কিন্তু পালাতে গিয়ে তারা বিপত্তির সম্মুখীন হোলো। কোন দিকে যাবে সেটা তারা কিছুতেই বুঝতে পারছিলো না। শফিক আর সবুজ তখন চিন্তা করতে লাগলো কোন দিকে যাওয়া যায়। এর ভেতরে হঠাৎ করে তারা তাকিয়ে দেখে বরুনের হাতের ঘড়ির স্ট্রাপে একটা ছোট্ট কম্পাস রয়েছে। কম্পাসটা দেখে সবুজের মাথায় একটা বুদ্ধি খেলে গেলো। তাদেরকে যখন ধরে নিয়ে আসা হয় তখন সবুজ খেয়াল করে দেখেছে তারা যেখানে ছিল সেখান থেকে পশ্চিম দিকে তাদেরকে নিয়ে আসা হয়েছে। তাই তারা কম্পাসটা ধরে সেই দিকেই আগাতে লাগলো। তবে অভ্যাস না থাকায় পাহাড়ি রাস্তায় তাদের চলতে নিদারুন কষ্ট হচ্ছিলো।
ক্যানভা দিয়ে তৈরি করা হয়েছে।
তারা যতই দ্রুত পালানোর চেষ্টা করছিল ততই মনে হয় পিছিয়ে পড়ছিলো। কিছুক্ষণ পরপর তারা সবাই ক্লান্ত হয়ে পড়ছিলো। এক পর্যায়ে তো বরুন বলে বসলো আমার পক্ষে আর হাঁটা সম্ভব না। তোরা চলে যা আমি সন্ত্রাসীদের কাছে আবার ধরা দেবো। তখন তিন বন্ধু বসে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে তারপর আবার চলতে শুরু করলো। এইভাবে চলতে চলতে অনেক রাত হয়ে গেলো। কিন্তু তারা কোন লোকালয়ের দেখা পেলো না। যখন তারা হতাশ হয়ে ক্লান্ত বিধ্বস্ত হয়ে বাঁচার আশা প্রায় ছেড়ে দিয়েছে। তখন হঠাৎ করে তারা একটি গাড়ির আওয়াজ শুনতে পেলো। তারা তিনজনে কান খাড়া করে শুনতে চেষ্টা করলো আওয়াজটা কোন দিক থেকে আসছে।
কিছুক্ষণ পরেই তারা দেখতে পেলো তারা যেখানটাতে বসে আছে তার থেকে কিছুটা দূর দিয়ে একটা গাড়ি চলে গেলো। তখন বুঝতে পারল তারা আসলে রাস্তার খুব কাছাকাছি চলে এসেছে। তখন তারা দৌড়ে গিয়ে সেই রাস্তা দেখে খুশিতে আত্মহারা হয়ে উঠলো। কিছুক্ষণ সেখানে অপেক্ষা করার পর তারা আরো একটি গাড়ি দেখতে পেলো। তখন সে গাড়ি থামিয়ে তারা তাদের সমস্যার কথা খুলে বললে সেই ট্রাকের ড্রাইভার তাদেরকে ট্রাকে উঠিয়ে কক্সবাজার থানায় পৌঁছে দিলো। সেখানে গিয়ে তারা পুলিশকে সবকিছু খুলে বললে পুলিশ তাদেরকে বাড়ি পাঠানোর ব্যবস্থা করে দেয়। আর এভাবেই তারা ঘুরতে গিয়ে বিপত্তির সম্মুখীন হয়েও প্রাণ নিয়ে বাড়িতে ফিরলো। (সমাপ্ত)
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।