ক্রিয়েটিভ রাইটিং :-পরিশ্রম করো পিঁপড়ার মত।

tuhin002 -
আমি @tuhin002, আমি আমার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যগনকে আমার পক্ষ থেকে জানায় সালাম," আসসালামু আলাইকুম" সবাই কেমন আছেন ? আশা করি, মহান আল্লাহর অশেষ রহমতে অনেক ভালো আছেন। আমি ও আপনাদের দোয়ায় এবং মহান আল্লাহুর অশেষ রহমতে ভাল আছি। আজকে আমার আলোচনার বিষয়টি হলো পরিশ্রম করো পিঁপড়ার মত। আশা করি আজকের বিষয়বস্তু নিয়ে আলোচনাটি আপনাদের ভালো লাগবে। তাই শুরু করছি আমার আজকের ব্লগ...


Source


পরিশ্রম সৌভাগ্যের প্রস্তুতি। যুগে যুগে পৃথিবীতে পরিশ্রম ছাড়া কেউ উন্নতি সাধন করতে পারে নাই। তবে সেই পরিশ্রম করতে গিয়ে অনেকে গাধার মতো খাটুনি খাটে। বেশি পরিশ্রমের জন্য আবার ক্ষতি হয় সে বিষয়টা তারা ভুলে যায়। আবার একশ্রেণীর মানুষ রয়েছে যারা অলসতার জীবন যাপন করে। আবার আরেক শ্রেণী মানুষ হয়েছে যারা একবেলা কাজ করে ধুমধাম করে আর এক বেলা বসে থাকে। নিশ্চয়ই আপনারা পিঁপড়ের ও ঘাসফড়িং এর একটা গল্প পড়েছেন। আসলে পিঁপড়ে গরমের সময় কঠোর পরিশ্রম করে কারণ শীতের সময় তারা বাইরে বের হতে পারে না। আর এজন্যই শীতের খাবারগুলো তারা গরমের মধ্যেই তারা জোগাড় করে রাখে।আমরা মানুষ রয়েছে যারা আমাদেরও এমন হওয়াটাই উচিত। শরীরে বল এবং জোর ক্ষমতা থাকলে আমাদের উচিত কিছু সম্পদ গুচ্ছিত করা। যে সম্পদ আমাদের দুর্বল সময়ে কাজে দিবে। আর এইটা যদি আমরা না করি তাহলে ভবিষ্যতে আমাদেরকে ভুগতে হবে। আমাদের সমাজে অনেক মানুষ রয়েছে যাদের অনেক সম্পত্তি আছে কিন্তু একটা সময় তারা না খেয়ে জীবন যাপন করে। সময়ের কাজ তারা সময় করে অর্থাৎ তারা সম্পদ গুলোকে কাজে লাগায় না যার জন্য তারা তাদের সম্পদ গুলোকে দিন দিন হারাতে বসে। আর একটা সময় সেই সম্পদ গুলোর হারিয়ে তারা নিঃস্ব হয়ে যায়। কিন্তু ওই ব্যক্তি যদি তার সম্পদ গুলোকে যদি অল্প অল্প করেও কাজে লাগাত তাহলে তার কখনোই এই দূর অবস্থা হতো না। আর এজন্যই বলি পরিশ্রম করো কর্ম করো পিঁপড়ার মত করে।যারা একটু একটু কাজ করে কিন্তু তাদের খাদ্য ভান্ডার থাকে অঢল।


বর্তমান সময়ে আপনারা সবাই জানেন পণ্যদ্রব্যর বাজার খুবই ঊর্ধ্বমুখী। আরে উর্ধ্বমুখীর কারণে মানুষের জীবনযাত্রার যথেষ্ট ব্যাঘাত ঘটছে অর্থাৎ খাবার থেকে শুরু করে সর্বস্তরের মানুষ বিপর্যয় পড়েছে। কিন্তু এই সমস্যা সমাধান করার জন্য কেউ কিন্তু এগিয়ে আসে না। আমরা যদি আমাদের নিজের খাবারগুলোকে উৎপাদন করি আমরা যদি অলসতা ভাবে না কাটিয়ে দিয়ে সময় এই সময়গুলোকে যদি কাজে লাগায় তাহলে আমাদেরকে এই দিনের অবস্থা কখনোই সম্মুখীন হতে হয় না । একটা বিষয় আপনারা নিশ্চয়ই বুঝতে পারবেন প্রত্যেকটা মানুষের বাড়ির আঙিনায় কিছু না কিছু জায়গা পড়ে থাকে। আর সেই জায়গাগুলোতে যদি অল্প অল্প করে কিছু পরিমাণ সবজি বা অন্য কোন জিনিস যদি আমরা উৎপাদন করি তাহলে আমরা সেখান থেকে আমাদের যেমন দৈনন্দিন খাবার পাব একদিকে অন্যদিকে আমরা সেগুলো বাজারে বিক্রয় করে কিছু অর্থ পাব। কিন্তু আমরা তা না করে আমরা সেগুলোকে অবহেলায় ফেলে রাখি। এখান থেকে পিঁপড়ের কাছে আমাদের শিক্ষা নেয়া দরকার রয়েছে। পিঁপড়ে কিন্তু কাজের সময় তারা ঠিক কঠোর পরিশ্রম করে যাতে করে তাদের দুঃসময়ে এগুলো কাজে দেয়। আজকে দেখেন যদি আমরা প্রত্যেকটা বাড়িতে নিজের যতটুকু ও জায়গা জমে আছে সেগুলোকে যদি কাজে লাগাতে পারতাম তাহলে আজকে আমাদের এই দূর অবস্থায় পড়তে হতো না।


মানুষ সম্ভবত বেশ একটু আরাম প্রিয়। শুধু মানুষ কেন সৃষ্টির প্রত্যেকটা জিনিসই আরাম চাই। এখন আরাম আয়েশ করার জন্য যদি আপনি বসে থাকেন আর বসে থেকে যদি আপনি ভালো কিছু খাওয়া বা পাওয়ার চিন্তা করেন তাহলে সেটা কখনোই সম্ভব না। আর এজন্য আপনাকে কঠোর পরিশ্রম করতে বা পরিশ্রমের মধ্য দিয়ে আপনার সম্পদ অর্জন করতে হবে এবং সেই সম্পদ গুলোকে আপনার ভোগে পরিণত করতে হবে। এই যে বললাম পিঁপড়ে দেখবেন গরমের সময় প্রচুর পরিমাণে ওরা খাদ্যশস্য ভান্ডারে জমা করে। আপনাদের ঘাসফড়িং এর কথা বলেছিলাম ঘাস করেন সারাদিন শুধু ঘুমিয়ে থাকে আর অলসতার দিন পার করে। নিজের ভান্ডারে যতটুকু আছে সেটুকু খায় আর ঘুমায় এটা দেখে পিঁপড়া একদিন তাকে বলেছিল ভাই আপনি কাজ করেন না ভবিষ্যতে আপনি অর্থ উপার্জন না করলে পরবর্তীতে আপনি না খেয়ে মরবেন। তখন ঘাসফড়িং বলে তোমার কাজ তুমি করো আমাকে মোটে উপদেশ দিতে এসো না। এই কথা বলার পরে পিঁপড়ে সেখান থেকে চলে যায় এরপরে কয়েক মাস পার হতে না হতেই তার ভান্ডারে সব খাদ্যশস্য শেষ হয়ে যায়। খাওয়া না পেয়ে সে দিন দিন রোগা হয়ে যায়। কিন্তু এদিকে পিঁপড়ে তার সময়কালে পরিশ্রম করেছে এখন তার বসে থেকে খেলেও তার ভান্ডারের খাবার ফুরিয়ে যায় না। ঠিক আমরা মানবজাতি মানুষ যদি আমরা আমাদের নিজেদের যতটুকু প্রয়োজন সেই পরিমাণটাও যদি আমরা উৎপাদন করতাম তাহলে আমরা বর্তমানে পরিস্থিতির সম্মুখীন হতাম না।


তাই আমরা মানুষ আমাদের নিজেদের প্রয়োজনে যতোটুকু দরকার ঠিক ততটুকু উৎপাদন করা উচিত। প্রত্যেকটা মানুষ যদি তার নিজের প্রয়োজনীয় এতটুকুও যদি তারা উৎপাদন করে থাকে তাহলে দেখবেন বাজার নিয়ন্ত্রণে আসবে। যখন সবকিছুই বেশি বেশি পাওয়া যাবে তখন সেই সব জিনিসগুলো দামও কমে যাবে। তাই আমার দৃষ্টিকোণ থেকে মহিষের মত অযথা বেশি না খেতে অন্ততপক্ষে পিঁপড়ের মতো অল্প অল্প খাটুন এর মধ্য দিয়ে নিজেদের প্রয়োজনীয় যতটুকু ততটুকু ফসল বা সম্পদ যদি আমরা তৈরি করি বা সংরক্ষণ করি তাহলে আমরা ঠিক গরমের সময় যেমন পিঁপড়ে কাজ করে শীতের সময় বসিয়ে বসে বসে খাই আমরাও ঠিক তেমনি ভাবে পরবর্তীতে বসে খেতে পারবো।


আজ এই পর্যন্ত। সাথে থাকার জন্য অনেক ধন্যবাদ।

ডিভাইস poco M2
লোকেশন মেহেরপুর


👨‍🦰আমার নিজের পরিচয়👨‍🦰


আমি আবুল বাশার খায়রুল আলম তুহিন। আমার জন্ম ১১ এপ্রিল ১৯৯৫ সালে। আমার বাসা মেহেরপুর জেলা,গাংনী থানা, জুগীর গোফা গ্রাম। আমি বিবাহিত। বর্তমানে আমার একটা পুত্র সন্তান আছে। আমি গ্রাজুয়েশন শেষ করেছি রাজশাহী নিউ গভমেন্ট ডিগ্রী কলেজ থেকে। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ব্লগে কাজ করতে অনেক ভালোবাসি। এই ব্লগে কাজ করার মাধ্যমে আলাদা প্রশান্তি পায়। আমি ছবি আঁকতে,গান গাইতে,কবিতা লিখতে অনেক পছন্দ করি। এছাড়া আমি বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে খুব পছন্দ করি। আর আমি স্টিমেটে জয়েন করেছি (২৭ - ০৬ - ২০২২) সালে। সংক্ষিপ্ত আকারে আমার নিজের পরিচয় আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইলো।


(১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য )


VOTE @bangla.witness as witness



OR

SET @rme as your proxy