নাটক রিভিউ :- ভবঘুরে পর্ব -২১।

আসলামু আলাইকুম,আমার স্টিম বন্ধুগন। আশা করি আল্লাহুর রহমতে আপনারা সবাই অনেক ভালো আছেন। আপনাদের দোয়ায় আমিও ভালো আছি। আমি @tuhin002। আজকে আমি নতুন করে খুব সুন্দর একটি নাটক রিভিউ করার ইচ্ছা পোষণ করেছি। আর তাই আজকে আমি যে নাটকটি শেয়ার করতে যাচ্ছি, সেই নাটকের নাম "ভবঘুরে" , পর্ব- ২১"। আমি বরাবরই পুরনো নাটক গুলো দেখতে ভীষণ ভালোবাসি। এই নাটক গুলোর মধ্যে শিক্ষনীয় বিষয় গুলো বেশি থাকে। এই নাটকটির প্রথম পর্ব নিচে স্ক্রিনশটের মাধ্যমে ধাপে ধাপে তুলে ধরা হলো ....

অনেকদিন যাবত শাহনাজ খুশি স্বামী বাইরে থাকত অবশ্য কাজের জন্যই তাকে বাইরে থাকতে হতো এখন তার কাজ হয়ে গেছে এখন সে বাড়িতেই থাকবে। আর এই বিষয়টি তাকে চাঙ্গা দিয়ে রেখেছে অর্থাৎ সে তার স্বামী বাড়িতে থাকবে সে একটা শক্তি পাচ্ছে। তাই রাত্রে তার স্বামীকে বলছে যে আমি বাড়িতে এখন একা থাকি যখন একা থাকি তখন আমাকে অনেকে অনেক কথা বলে এখন আর কেউ কিছু বলতে পারবে না। তোমার ভাসতে একজন চোর আমি চোরের বাড়িতে থাকবোনা আমি এখান থেকে চলে যাব। এই নিয়ে তাদের মধ্যে বেশ কিছু কথাবার্তা হয় । শেষের দিকে তার স্বামী বলে অনেক রাত হয়ে গেছে এখন ঘুমিয়ে পড়ো সকালে কথা হবে

চা বাগানের মালিক জানে না যে তার প্রেমিকা তার বিষয় সম্পর্কে সবকিছুই অবগত এবং সে অনেক কিছুই জানে। বাহিরে তার প্রেমিকা দাঁড়িয়েছিল সে সেখানে এসে বলে তুমি আমার সাথে বিয়ে করছো না কেন আমি এতদিন তোমার জন্য অপেক্ষা করছি। এইতো বাবা-মা একজন মেয়েকে দেখেছে তার সাথে বিয়ের কথা বলছে তখন সে বলছে তোমাকে হয়তো বা একটা কথা বলা হয়নি আমি আশা করি তুমি সেখানে বিয়ে করবে তা না হলে তুমি কখনোই বিয়ে করতে পারবা না। আমার ছোট বোন অসুস্থ আমার একটা ভাই আছে তাদেরকে একটা গতি না করে আমি বিয়ে করতে পারবোনা তাই বলে সে সেখান থেকে চলে যায়।

এদিকে তিন বন্ধুর এক বন্ধু গোলটি দিয়ে পাখি মারার জন্য নিরীক্ষ করছিল ঠিক এমন সময় আরেফিন এসে তাকে ধাক্কা দেয় তখন সে বলে তোর জন্য আমি পাখিটা মারতে পারলাম না নাহলে ঠিকই মেরে দিতাম। তখন আরেফিন বলছে ঠিক আছে তোর পাখি মারতে হবে না মরগ মারতে হবে। তখন সে তাকে বলছে মোরগ মারতে হবে মানে আচ্ছা ঠিক আছে যদি মোরগ মারতে হয় তাহলে আমাদের বাড়িতে এসো আমাদের বাড়িতে অনেক মোরগ আছে। তখন আরেফিন তাকে মাথায় একটা থাবা মার মেরে বলে তোর বাড়ির মোরগ মারতে হবে না আমার সাথে যায় অনেক কাজ আছে তাই বলে তাকে নিয়ে সেখান থেকে চলে যাই।

এখানে রাস্তার মাঝখানে দাঁড়িয়ে ছিল আখম হাসান তার বান্ধবীর পত আটকে। তাকে বলছিল তুই আমার সাথে এমন করছিস কেন তখন তার বান্ধবী বলছিল যে তুমি আমার ঘড়া বেকিয়ে দিয়েছো। তুমি ছাড়া এমন কাজ অন্য কেউ করতে পারে না। এদিকে আখম হাসান সেই সম্পর্কে কিছুই জানেনা। কিন্তু তার বান্ধবী একতরফা তাকে দোষারোপ করে যাচ্ছিল তার দোষারোপ করা দেখে তখন সে বলছে আচ্ছা ঠিক আছে তোমার যেটা ভালো মনে হয় তুমি সেটা করো এই বলে সে সেখান থেকে চলে যায়। কিন্তু পরবর্তীতে সে জানতে পারে এই কাজটি করেছে তার বন্ধুরা অর্থাৎ তাকে মারতে গিয়ে সেই ঢেলা দিয়ে লাগে তার ঘোরাতে আর ঘড়া বেঁকে যায় । তখন তার বন্ধুরা বলে আচ্ছা ঠিক আছে তার কাছে গিয়ে আমরা সব ক্ষমা চেয়ে আসবো তখন আখম হাসান বলে ক্ষমা চেয়ে আর কি হবে সে আর বিশ্বাস করবে না।

এদিকে চা বাগানের মালিক এবং ম্যানেজার শান্ত কে এখান থেকে তাড়িয়ে দেয়ার জন্য সব রকম ব্যবস্থা করে ফেলেছে। চা বাগানে মালিক ম্যানেজারকে বলছে তোমাকে কিন্তু আমি পথ দিতে চেয়েছিলাম কিন্তু হয়তোবা তোমার বদনোধিতা হবে না কারণ তুমি কাজের মত কাজ করতে পারছ না। তখন ম্যানেজার আমতা আমতা করে বলে স্যার এবার আমি ঠিকই সবকিছু করে ফেলব আপনি যদি বলেন তাহলে তাকে একবারে দুনিয়া থেকে বিদায় করে দেব । তখন সে বলে কিভাবে সম্ভব তখন সে বলে আমি সব কিছু করব আপনা কোন কিছুই করতে হবে না। এরপর করে নাটকের অংশটি শেষ হয়ে যায় পরবর্তী নিয়ে আবারো আপনাদের মাঝে হাজির হব।

আমি আবুল বাশার খায়রুল আলম তুহিন। আমার জন্ম ১১ এপ্রিল ১৯৯৫ সালে। আমার বাসা মেহেরপুর জেলা,গাংনী থানা, জুগীর গোফা গ্রাম। আমি বিবাহিত। বর্তমানে আমার একটা পুত্র সন্তান আছে। আমি গ্রাজুয়েশন শেষ করেছি রাজশাহী নিউ গভমেন্ট ডিগ্রী কলেজ থেকে। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ব্লগে কাজ করতে অনেক ভালোবাসি। এই ব্লগে কাজ করার মাধ্যমে আলাদা প্রশান্তি পায়। আমি ছবি আঁকতে,গান গাইতে,কবিতা লিখতে অনেক পছন্দ করি। এছাড়া আমি বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে খুব পছন্দ করি। আর আমি স্টিমেটে জয়েন করেছি (২৭ - ০৬ - ২০২২) সালে। সংক্ষিপ্ত আকারে আমার নিজের পরিচয় আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইলো।