স্পোর্টস রিভিউ :- সিডনি থান্ডার এবং সিডনি সিক্সের টি-টোয়েন্টি ম্যাচ।
5 comments
আমি @tuhin002, আমি আমার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যগনকে আমার পক্ষ থেকে জানায় সালাম," আসসালামু আলাইকুম" সবাই কেমন আছেন ? আশা করি, মহান আল্লাহর অশেষ রহমতে অনেক ভালো আছেন। আমি ও আপনাদের দোয়ায় এবং মহান আল্লাহুর অশেষ রহমতে ভাল আছি। আজকে আমি খেলাধুলা বিষয় সম্পর্কে আপনাদের সামনে একটি পোস্ট শেয়ার করতে যাচ্ছি।
খেলার রিভিউ।
খেলার শুরুতেই ব্যাটিং করেন সিডনি থান্ডার। আর এই খেলা শুরুতে প্রথম বলে আউট হয়ে যান একজন প্লেয়ার। স্পিন বল করেছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের বাঁ হাতি স্প্যানার আখিল হোসেন। আমি লক্ষ্য করে দেখি এই বোলিংটা বেশ ভালো বল করে এবং লাইনলাইন বেশ চমৎকার।যাইহোক সিডনি থান্ডারের প্রথম পাওয়ারপেল এর মধ্যে ২ উইকেট হারিয়ে ফেলে। তবে একটা বিষয় পুরাতন চাল যে ভাতে বাড়ে সেটা আবারও ডেভিড ওয়ার্নার প্রমাণ করে দিল। যদিও খুব বেশি রান করেনি কিন্তু তার খেলাগুলো ছিল অসাধারণ। পাওয়ার প্লে অফে যেভাবে খেলতে হয় ঠিক সেভাবেই খেলছিলেন তিনি। তবে কয়েকটা ওভার টিকে গেলে মনে হয় আরো বেশি কিছু করতে পারতো।
খেলার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল বেন ক্রাফট। তার সবগুলো ছিল অতি মানবীয়। যদিও খেলাটিতে চার পাঁচ উইকেট পড়ে যাওয়ার পরে তেমন একটা আগ্রাসী মনোভাব ছিল না। কিন্তু বেন ক্রাফট একদিকে বেশ উক্ত ভাবে ধরেছিল। তার সাথে সঙ্গ দিয়েছিলেন আরেকজন প্লেয়ার তার একটা ওভারে তিনটা ছক্কা মেরেছিলেন তিনি। আসলে ক্রিকেট খেলা কোন একটা ওভারে একটু বেশি রান হয়ে গেলেই যেন এগিয়ে যায় রান। বেন ক্রাফট যখন ফিফটি করেন তখন বেশ স্লো ছিল কারণ ৪১ বলে তিনি ফিফটি করেন। কিন্তু শেষের দিকে তিনি এতটাই আগ্রাসী ছিলেন যে প্রত্যেক বলে তিনটা রানেরও বেশি করা হয়েছে এমন একটা স্কোর তৈরি করেছিলেন।
শেষ পর্যন্ত সিডনি থান্ডার ১৬৩ রান করেন। শেষের দিকে স্যাম ব্যালেন্স বেশ ভালো ব্যাট চালান এবং তার ব্যাটে বেশ ভালো একটু ছোট্ট করে রান আসে আর এই রানের জন্যই তাদের রান সংখ্যা এই পর্যন্ত দাঁড়ায়। আসলে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে এ রানু কিন্তু অনেক। যারা খেলা সম্বন্ধে জানেন এবং খোঁজ খবর রাখেন তারা নিশ্চয়ই জানেন যে অস্ট্রেলিয়ার পিচ হলো বাউন্স পিস। আর বাউন্সিসের খেলাটা কিন্তু অনেক কঠিন। আর এই কারণেই কিন্তু এশিয়া মহাদেশের প্লেয়ার গুলো অস্ট্রেলিয়া গিয়ে খুব একটা ভালো কিছু করতে পারে না।
সিডনি সিক্সেস এর প্রথম যে শুরুটা সেটা কিন্তু তাদের ভালো ছিল না। তারা যখন ব্যাট করতে নাবে তখনও তারা খুব কম সময়ের মধ্যে তার উইকেট হারিয়ে ফেলে। তবে উইকেট গুলো হারানোর পেছনে একটা ছিল রান আউট আর রানআউট ছিল বেশ দেখার মত। অনেক দূর থেকে যখন বলটা থ্রো করে তখন ডাইরেক্ট স্টাবে লাগে। আর আপনারা নিশ্চয় জানেন ডাইরেক্ট তো যদি স্ট্যাম্যামে লাগে তাহলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আউট হওয়ার সম্ভাবনা টাই বেশি থাকে। আর সেই ঘটনাটাই ঘটে গেল আর এর ফলে তারা বেশ একটু ব্যাগ ফুটে পড়ে গিয়েছিল।
খেলাটি প্রায় শেষের দিকে ১৬ ওভার ৩ বল শেষ। রান সংখ্যা মাত্র ১২৫, হয়তো বলা যেতেই পারে এই ম্যাচটা প্রায়ই তাদের হারের দিকে ছুটে চলেছে। তারপরও বলতে হবে ক্রিকেট খেলা একটা ওভারে যদি রান হয়ে যায় তাহলে কিন্তু হয়ে যায় । তবে উইকেটর একটা ব্যাপার থাকে যেহেতু তাদের প্রায় পাঁচ উইকেট হারিয়ে ফেলেছে। ম্যাচটা অবশ্য ফিফটি-ফিফটি ছিল তারপরও শেষ পর্যন্ত দেখার বিষয়। খেলাটি কিন্তু বেশ দারুন ভাবে উপভোগ করেছিলাম ঠিক এই সময়। ক্রিকেট খেলার মজা হল টানটান উত্তেজনা আর সেই টানটান উত্তেজনাই কিন্তু চলছিল এখানে।
আসলে শেষের দিকে যখন তাদের উইকেট পড়তে লাগলো তখন মনে হল সিডনি থান্ডার জিতে যাবে। কিন্তু শেষের দিকে ব্যাটিং এসে আর্ট বলে বিশটা রান করে ম্যাচটাকে জেতাবে এটা সত্যি আমার কাছে অবাক লেগেছে। যারা রানিং ব্যাটিং তারা যদি এমন একটা ইনিংস খেলতো তাহলে মানা যেত কিন্তু তার মত একটা বেটি এভাবে দলকে জিতিয়ে নিয়ে যাবে এটা দলের অনেকেই কিন্তু অপ্রত্যাশিত ছিল। যাইহোক খেলা এটাই হচ্ছে ক্রিকেট খেলা শেষ বল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়। খেলাটি আমি দারুণভাবে উপভোগ করেছিলাম এবং খেলাটি দেখতে আমার ভীষণ ভালো লেগেছিল।
পোস্ট বিবরণ
শ্রেণী | স্পোর্টস |
---|---|
ডিভাইস | poco M2 |
স্ক্রিনশট সোর্স | FOX cricket |
লোকেশন | মেহেরপুর |
সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এই প্রত্যাশায় নিয়ে শেষ করছি। আল্লাহ হাফেজ। |
---|
👨🦰আমার নিজের পরিচয়👨🦰
আমি আবুল বাশার খায়রুল আলম তুহিন। আমার জন্ম ১১ এপ্রিল ১৯৯৫ সালে। আমার বাসা মেহেরপুর জেলা,গাংনী থানা, জুগীর গোফা গ্রাম। আমি বিবাহিত। বর্তমানে আমার দুইটা পুত্র সন্তান আছে। আমি গ্রাজুয়েশন শেষ করেছি রাজশাহী নিউ গভমেন্ট ডিগ্রী কলেজ থেকে। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ব্লগে কাজ করতে অনেক ভালোবাসি। এই ব্লগে কাজ করার মাধ্যমে আলাদা প্রশান্তি পায়। আমি ছবি আঁকতে,গান গাইতে,কবিতা লিখতে অনেক পছন্দ করি। এছাড়া আমি বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে খুব পছন্দ করি। আর আমি স্টিমেটে জয়েন করেছি (২৭ - ০৬ - ২০২২) সালে। সংক্ষিপ্ত আকারে আমার নিজের পরিচয় আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইলো।
(১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য )
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Comments