ক্রিয়েটিভ রাইটিং:- চোখ থাকিতে অন্ধ।

tuhin002 -
আমি @tuhin002, আমি আমার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যগনকে আমার পক্ষ থেকে জানায় সালাম," আসসালামু আলাইকুম" সবাই কেমন আছেন ? আশা করি, মহান আল্লাহর অশেষ রহমতে অনেক ভালো আছেন। আমি ও আপনাদের দোয়ায় এবং মহান আল্লাহুর অশেষ রহমতে ভাল আছি। আজকে আমি আলোচনা করবো একটি বাস্তবতা নিয়ে কিছু কথা। আর সে কথা গুলোর বিষয়টি হলো চোখ থাকিতেও অন্ধ আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। তাই শুরু করছি আমার আজকের ব্লগ...


Source


পৃথিবীতে অসংখ্য মানুষের বসবাস। এই মানুষের মধ্যে সবাই সবাইকে কম বেশি বিশ্বাস করে। বিশ্বাস ছাড়া মানুষের চলাচল অনেক কঠিন। আর এই বিশ্বাসটা সর্বজনীন হতে হয়। ঘর থেকে শুরু করে যেকোনো জায়গায় যদি বিশ্বাস না থাকে তাহলে কোন কিছুই করা সম্ভব হয়ে ওঠে না। তবে মানুষকে বিশ্বাস করতে হবে অন্ধ -বিশ্বাস নয়। আমাদের সমাজে বহু মানুষ রয়েছে যারা একে অপরের প্রতি অন্ধ বিশ্বাস আছে। আর এই বিশ্বাসের কেউ মর্যাদা রাখে কেউ মর্যাদা রাখে না। অনেক বছর ধরে আমি কয়েকটা মানুষের এই অন্ধ-বিশ্বাস সম্পর্কে অবগত আছি। কিন্তু ওই মানুষ গুলো অন্ধ-বিশ্বাসের আড়ালে কত কিছু করে বেড়ায়। অথচ যে ব্যক্তি ওই মানুষগুলোকে অন্ধবিশ্বাসের মত বিশ্বাস করে। অথচ সেই ব্যক্তি জানেই না তারা তাদের সম্মান কিভাবে ডুবিয়ে দিচ্ছে প্রতিনিয়ত।


বর্তমান যুগে এমন পরিবার রয়েছে যে পরিবারে বসবাস করে স্বামী স্ত্রী এবং তার একটা অথবা দুইটা সন্তান। স্বামী উচ্চ পর্যায়ের সরকারি কর্মচারী। সকাল হলে স্বামী কর্মব্যস্ততায় নিজেকে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। আর স্ত্রী তার স্বামীকে কর্মস্থানে যাওয়ার জন্য সব রকম ব্যবস্থা করে দেয়। স্ত্রীর এই কর্মকান্ডে স্বামী বেশ খুশি। এরপরে স্বামী তার কর্ম স্থানে চলে যায়। এরপরে বাড়িতে স্ত্রী একা। নিজের খেয়াল খুশি মতো খাওয়া-দাওয়া, ওঠাবসা মানুষের সাথে কথা বলা চলাফেরা, পাশের বাড়িতে যাওয়া। একে অন্যের গীবত গাওয়া এই সমস্ত কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হয়ে থাকে। আমার দেখায় এমন একটা মানুষ যার মুখে মধু অন্তরে বিষ। আপনার সাথে যদি কথা বলে তাহলে আপনি বলবেন এত ভালো মানুষ পৃথিবীতে আর হয় না। অথচ এই মানুষটি একটা একটা করে অনেক গুলো পরিবারের মানুষের সুখ নষ্ট করেছে। অথচ তার বিষয় গুলো যদি তার আত্মীয়-স্বজন তার স্বামীকে বলতে যাই, উল্টো তার স্বামী বলে আমার স্ত্রী আমার সন্তানরা হলো নিষ্পাপ এদের কোন পাপ নেই। আর এরা এমন কোন কাজ করতেই পারে না।


মানুষ কতটা মধুমুখী হলে একজন শিক্ষিত মানুষকেও পাগল করে রাখতে পারে। নিজের আপন ভাই বোন আত্মীয়-স্বজন সবাই তাকে চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিলেও সে কখনোই তাদেরকে অবিশ্বাস করতে পারে না। তাকে অন্ধ বিশ্বাস করে। অথচ এই বিশ্বাসের ছিটা ফুটাও রাখে না তারা। নিজেকে সে সর্বে সর্বা ভাবে। মনে হয় টাকা দিয়ে সব কিছু হয়ে যাবে। পাশের মানুষ গুলোকে তার জীবনে কোন কাজে লাগবে না। পৃথিবীতে কত ধনী ব্যক্তিরা টাকা থাকা সত্ত্বেও মরেছে নির্মম ভাবে। নিজের সন্তান অসৎ পথে চলে তবুও তাকে বিশ্বাস করে। সে তার আত্মিয়দের কাছে জাহির করে আমার স্ত্রী আমার সন্তান সবাই হলো সত্যবাদী, আর তোমরা সবাই মিথ্যাবাদী। এই সমস্ত মানুষ গুলোর কথা শুনলে বড্ড হাসি পায়। তারা মানুষ তাদের জ্ঞান আছে বিবেক আছে অনুভূতি জায়গা আছে তারপরও তারা ভালো-মন্দ বুঝতে পারে না। আমরা হয়তোবা অনেকেই জানি যেকোনো কিছু দশ জনের মধ্যে যদি আট জন সাপোর্ট দেয় তাহলে বুঝতে হবে নিশ্চয়ই এটা সঠিক। অনেক সময় মিথ্যা হলেও সেটা সত্য বলেই প্রমাণিত হয়। কিন্তুু এখানে সবাই সত্য কথা বলে কিন্তু সে মনে করে এরাই মিথ্যা কথা বলছে।


