ঈদের আগের রাতে বাজি ফোটানোর মুহূর্ত
15 comments
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগের বন্ধুরা আপনারা সবাই কেমন আছেন ?আশা করছি সবাই সুস্থ আছেন, ভালো আছেন।আমিও আল্লাহর রহমতে মোটামুটি ভাল আছি।
বন্ধুরা আজ আবারও আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আজ আমি মূলত একটি ভিন্ন ধরনের পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আর সেটি হচ্ছে বাজি ফোটানোর আনন্দ।সত্যি ঈদের আগের রাতে বাজি ফোটাতে ভীষণ ভালো লাগে।ছোট বেলায় শুধু আমরা তারা বাজি বাসার সামনের দোকান থেকে এনে ফোটাতাম।কিন্তু এখন হরেক রকমের বাজি পাওয়া যায়।যদিও আমি খুব বেশি বাজির নাম জানি না।বাজি ফোটাতে গেলে ছোট বেলার একটা ঘটনা খুবই মনে পরে।আমরা ঈদের আগের রাতে কয়েক বোন মিলে তারাবাজি ফোটাচ্ছিলাম।ফোটানোর সময় তানজিরা আপু ওর ঈদের একটা ড্রেস আগের রাতে পড়ে তারাবাজী ফোটাতে যেয়ে ওর জামা পুড়িয়ে ফেলেছিল।আপুর খুবই মন খারাপ হয়েছিল আবার সবাই আব্বুর কাছে বকাও খেয়েছিলাম।ছোট বেলার স্মৃতি সত্যি ভীষণ আবেগতাড়িত করে।যাইহোক এবারের ঈদের কথায় আসি।মেয়ে খুব করে বায়না ধরেছিল তার বাবার কাছে বাজি কেনার জন্য।যদিও তার বাবা বাজি ফোটানো নিষেধ বলে বাজি আনতে চায় না।কিন্তু মেয়ের ফুপিও বাজি ফোটাতে চাইলো। তাই দুজনের কথা রাখতে বাজি এনেছিল।সেই গল্পই এখন শেয়ার করব।
ঈদের আগের রাতে বাজি ফোটানোর মুহূর্ত
মূলত এখন বাজি কেনা বেচা নিষেধ।যার কারণে ইচ্ছে করলেই কিন্তু বাজি কেনা যায় না।আবার কোথায় পাওয়া যায় না জানলেও কেনা মুশকিল।আবার দোকানে যেয়ে জিজ্ঞাসা করলে বাজি থাকলেও ভয়ে বলে বাজি নেই।পুলিশের লোক ভেবে বলতে চায় না। যাই হোক মেয়ের বাবা অনেক খোঁজাখুঁজি করে, বিভিন্ন দোকান ঘুরে, কয়েক জনের থেকে শুনে, শেষ মেশ কয়েক রকমের বাজি কিনে এনেছিল।বাজির মধ্যে ছিল আতশ বাজি,চকলেট বাজি,তাড়াবাজি, চরকি আরো কি কি জানি ।নাম মনে নেই।তবে এই বাজি টি আমার কাছে সব থেকে বেশি ভালো লেগেছে।
এই বাজিটির নাম টি মনে করতে পারছি না।তবে চমৎকার ছিল।চোখের নিমিষে অনেক ওপরে চলে গেল।বেশ ভালো লেগেছিল দেখতে।এই প্রথম এই বাজি ফুটিয়েছি।মূলত মেয়ে বাজি ফোটানোর জন্য অস্থির হয়ে ছিল সন্ধ্যা থেকে।কিন্তু মেয়ের বাবা বাসায় ছিল না।তাই প্রথমে ভেবেছিলাম আমরা তো সব গুলো ফুটাতে পারবো না।মেয়ের বাবা আসলে ফুটাবো। তাই পরে ফুটাতে চেয়েছিলাম।কিন্তু পরে দেখলাম তার আসতে দেরি হবে ।এর মধ্যে মেয়ের মামা চলে এলো।তার পর সবাই মিলে বাজি ফুটাতে চলে গেলাম ছাদে।আমরা বেশ কয়েকজন ছিলাম।
