জেনারেল রাইটিং :- বিরামহীন জীবন।

জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত সারা জীবন মানুষকে পরিশ্রম বা যে কোন ভাবে মানুষকে ছোটাছুটি করতে হয়। এখন পর্যন্ত যে পৃথিবীতে আসে নাই আমার মনে হয় সে বেশ ভালো রয়েছে। আর যারা বর্তমান সময়ে পৃথিবীতে বসবাস করছে তারা জানে পৃথিবী নামক এই জায়গাটা কতটা কঠিন। যেখানে সস্তা দামে বিক্রি হয় অবিকৃত পণ্য। অর্থাৎ মানুষ অক্লান্ত পরিশ্রম করে জীবনটাকে করে তুলেছে বিরামহীন।পৃথিবীতে মানুষ ইচ্ছা করলে থেমে থাকতে পারছে না। জীবনের তাগিদের সময়ের প্রয়োজনের এবং জীবনের সংসার জীবন সবকিছুতেই যেন একটা মানুষ বিরামহীন জীবন যাপন করছে। জীবনের তাগিদে মানুষ চলছে চলছে তো চলছে চলছেই। যে চলার কোন শেষ নেই গতি নেই। জীবনের এই চলমান সময়টা কখন কিভাবে পাশ কাটিয়ে চলে যাচ্ছে আমরা কোন কিছুই ঠিক রাখতে পারছি না। হয়তোবা এভাবেই একদিন আমাদের জীবন শেষ হয়ে যাবে।

বিরামহীন জীবন বলতে আমরা কি বুঝি বিরামহীন জীবন বলতে আমরা বুঝে নিজের লক্ষ্য বা নিজের উদ্দেশ্য বা নিজের অর্থ উপার্জন করাটা। অর্থাৎ আপনি যদি কোন লক্ষ্যে পৌঁছাতে চান তাহলে আপনাকে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। আবার আপনি যদি টাকা-পয়সা অর্থ উপার্জন করতে চান তবু আপনাকে অর্থের বিশেষ করতে হবে। আবার আপনি যদি নিজের একটা সুষ্ঠু জায়গা তৈরি করতে চান তাহলে আপনার জায়গার পিছনে ছুটতে হবে। অর্থাৎ বিভিন্ন ক্যাটাগরি সরতে হলে বিভিন্ন জিনিসের পেছনে ছুটলে আপনাকে অবশ্যই পরিশ্রম করতে হবে। আর তা না হলে কখনো লক্ষ্যে পৌঁছানো সম্ভব না। তবে আমরা মানুষ জন্মগত থেকেই কিন্তু বিনামহীন জীবন যাপনের মধ্যেই রয়েছে। কেউ ইচ্ছা করলেই কিন্তু এ জীবনে মধ্য থেকে বের হয়ে আসতে পারে না। সংসার জীবন থেকে শুরু করে শেষ পর্যন্ত আপনাকে এভাবে চলতে হবে। জীবনে চলার পথে আপনি ইচ্ছা করলেই এই বিরহীন জীবন থেকে নিজেকে বের করে আনতে পারবেন না। বলা যেতে পারে এটা একটা ম্যাজিক এর মত আপনি কখনো চিন্তা করে দেখবেন কখনো আপন এখান থেকে বের হতে পারবেন না। বলেনা যে ব্ল্যাক ম্যাজিক করেছে মানুষের জীবনটা ঠিক তেমনি। ইচ্ছে করলে যেমন সামনের দিকে এগুনে যায় এগোনো যাই না আবার ইচ্ছা করে পেছনের দিকেও ফিরে যাওয়া যায় না ।

দিনের আলোতে কিংবা রাতের আঁধারে আপনি একটা দিন গভীরভাবে লক্ষ্য করে দেখবেন কখনো কোন মানুষ জেগে আছে। যখন আপনি এমন দেখবেন তখন ভাববেন বাঁদর কিংবা প্যাঁচার কথা। এই দুইটা জিনিস রাত্রে চলে বেড়ায়। মানুষও কিন্তু অর্থের জন্য নিরামহীন জীবন যাপন করে। এই বলে তারা তো পরশু না তারা মানুষ। তবে সবকিছু ছাপিয়ে আমাদের এই জীবনকে নিয়ন্ত্রণ করা উচিত। মানুষ যদি ইচ্ছা করে তাদের নিজেদের লোভ-লালসা একটু বর্জন করতে পারে। আর এগুলো যদি বর্জন করতে পারে তাহলে মানুষের জীবনটা একটু কমে যাবে। তবে ইচ্ছা করলেও কিন্তু সত্যি এটা হয় না। কারোর মানুষ কখন ছুটে যখন তার নিজের প্রয়োজন পড়ে। আর এই প্রয়োজনটা মানুষের এমন এক জায়গায় গিয়ে পৌঁছেছে যে ইচ্ছা করলে তারা সেটাকে নিজের জীবন থেকে দূরে সরে দিতে পারে না। তাই আমার মতে বিরামহীন জীবন মানুষ কখনোই ছাড়তে পারবে না।

জীবনে প্রথম থেকে শুরু করে শেষ পর্যন্ত এভাবে মানুষকে ছুটতে হবে। তবে এই ছোটা শেষ হলেও মৃত্যু। এখনো সমাজের বুকে অনেক মানুষ হয়েছে যারা মৃত্যুকে উপেক্ষা করে নিজের জীবনটিকে ছুটে চলেছে। আবার কিছু মানুষ হয়েছে জীবনে চলতে চলতে একটা সময় থেমে যায়। যাইহোক সবকিছু মানুষের জীবনের মধ্যে আবদ্ধ। মানুষের জীবন একদিন থেমে যাবে সবকিছুই রয়ে যাবে পড়ে থাকবে শুধু মানুষের কর্মের কিছু গুণাবলী।

আমি আবুল বাশার খায়রুল আলম তুহিন। আমার জন্ম ১১ এপ্রিল ১৯৯৫ সালে। আমার বাসা মেহেরপুর জেলা,গাংনী থানা, জুগীর গোফা গ্রাম। আমি বিবাহিত। বর্তমানে আমার একটা পুত্র সন্তান আছে। আমি গ্রাজুয়েশন শেষ করেছি রাজশাহী নিউ গভমেন্ট ডিগ্রী কলেজ থেকে। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ব্লগে কাজ করতে অনেক ভালোবাসি। এই ব্লগে কাজ করার মাধ্যমে আলাদা প্রশান্তি পায়। আমি ছবি আঁকতে,গান গাইতে,কবিতা লিখতে অনেক পছন্দ করি। এছাড়া আমি বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে খুব পছন্দ করি। আর আমি স্টিমেটে জয়েন করেছি (২৭ - ০৬ - ২০২২) সালে। সংক্ষিপ্ত আকারে আমার নিজের পরিচয় আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইলো।