আজকে আমি এসেছি আপনাদের সকলের সাথে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট শেয়ার করতে। আমার লেখার মাধ্যমে আমার চিন্তা ভাবনা গুলো আপনাদের কাছে পৌঁছানোর লক্ষ্যে এই লেখাগুলো শেয়ার করা।
made by canva
আশা করছি যে আপনারা আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমেই আমার এই লেখাটি সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবেন এবং আপনাদের মতামত ব্যক্ত করবেন। আমি যদি কোনো কিছু ভুল বলে থাকি। তাহলে অবশ্যই আমাকে শুধরে দিতে ভুলবেন না।
আজকে ভাবলাম এমন একটা বিষয় নিয়ে আপনাদের সকলের সাথে আলোচনা করি। যে বিষয়টা আমাদের চারপাশে হরহামেশাই ঘটে চলেছে। কিন্তু আমরা যেনো চোখ বন্ধ করে থাকতেই সবচেয়ে বেশি পছন্দ করি এবং এই বিষয়টা যতো আমাদের চোখের সামনে আসবে না ততোই যেনো আমাদের জন্য ভালো। অর্থাৎ ঘটনা ঘটুক, তাতে আমাদের কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু যেনো আমাদের চোখের সামনে না আসে। ব্যাপারটা অনেকটা বেশি স্বার্থপরতা করা হয়ে যায়। তাই না? কিন্তু আমরা ঠিকই স্বার্থপরতাই করে আসছি যুগের পর যুগ।
আচ্ছা আপনারা কি বলতে পারেন, কেনো মেয়েদের নিরাপত্তা চাওয়ার দাবিতে মোমবাতি হাতে নিশ্চুপতা অবলম্বন করতে হবে? কেনো তারা গর্জে উঠতে পারে না আর দশজন ছেলের মতোন? এই যে নারীদের এই বদলানো। অর্থাৎ নারীদেরকে শান্ত থাকতে শেখানো, নারীদেরকে ভদ্র সভ্যতা শেখানো। অর্থাৎ যতোটা দরকার নেই, তার চেয়েও বেশি ভদ্রতা শেখানো। এই কারণগুলো কেনো? শুধুমাত্র কি নারীদেরকে ভদ্র বানানোর জন্য? নাকি নারীদের আজীবনের জন্য চুপ করিয়ে দিয়ে তাদের ফায়দা নেওয়ার জন্য? জানিনা, কোনটা ঠিক কোনটা বেঠিক। কিন্তু আমার অন্তত এটাই মনে হয় যে, আমার সাথে যদি কেউ অন্যায় করে। তাহলে আমি কেনো মোমবাতি হাতে রাস্তায় দাঁড়িয়ে তার বিচার চাইবো? আমি নারী আমি বিচার চাইবো গর্জে ওঠে। কারণ যে আমার সাথে অন্যায় করেছে, যে আমার সাথে অপরাধ করেছে তার সামনে মোমবাতি হাতে দাঁড়িয়ে থাকার তো কোনো প্রশ্ন নেই। তাকে জবাবটা এমন ভাবেই দিতে হবে, যতোটা তার অপরাধের পরিমাণ।
কিন্তু আমরা সব সময় আমাদের চারপাশের নারীকে এটাই শিখায় যে তারা যতো চুপ থাকবে, তারা যতো শান্ত থাকবে। তাতেই তাদের মঙ্গল, তাতেই তাদের সুনাম। কিন্তু আমি এমনটা মনে করি না। একজন নারী হয়ে সত্যিই এমনটা মনে করি না। কারণ একজন নারী যতক্ষণ পর্যন্ত গর্জে উঠবে না ততক্ষণ পর্যন্ত সে সুবিচার পাবে না। তাই মোমবাতি হাতে আর দাঁড়িয়ে থাকার সময় নাই। এখন সময় এসেছে নিজের অধিকার ছিনিয়ে নেওয়ার। অন্তত মেয়েদের ক্ষেত্রে আমি তাই মনে করি।