আমি মূলত দেখছিলাম আর ছবি তুলছিলাম।এই ছবি টি তুলতে গিয়ে বাজি আমার দিকে চলে এসেছিল।খুবই ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম।ভয়ে দৌড় দিয়েছিলাম।তবুও ছবি কিন্তু ঠিকই তুলেছি।
এই বাজিটি ছিল চরকি বাজি।খুবই চমৎকার বাজি টি।ধরানোর পড়ে চরকির মত চারপাশে ঘুরতে থাকে।অসম্ভব ভালো লেগেছিল দেখতে।তবে অনেক দূর পর্যন্ত এর আগুনের ফুলকি চলে এসেছিল।ভয়ে ছোটাছুটি করতে হয়েছিল।
এটি ছিল আতশ বাজি।খুবই ভয়ে ভয়ে এটি ফোটানো হয়েছিল।দূর থেকে আগুন দেওয়া হয়েছিল।তারপরেও এটি উপরে না উঠে নিচ থেকেই ফেটে গিয়েছিল।আমরা ভয়ে এদিক সেদিক দৌড় শুরু করলাম।আমার মামাতো বোন আমি ভয়ে চিৎকার করে উঠেছিলাম।আসলে বাজি ফোটানো কিন্তু খুবই ঝুঁকিপূর্ণ কাজ।আমি আমার মেয়ের চোখ হাত দিয়ে ঢেকে দৌড়।
আর এটি হচ্ছে আমার পছন্দের খুবই সহজ সরল বাজি তরাবাজি।আমরা মেয়েরা সবাই এই বাজি পুড়িয়েছি। এটায় কোন ভয় পাইনি তবে বেশ মজা লেগেছে।আমার মেয়েও পুড়িয়েছে এই বাজি।এই বাজি পোড়ানোর সময় হাত ঘোরালে দেখতে বেশ ভালো লাগে।আমি উঁচু করে ঘুরিয়েছিলাম।দেখতে বেশ ভালো লেগেছিল।
আর এই বাজি টিও চমৎকার ছিল।নাম মনে নেই তবে খুবই সুন্দর ।অন্ধকার ছাদে চমৎকার লাগছিল বাজি গুলো পোড়াতে।অনেক দিন পর সবাই মিলে এভাবে বাজি পড়ানো হলো।বেশ মজা হয়েছিল সেই ঈদের চাঁদ রাতে।বেশ আনন্দ করেছি অনেক দিন পর।আশা করছি আপনাদের কাছেও আমার বাজি ফোটানোর মুহূর্ত ভালো লেগেছে।
আজকের মতো এখানেই শেষ করছি ।আগামীতে আবার দেখা হবে নতুন কোন লেখা নিয়ে ।সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন ।আমার ব্লগ টি পড়ার জন্য সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ফটোগ্রাফার: | @wahidasuma |
---|---|
ডিভাইস: | OPPO Reno8 T |
🔚ধন্যবাদ🔚
@wahidasuma
আমি ওয়াহিদা সুমা।আমি একজন হাউজ ওয়াইফ। সমাজবিজ্ঞানে অনার্স মাস্টার্স করেছি।ঘুরে বেড়াতে , ঘুমাতে এবং গান শুনতে আমি ভীষন পছন্দ করি।বাগান করা আমার শখ।এছাড়াও আর্ট , বিভিন্ন রেসিপি ট্রাই করতেও ভালো লাগে। আমি 🇧🇩বাংলাদেশি🇧🇩।বাংলা আমার মাতৃভাষা।আমি বাংলায় কথা বলতে ও লিখতে ভালোবাসি।ধন্যবাদ আমার বাংলা ব্লগকে এই সুযোগটি করে দেওয়ার জন্য।
Comments