নিজের যত্ন,নিজের জন্যে শ্রেষ্ঠ উপহার
0 comments
আজকে আমি এসেছি আপনাদের সকলের সাথে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট শেয়ার করতে। আমার লেখার মাধ্যমে আমার চিন্তা ভাবনা গুলো আপনাদের কাছে পৌঁছানোর লক্ষ্যে এই লেখাগুলো শেয়ার করা।
আশা করছি যে আপনারা আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমেই আমার এই লেখাটি সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবেন এবং আপনাদের মতামত ব্যক্ত করবেন। আমি যদি কোনো কিছু ভুল বলে থাকি। তাহলে অবশ্যই আমাকে শুধরে দিতে ভুলবেন না।
এই লেখাটা আমার নিজের মাথাতে প্রথমে আসেনি। অর্থাৎ আমি এই লেখাটি যেখানে পেয়েছি প্রথমে, সেখানকার কথা বলি। তাহলে আপনারা আরো ভালোভাবে বুঝতে পারবেন। এই লেখাটি আমি সর্বপ্রথম পেয়েছি একটি পার্লারে। আসলে আমি যেহেতু একজন মেয়ে। তাই মাঝেমধ্যেই পার্লারে যাওয়া হয় নিজের কেয়ার করার জন্য। তো সেদিন ফেসিয়াল করার জন্য ফেসিয়াল চেয়ারে যখন বসে পার্লারের মেয়েগুলোর জন্য অপেক্ষা করছিলাম। তখন সামনে দেখলাম খুব সুন্দর একটা লেখা এবং সেই লেখাটি এটাই ছিলো যে, নিজের যত্ন নেওয়া হলো পৃথিবীতে নিজের জন্যে তৈরি করা কিংবা নিজেকে দেওয়া শ্রেষ্ঠ উপহার। কথাটি আমার এতো ভালো লেগেছিলো যে ভাবলাম। আসলে তখনই ভেবেছিলাম যে, এই নিয়ে আমি একটা না একটা লেখা অবশ্যই প্রকাশ করবো অর্থাৎ আমার নিজের মতামত।
আমি নিজেও আসলেই ব্যাপারটির সাথে একেবারে একমত। কারণ কথায় আছে, যে নিজেকে ভালবাসতে পারে না, সে অন্যকেও ভালবাসতে পারে না। আর এটা যেমন ঠিক। ঠিক তেমনটাই, যে নিজের যত্ন করতে পারে না, সে অন্যের যত্ন ও করতে পারে না। আসলে পৃথিবীতে অনেক ভালো কাজ গুলোর মধ্যে যদি বিশেষ একটি কাজ আমি বলে থাকি। তাহলে আমার কাছে মনে হয় সেটা হচ্ছে নিজের যত্ন নেওয়া। কারণ আমরা সবসময় অন্যের জন্য করতে করতে নিজের যত্ন নেওয়া ভুলে যাই। অবশ্য আমি এমনটা নই। অর্থাৎ আমি বেশিরভাগ সময় অন্যদের পাশাপাশি নিজের যত্ন নেওয়াটাকে ও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে ভাবার চেষ্টা করি।
কারণ আমার মতামত হলো, আমি যদি নিজে ভালো না থাকি। তাহলে আমি অন্য কাউকে কখনোই ভালো রাখতে পারবো না। ঠিক তেমনটাই, আমি যদি নিজের যত্ন না নেই। তাহলে আমি অন্য কারো যত্ন নিতে পারবো না। আর মাঝেমধ্যে নিজেকে একটা স্পেশাল কেয়ার করাটা অনেক বেশি প্রয়োজনীয়। কারণ আমরা মাঝেমধ্যে ভুলেই যাই যে আমরাও স্পেশাল কেউ হতে পারি। কারণ আমরা সব সময় লেগে পরি ভাবতে যে অন্যের কিসে ভালো। তাই সব সময় এটা মাথায় রাখা উচিত যে এজন্যই শ্রেষ্ঠ উপহার হলো আমাদের নিজের যত্ন নেওয়া, নিজের ভালো মন্দ দিকটা বিবেচনা করা।
কারণ একটা সময় হয়তো সকলেই আমাদের আশেপাশে থেকে সরে যাবে তাদের প্রয়োজন শেষ করে। কিন্তু যে থেকে যাবে, সেটা হচ্ছে আমাদের নিজেদের শরীর ও মন।
Comments