১৬ জমাদিউল সানি ১৪৪৫ হিজরি। ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ।
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়াবারকাতুহু
বাংলা ভাষায় ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি "আমার বাংলা ব্লগ"এর ফাউন্ডার "এডমিন ও মডারেটর প্যানেল সহ সকল সদস্যদের জানাই অন্তরের অন্তরস্থল থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন। সবাই কেমন আছেন ? আশা করি আল্লাহর অশেষ রহমতে সবাই ভাল আছেন।আলহামদুলিল্লাহ্ আল্লাহ্র অশেষ রহমতে আমিও ভাল আছি।
ফুল হল সৌন্দর্যের প্রতীক আর এই ফুলকে সবাই ভালোবাসে। আমাদের দেশে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ধরনের ফুল দেখা যায়। তবে শীতকালীন সময়ে বেশ ভিন্ন ভিন্ন ধরনের ফুল দেখা যায় আর এই ফুলের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় ফুল হলো গাঁদা ফুল। গাঁদা ফুলের সৌন্দর্য অন্যরকম আর গাঁদা ফুলের বিভিন্ন ধরনের রং রয়েছে এর মধ্যে অন্যতম হলুদ। এই ফুলগুলো শীতের সময় প্রাইমারিতে দেখা যায়। আর গাঁদা ফুলের চাষটাও কিন্তু বেশি হয়ে থাকে শীত শীতের কালে। গাঁদা ফুল গাছের একটা বৈশিষ্ট্য রয়েছে সেটা হল প্রচুর পরিমাণে ফুল ধরে। বর্তমান সময়ে শীতে যখন গাঁদা ফুল ফোটে তখন গাঁদা ফুলের কিন্তু মালা তৈরি হয় আর এগুলো বিয়ে বাড়িতে প্রচুর পরিমাণে চলে। আর গাঁদা ফুলের নিজস্ব একটা সৌন্দর্য এবং সুগন্ধ রয়েছে যেটা সবাইকে বিমোহিত করে।
কিছুদিন আগে লালন সাহেব ব্রিজে গিয়েছিলাম যাবার পথে নিজ থেকে একটা ফটোগ্রাফি করেছিলাম। যখন ফটোগ্রাফি করেছিলাম তখন খেয়াল করি নাই কিন্তু ফটোগ্রাফি করার পরে দেখতে পেলাম অনেকগুলো শালিক পাখি। এটা দেখার পরে নিজের কাছে ভীষণ ভালো লাগছিল। তবে যখন নিচ থেকে উপরের দিকে ব্রিজে উঠছিলাম তখন এই ফটোগ্রাফারটা করেছিলাম আসলে যখন লালন শাহ ব্রিজ নিজ থেকে উপরের দিকে যায় তখন খুবই ভালো লাগে। ব্রিজের সৌন্দর্য সবাইকে মুগ্ধ করে। আমার মনে হয় যারা লালন শাহ ব্রিজ দেখেছেন তারা সবাই এই সৌন্দর্য উপভোগ করেছেন।
প্রত্যেকটা অঞ্চলে কোন না কোন খাবার খুব জনপ্রিয় হয়ে থাকে। জনপ্রিয় সাথে সাথে তার কিন্তু একটা কদর থাকে। ঠিক তেমনি একটা খাবার এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল পিয়াজও। আমাদের মেহেরপুর জেলায় বামুন্দি বাজার থেকে কয়েক কিলো সামনে একটা বাজার আছে । সেই বাজারে পেঁয়াজু খেয়ে আমার মনে হয় না এমন কোন লোক নেই যে পরবর্তীতে আবার না যে পারবে। বর্তমান সময়ে দেখবেন পেয়াজও শুধু নামেই পেঁয়াজ তৈরি করা হয় আলু অথবা পেঁপে দিয়ে। দামটাও নাই নাগালের বাইরে কিন্তু এরা পেঁয়াজু তো পেঁয়াজ দিয়েই তৈরি করা হয়ে থাকে এবং খেতে এতটাই সুস্বাদু যারা খেয়েছে তারা জানে এর জনপ্রিয়তা এবং সম্পর্কে। আপনাদের যদি কখনো ইচ্ছা হয় তাহলে আপনার এখানে এসে এই পেঁয়াজু খেতে পারেন।
