প্রতিশোধ স্পৃহা (চতুর্থ পর্ব)

un-stoppable -

কেমন আছেন বন্ধুরা? আমি ভালো আছি। আশাকরি আপনারা ও ভালো আছেন।


রাছিফের কথা শুনে তার বাবা মা ভাই বোন সবাই কান্নাকাটি করতে লাগলো। রাফিফের ভাই তাকে জানালো তার বাচ্চা দুটো আর বেঁচে নেই। এই কথা শুনতেই রাছিফ আবার জ্ঞান হারালো। এই ঘটনার কয়েকদিন পরে রাছিফ তার স্ত্রীকে নিয়ে বাড়িতে ফিরলো। ইতিমধ্যে তার বাচ্চা দুটোর দাফন কাফন হয়ে গিয়েছে। রাছিফ বাসায় ফিরে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে সরাসরি চলে গেলো। থানায় থানায় গিয়ে সে পুলিশের কাছে তাদের অ্যাক্সিডেন্টের মামলার ব্যাপারে জানতে চাইলো।


ক্যানভা দিয়ে তৈরি করা হয়েছে।

কর্তব্যরত পুলিশ অফিসার তাকে জানালো এই ঘটনা নিয়ে থানায় কোন মামলা হয়নি। তখন রাছিফ মামলা করতে চাইলো। কিন্তু পুলিশ অফিসার তাকে সাহায্য করার বদলে তার সাথে রীতিমতো দুর্ব্যবহার করতে শুরু করলো। সেই পুলিশ অফিসার প্রথমে রাছিফকে বোঝাতে লাগলো এটা ছিলো নিছকই একটা দুর্ঘটনা। এটা নিয়ে বাড়াবাড়ি করার কোনো প্রয়োজন নেই। কিন্তু রাছিফ নাছোড়বান্দার মতো মামলার করতে চাইলো। তখন পুলিশ অফিসার তার সাথে খারাপ ব্যবহার করতে শুরু করলো। তাকে এক রকম জোর করে থানা থেকে বের করে দিলো।

রাছিফ এই ঘটনায় দুঃখে ক্ষোভে ভেঙে পড়লো। বাসায় ফিরে তার স্ত্রীকে এই কথা জানাতে সে ও অবাক হয়ে গেলো। রাছিফ তার স্ত্রীকে জানালো এত বড়ো একটা ঘটনার পরও থানায় কোন মামলা হয়নি। তখন রাছিফের স্ত্রী রাছিফকে পরামর্শ দিলো কোর্টে গিয়ে মামলা করার জন্য। বুদ্ধিটা রাছিফের পছন্দ হোলো। পরদিন রাছিফ কোর্টে গিয়ে মামলা করলো। ইতিমধ্যে রাছিফ লোকজনের কাছ থেকে খোঁজখবর নিয়ে জানতে পেরেছে তাদের হত্যাকারী ড্রাইভারের নাম। ছেলেটা শহরের নামকরা এক ব্যবসায়ীর ছেলে। সেদিন মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালাতে গিয়ে সে আসিফের বাচ্চা দুটোকে মেরে ফেলেছে। (চলবে)


আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।



ধন্যবাদ