জসীম মেলা ভ্রমণ (পর্ব -৫)
14 comments
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগের বন্ধুরা আপনারা সবাই কেমন আছেন ?আশা করছি সবাই সুস্থ আছেন, ভালো আছেন।আমিও আল্লাহর রহমতে মোটামুটি ভাল আছি।
জসীম মেলা ভ্রমণ (পর্ব -৫)
যেকোনো মেলায় ঘুরতে গেলে বিভিন্ন দোকান ঘোরাঘুরির পাশাপাশি সবথেকে বেশি আকর্ষণ কাজ করে চুরি এবং কসমেটিক্স এর দোকানগুলোতে। বিভিন্ন রংবেরঙের চুরি দেখে যে কারোরই ভীষণ ভালো লাগে। একটা সময় ছিল যখন মেলায় গেলে হাত ভর্তি রংবেরঙের বিভিন্ন ধরনের চুরি কিনে আনতাম ।অজস্র চুরি দিয়ে ঘর ভরে ফেলতাম । যদিও এখনো আমার অনেক চুরি হয়েছে ।কিন্তু এখন আর আগের মত চুরি পড়া হয়ে উঠে না ।কেননা এখন বোরখা পরি যার কারণে চুরি পরা হয়ে ওঠে না। কিন্তু এখনো চুরির প্রতি আমার ভীষণ নেশা কাজ করে ।যেহেতু পড়া হয়না তার কারণে কেনাও হয়ে ওঠে না। তবে দেখতে কিন্তু ভীষণ ভালো লাগে।
এবারও যখন মেলায় প্রতিটা স্টল ঘুরে ঘুরে দেখছিলাম হঠাৎই আমার চোখ পড়ল চুরির স্টলের দিকে। সেখানে দেখলাম বিভিন্ন কালারের চুরি রয়েছে। দেখে ভীষণ কিনতে মন চাইছিল। কিন্তু যেহেতু পড়া হয়না তার কারণে কেনা বাদ দিয়েছিলাম। তবে বেশ কিছু সময় দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে চুড়িগুলো দেখছিলাম ।কেননা চুরি গুলো দেখতেও আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগছিল। যাই হোক যেহেতু কিনবো না সেহেতু বেশি সময় এক জায়গায় দাঁড়িয়ে থাকা সম্ভব হয় না, তারপর গেলাম অন্য একটি স্টলে।
চুরির দোকান থেকে ঘুরে তারপর এই কানের দুলের স্টলে আসলাম।এখানে হরেক রকমের কানের দুল ঝুমকা ছিল। যেগুলো দেখে যে কারোরই ভালো লাগবে। এখান থেকে বেশ কিছু ঝুমকো আমার খুব ভালো লাগলো। কিন্তু ওই এক সমস্যা বোরখা পরি যার কারণে কানের দুল কিনেও লাভ হয় না। আমার অসংখ্য কানের দুল ছিল যেগুলো এখন আর পড়া হয়ে ওঠে না যার কারণে অন্যদেরকে দিয়ে দিচ্ছি। এই এমিটিশনের কানের দুল একটা সময় প্রচুর পরিমাণে কেনা হতো এবং ড্রেসের সঙ্গে মিলিয়ে মিলিয়ে এই ঝুমকো গুলো পড়তাম। তখন ভীষণ ভালো লাগতো। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সবকিছুই পরিবর্তন হয়েছে। আসলে পর্দা করলে নিজের কিছু কিছু ইচ্ছে গুলো কেউ জলাঞ্জলি দিতে হয়। ভালো কিছুর জন্য এটুকু কষ্ট তো করাই যায়।
তারপর এলাম এই সিটি গোল্ডের চুরির দোকানে। এই চুড়িগুলো মায়ের জন্য কেনা যেত কিন্তু দেখলাম যে এরা মার্কেট থেকেও প্রচুর পরিমাণে দাম চাইছে। যার কারণে আর এদের থেকে কেনা হয়ে উঠল না। তারপর দেখতে পেলাম নেইলপলিশ, লিপিস্টিকের দোকান। যেখানে খুবই নরমাল কিছু নেইলপলিশ, লিপিস্টিক ছিল। আমি সাধারণত ব্রান্ডের নেইলপলিশ, লিপস্টিক গুলো কিনে থাকি ।তাই এই অর্ডিনারি নেইলপলিস, লিপিস্টিক আর কেনা হয়ে ওঠেনি। তবে দেখতে কিন্তু ভীষণ ভালো লেগেছিল।
তারপর ঘুরতে ঘুরতে এই স্টলে এলাম ।আসলে মেলায় দেখা যায় হরেক রকমের দোকান। তবে কেনার মত সেরকম কিছুই খুঁজে পাওয়া যায় না। কেননা এদের জিনিসগুলো খুব একটা মানসম্মত হয় না। আবার দামও এরা যে কোন মার্কেট থেকে বেশি চায়। সাধারণত মেলায় জিনিসপত্রের দাম একটু কম হলে আমার মনে হয় বিক্রি বেশি হতো। কিন্তু এখানে উল্টো হয় , সবকিছুর দাম বেশি থাকে। যে কারণে মনে হয় বিক্রিও কম হয় ।যাইহোক আশা করছি আপনাদের মেলার আজকের পর্ব টা ভালো লেগেছে।
আজকের মতো এখানেই শেষ করছি ।আগামীতে আবার দেখা হবে নতুন কোন লেখা নিয়ে ।সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন ।আমার ব্লগ টি পড়ার জন্য সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ফটোগ্রাফার: | @wahidasuma |
---|---|
ডিভাইস: | OPPO Reno8 T |
লোকেশন: | জসিমপল্লী মেলা, ফরিদপুর |
🔚ধন্যবাদ🔚
@wahidasuma
আমি ওয়াহিদা সুমা।আমি একজন হাউজ ওয়াইফ। সমাজবিজ্ঞানে অনার্স মাস্টার্স করেছি।ঘুরে বেড়াতে , ঘুমাতে এবং গান শুনতে আমি ভীষন পছন্দ করি।বাগান করা আমার শখ।এছাড়াও আর্ট , বিভিন্ন রেসিপি ট্রাই করতেও ভালো লাগে। আমি 🇧🇩বাংলাদেশি🇧🇩।বাংলা আমার মাতৃভাষা।আমি বাংলায় কথা বলতে ও লিখতে ভালোবাসি।ধন্যবাদ আমার বাংলা ব্লগকে এই সুযোগটি করে দেওয়ার জন্য।
Comments