছটি বেশ ভালো চিনে ।তারপর আম্মা দামাদামি করে লোকটার থেকে এই মাছগুলো কিনল। এই মাছগুলো নাকি নদীর মাছ এবং এগুলো সব সময় পাওয়া যায় না। এগুলো দাম একটু বেশিই হয়ে থাকে। তবে দেখে শুনে নিজে মাছ কেনার মধ্যেও কিন্তু একটা আনন্দ আছে । বেশ ভালই লাগে কিনতে। মাছ কেনার আরো কিছু অভিজ্ঞতা আপনাদের সঙ্গে আর একদিন শেয়ার করব।


আজকের মতো এখানেই শেষ করছি ।আগামীতে আবার দেখা হবে নতুন কোন লেখা নিয়ে ।সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন ।আমার ব্লগ টি পড়ার জন্য সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

ফটোগ্রাফার:@wahidasuma
ডিভাইস:OPPO Reno8 T

🔚ধন্যবাদ🔚

@wahidasuma

আমি ওয়াহিদা আফরোজ সুমা।আমি একজন হাউজ ওয়াইফ। সমাজবিজ্ঞানে অনার্স মাস্টার্স করেছি।ঘুরে বেড়াতে , ঘুমাতে এবং গান শুনতে আমি ভীষন পছন্দ করি।বাগান করা আমার শখ।এছাড়াও আর্ট , বিভিন্ন রেসিপি ট্রাই করতেও ভালো লাগে। আমি 🇧🇩বাংলাদেশি🇧🇩।বাংলা আমার মাতৃভাষা।আমি বাংলায় কথা বলতে ও লিখতে ভালোবাসি।ধন্যবাদ আমার বাংলা ব্লগকে এই সুযোগটি করে দেওয়ার জন্য।

VOTE@bangla.witness as witness

OR

SET @rme as your proxy