মাঝেমধ্যে আমিও হতবাক হয়ে যাই এই ব্যক্তির আচরণ দেখে। নিজের কাছে এমন প্রশ্ন জাগে কি করেছে এই লোকটাকে। এত কিছু হয়ে যায় তারপরও তাদেরকে অন্ধ-বিশ্বাস করে। তবে জীবনে চলার পথে মানুষকে বিশ্বাস না করলেও হয় না। শেষে মর্যাদা রাখে কেউ রাখে না। তবে হ্যাঁ একটা কথা রয়েছে আপনি সহজ মনে যদি কাউকে বিশ্বাস করেন পক্ষান্তরে সে যদি আপনাকে ঠকায় বাস্তবতা ভাবে চিন্তা করলে দেখা যায় আপনি ঠকেন নাই ঠকছে তারা। মানুষ পাপ করতে করতে একটা সময় তার পাপের ভার পূর্ণ হয়ে যায়। তখন প্রতি পদক্ষেপে সে মানুষের কাছে হেও প্রতিপূর্ণ হয়। ওই পরিস্থিতিতে আর কোন কিছুই করার থাকে না। মানুষ মানুষকে অন্ধবিশ্বাসের পেছনে একটা কালো বাঘের থাবা থাকে। যে থাবায় ধ্বংস হয়ে যায় ওই পরিবারটা। হয়তো ওই সময় সে বুঝতে পারে না কিন্তু পক্ষান্তরে সে বোঝে তার জীবনে কি সর্বনাশা ডেকে এনেছে।


আমার দৃষ্টিকোণ থেকে সমাজে যারা এমন মানুষ রয়েছে, তাদের একটু সজাগ হওয়া উচিত। নিজের পরিবার নিজের পাশের মানুষ গুলো আপনাকে কতটা বিশ্বাস করে আর কে আপনার বিশ্বাসের মর্যাদা রাখে একটু ধারণা রাখা উচিত। এতে করে পরবর্তীতে আপনার জন্য মঙ্গল হবে। তবে হ্যাঁ এই ধরনের অন্ধবিশ্বাস করা মানুষের সংখ্যা বর্তমানে অনেক কমে গেছে। কারণ মানুষের প্রতি মানুষের আস্থা বিশ্বাস অনেকটা নেই বললেই চলে। তবে যারা এই বিশ্বাস অর্জন করেছে হয়তোবা কি ওই বিশ্বাসের মর্যাদা রাখে কেউ রাখে না। তবে নিজেদের সাবধানতার জন্য অন্য মানুষকে অন্ধ-বিশ্বাস করাটা আমাদের উচিত নয়।


ভূল ত্রুটি হলে অবশ্যই ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এই প্রত্যাশায় নিয়ে শেষ করছি। আল্লাহ হাফেজ।


আজ এই পর্যন্ত। সাথে থাকার জন্য অনেক ধন্যবাদ।

ডিভাইস poco M2
লোকেশন মেহেরপুর


👨‍🦰আমার নিজের পরিচয়👨‍🦰


আমি আবুল বাশার খায়রুল আলম তুহিন। আমার জন্ম ১১ এপ্রিল ১৯৯৫ সালে। আমার বাসা মেহেরপুর জেলা,গাংনী থানা, জুগীর গোফা গ্রাম। আমি বিবাহিত। বর্তমানে আমার একটা পুত্র সন্তান আছে। আমি গ্রাজুয়েশন শেষ করেছি রাজশাহী নিউ গভমেন্ট ডিগ্রী কলেজ থেকে। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ব্লগে কাজ করতে অনেক ভালোবাসি। এই ব্লগে কাজ করার মাধ্যমে আলাদা প্রশান্তি পায়। আমি ছবি আঁকতে,গান গাইতে,কবিতা লিখতে অনেক পছন্দ করি। এছাড়া আমি বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে খুব পছন্দ করি। আর আমি স্টিমেটে জয়েন করেছি (২৭ - ০৬ - ২০২২) সালে। সংক্ষিপ্ত আকারে আমার নিজের পরিচয় আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইলো।


(১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য )


VOTE @bangla.witness as witness



OR

SET @rme as your proxy

Posted using SteemPro Mobile