মেয়েকে নিয়ে একদিন ফুসকা খেতে যাওয়া

wahidasuma -

আসসালামু আলাইকুম


আমার প্রিয় বাংলা ব্লগের বন্ধুরা আপনারা সবাই কেমন আছেন ?আশা করছি সবাই সুস্থ আছেন, ভালো আছেন।আমিও আল্লাহর রহমতে মোটামুটি ভাল আছি।




বন্ধুরা আজ আবারো আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি নতুন একটি পোস্ট নিয়ে ।আজ আমি মূলত একদিন মেয়েকে নিয়ে ফুচকা খেতে যাওয়ার অনুভূতি আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করতে এসেছি। বেশ কয়েকদিন থেকে মেয়ে বায়না ধরছিল আমার সঙ্গে বাইরে ফুচকা খেতে যাবে ।যদিও বাসার কাছেই ফুসকা পাওয়া যায় কিন্তু সে ওখান থেকে খাবে না। সে নিউমার্কেট থেকে খাবে ।আমিও আজ যাই, কাল যাই, বৃষ্টি পড়ছে এই নিয়ে বেশ তাল বাহানা করতে থাকলাম। তারপর সে একদিন বেশ জোর করল যাওয়ার জন্য। তারপর আমি আর আমার মেয়ে আমরা দুজন মিলে বেরিয়ে পড়লাম ফুচকা খেতে। সে অনুভূতিই এখন আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করব ।আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে।

মেয়েকে নিয়ে একদিন ফুসকা খেতে যাওয়া


নিউ মার্কেটের সামনে রাস্তার ধারে অসংখ্য খাবারের দোকান। আমি মূলত প্রথমে এখান দিয়ে যাচ্ছিলাম এবং ভাবছিলাম এর থেকে আর একটু ভালো জায়গায় খাওয়াতে। কিন্তু মার্কেটের আশেপাশে বেশ কয়েকটি দোকান খুঁজলাম কোথাও এই ভ্যান গুলো ছাড়া আর ফুচকার দোকান দেখতে পেলাম না ।যার কারণে মেয়েকে নিয়ে এই ভ্যানের কাছে আবার ফিরে আসতে হল এবং মেয়ের জন্য ফুচকা অর্ডার করলাম।


তারপর মেয়ের জন্য এক প্লেট ফুচকা দিল ।কিন্তু ফুচকাটা ছিল একেবারে অর্ডিনারি ফুচকা। এ ধরনের ফুচকা খাই না অনেকদিন। সাধারণত আমরা ফুচকার ভালো মানের দোকান থেকে ফুচকা খাই ।যেখানে চমৎকার ভাবে ফুচকা গুলো সাজানো থাকে। কিন্তু এই ফুচকা দেখলাম একেবারে কিছুই দেয়নি ।শুধু ডাবরী, শসা আর একরকমের টক। যা দেখে আমার খুবই বিরক্ত লাগল ,আমি আর খেলাম না। তারপর মেয়ে এক প্লেট ফুচকা খাওয়ার পর এক প্লেট ভেলপুরি খেতে চাইল। তারপর তার জন্য ভেলপুরি অর্ডার করলাম। তারপর ভেলপুরি খাওয়ালাম।।


তারপর দেখলাম দোকানদার একজনকে মুড়ি মাখানো করে দিচ্ছে ।যেটা দেখে আমার কাছে বেশ ভালো লাগলো। মনে হল খেতে ভীষণ মজার হবে ।তারপর আমিও আমার জন্য মুড়ি মাখানো অর্ডার করলাম ।তবে আমি ওখান থেকে খাইনি, পার্সেল করে বাসায় এনেছিলাম ।মুড়িটা নরম হয়ে গিয়েছিল তবে খেতে বেশ ভালোই লেগেছিল।


তারপর আশেপাশে আরও একটি ভ্যান দেখতে পেলাম। যেই ভ্যানে অসংখ্য রকমের কাঁচা ফল ছিল ।সেই ফলগুলো হামান দিস্তায় বেটে বিভিন্ন মসলা দিয়ে মাখিয়ে দিচ্ছিল। দেখে যেন জিভে জল চলে এলো ।তারপর আমি আমার জন্য দুই কাপ ফল মাথা নিলাম ।খেতে সত্যিই অসম্ভব মজার ছিল। বিভিন্ন রকমের ফল ছিল। যেমন :আমরা, চালতা, জলপাই, পেয়ারা ,তেতুল আরো বেশ কয়েক রকমের ফল ।সঙ্গে ছিল ধনিয়াপাতা , কাসুন্দি ,বিভিন্ন রকমের মসলা সবমিলিয়ে চমৎকার একটি মিশ্রণ খেতে খুবই সুস্বাদু।
সেটিও আমি পার্সেল নিয়ে নিলাম ।তারপর প্রয়োজনীয় কিছু জিনিস কেনাকাটা করে বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম ।মেয়ে তো ভীষণ খুশি বাইরে ফুচকা ভেলপুরি খেয়ে। তারপর আমরা সন্ধ্যার পর বাসায় ফিরে এলাম।



আজকের মতো এখানেই শেষ করছি ।আগামীতে আবার দেখা হবে নতুন কোন লেখা নিয়ে ।সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন ।আমার ব্লগ টি পড়ার জন্য সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

ফটোগ্রাফার:@wahidasuma
ডিভাইস:OPPO Reno8 T

🔚ধন্যবাদ🔚

@wahidasuma

আমি ওয়াহিদা আফরোজ সুমা।আমি একজন হাউজ ওয়াইফ। সমাজবিজ্ঞানে অনার্স মাস্টার্স করেছি।ঘুরে বেড়াতে , ঘুমাতে এবং গান শুনতে আমি ভীষন পছন্দ করি।বাগান করা আমার শখ।এছাড়াও আর্ট , বিভিন্ন রেসিপি ট্রাই করতেও ভালো লাগে। আমি 🇧🇩বাংলাদেশি🇧🇩।বাংলা আমার মাতৃভাষা।আমি বাংলায় কথা বলতে ও লিখতে ভালোবাসি।ধন্যবাদ আমার বাংলা ব্লগকে এই সুযোগটি করে দেওয়ার জন্য।

VOTE@bangla.witness as witness

OR

SET @rme as your proxy