এই গাছটি সম্পর্কে আপনাদের বর্ণনা করবো এই গাছটি হল মসলার বাকলা গাছ। অর্থাৎ আমরা যে মসলা খেয়ে থাকে রান্না করে অর্থাৎ মাংস বা অন্যান্য তৈরি তরকারিতে যে মসলার বাকলা দেয় সেই গাছ। গাছটির দেখতে যেমন সুন্দর তেমন বেশি গন্ধময়। প্রথম যখন মসলা বা বাহফল আমরা দেখেছি তখন ভাবতাম এটা কিভাবে তৈরি করা হয় কিন্তু যখন নিজেদের বাড়িতে এই গাছ রয়েছে অর্থাৎ আমার নিজের বোনের বাড়িতে তখন বুঝতে পারো আসলে কিভাবে তৈরি করা হয় আসলে এই গাছের বাকল দিয়েই তৈরি হয় এই বাকলা । যদিও আমরা যেটা ক্রয় করে থাকি সেগুলো কিন্তু আসল বাকলা নয় কারণ এগুলোকে জ্বালিয়ে তার রস বের করে নেয়া হয়।
লালন সাব ব্রিজ পার হওয়ার সময় একটা দৃশ্য দে চোখে পরলো আর সেটা হলো ভাটা। এই ভাটা হলো ইটের ভাটা নয়, এই ভাটা হলো জোয়ার ভাটার খেলা। এই তো কিছুদিন আগেই সারা বাংলাদেশ পানিতে ভেসে গিয়েছিল। নদীগুলো ছিল উত্তাল যেখানে মনে হয়েছিল ভয়ঙ্কর রূপ। সময়ের ব্যবধানে অনেক কিছু যে পরিবর্তন ঘটে তা তার প্রমাণ। কিছুদিন আগে যেখানে পানিটা ছিল ভরপুর সেখানে আজকে শুধু বালির চর জমে রয়েছে। হয়তোবা আবারও কোন একদিন এই চর ভরে যাবে পানিতে। পৃথিবীর এই নিয়ামত আর এই নিয়া খেলা বোঝা অনেক দায়।
এর আগেই আমি আপনাদের সামনে মসলার গাছের সম্পর্কে কিছু আলোচনা করেছি আর এটা হল এই মসলা গাছের পাতা। এই ফটোগ্রাফি টা করার উদ্দেশ্য হলো একটাই আপনারা হয়তোবা অনেকেই দেখেছেন বা না দেখতে পারেন কিন্তু আমি দেখে অবাক হয়েছি, গাছের পাতার রং ডাব অনেকটা ফুলের মত দেখতে এতটাই চমৎকার আমি প্রথম থেকে অবাক হয়েছিলাম যে এমন হয়। আসলে সৃষ্টির প্রত্যেকটা সৌন্দর্যের ভিন্ন ভিন্ন রকম সুন্দর রয়েছে যেটা প্রত্যেকটা মানুষকে আকর্ষণ করে এবং আকৃষ্ট করে। আমার মনে হয় এই গাছের পাতাটা আপনাদের কাছে বেশ ভালো লেগেছে। তবে ভালোলাগারই কথা কারণ সৌন্দর্য সব সময় সুন্দর।
সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এই প্রত্যাশায় নিয়ে শেষ আজকের মতো শেষ করছি।
আমি আবুল বাশার খায়রুল আলম তুহিন। আমার জন্ম ১১ এপ্রিল ১৯৯৫ সালে। আমার বাসা মেহেরপুর জেলা,গাংনী থানা, জুগীর গোফা গ্রাম। আমি বিবাহিত। বর্তমানে আমার দুইটা পুত্র সন্তান আছে। আমি গ্রাজুয়েশন শেষ করেছি রাজশাহী নিউ গভমেন্ট ডিগ্রী কলেজ থেকে। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ব্লগে কাজ করতে অনেক ভালোবাসি। এই ব্লগে কাজ করার মাধ্যমে আলাদা প্রশান্তি পায়। আমি ছবি আঁকতে,গান গাইতে,কবিতা লিখতে অনেক পছন্দ করি। এছাড়া আমি বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে খুব পছন্দ করি। আর আমি স্টিমেটে জয়েন করেছি (২৭ - ০৬ - ২০২২) সালে। সংক্ষিপ্ত আকারে আমার নিজের পরিচয় আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইলো।