প্রিয় আমার বাংলা ব্লগবাসী, সবাইকে আমার নমষ্কার /আদাব। কেমন আছেন আপনারা সবাই? আশা করছি আপনারা সকলেই ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আমিও মহান সৃষ্টিকর্তার অশেষ কৃপায় পরিবারসহ সুস্থ আছি, ভালো আছি।আজ আপনাদের সাথে নতুন একটি পোষ্ট শেয়ার করতে চলে এসেছি। আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করবো আমার আজকের এশিয়া আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা ভ্রমণের কিছু মুহূর্ত। তো চলুন, আর বেশি কথা না বাড়িয়ে চলে যাই আজকের পোষ্ট টি তে.... ৷
আজকে সকাল থেকেই বেশ ব্যস্ত সময় পার করেছি। আমার হাজবেন্ড এর আজকে সাপ্তাহিক ছুটির দিন। তার উপর বাসায় আজ আবারো আমার ননদেরা এসেছে। ওরা দুই বোন। ছোটজন আমাদের বাসায় আপাতত কিছুদিনের জন্য থাকবে। এখান থেকেই ইডেনে ক্লাস করবে। তো কাল থেকে ক্লাস শুরু করবে সে। ঢাকায় কিছুই চিনে না। তাই আজ বের হয়ে বাসার আশেপাশে চিনানোর পরিকল্পনা ছিলো। বিকেল বেলায় কথায় কথায় পরিকল্পনা হলো এশিয়া আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা ২০২৪ এ ঘুরে আসবো সকলে মিলে। সাধারণত বাণিজ্য মেলা জানুয়ারি মাস জুড়ে হয়ে থাকে। তবে সেটা হয় পূর্বাচলে, যেটা মেইন শহর থেকে বেশ দূরে, আরেক সাইডে পরে। আগে চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রের মাঠে হতো। এবার নভেম্বর এ সেই মাঠেই এই এশিয়া আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা ২০২৪ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এ বছরেই ১ম বারের মতো নভেম্বর মাসে হচ্ছে আর ২৩ শে নভেম্বর পর্যন্ত চলবে এই মেলা৷
যেহেতু ছোট দিনের বেলা, বের হতে হতেই মাগরিবের আজান দিয়ে দিয়েছে। আমরা তাড়াতাড়ি যাওয়ার জন্য একটি উবার ঠিক করে চলে যাই। শনিবার হওয়ায় তেমন একটা জ্যাম পাই নি। আর তাছাড়া দূরত্বও যে অনেক বেশি মোহাম্মদপুর থেকে, তেমনটাও না। তাই ২০ মিনিটের মাঝেই পৌঁছে যাই আমরা।গিয়ে গেটে শুরুতেই প্রচন্ড ভীড় পাই আমরা।টিকিট এর ব্যবস্থার জন্য যে কয়টা বুথ এর ব্যবস্থা করা হয়েছে তা ভীড়ের তুলনায় যথেষ্ট নয়। ২০/৩০ টাকা করে টিকিটের মূল্য ছিলো খুব সম্ভবত। ভেতরে গিয়েও বেশ কতক্ষণ শুধু হেঁটে সামনেই এগিয়েছি। শুরুর দোকান গুলোতে এত পরিমাণ ভীড় ছিলো যে দাঁড়ানোর মতোই অবস্থা ছিলো না। দাঁড়াতে চাইলেও ভীড়ের ঠ্যালাতেই সামনে এগুতে হচ্ছিলো বাধ্য হয়েই।
যখন একটু ভীড় টা ফাঁকা হলো, তখন বেশ স্বস্তি লাগলো! আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার মতো অত বিশাল পরিসরে না হলেও বেশ অনেকগুলো স্টল ই ছিলো মেলায়। বিদেশি কার্পেট থেকে শুরু করে মেয়েদের জুয়েলারি, সিরামিকস এর পণ্যের দোকান, রঙ বাহারি জুতার দোকান, ব্যাগ, জামা কাপড়, ছেলেদের ব্লেজার, মৃৎশিল্প- সবই ছিলো। সাথে ছিলো নানা ধরনের খাবারের দোকান ও। সেসবের ডিটেইলস নিয়ে আরেকদিন পোস্ট করে বিস্তারিত শেয়ার করবো আপনাদের সাথে।
আজ আর আমি কথা বাড়াচ্ছি না। আমার জন্য দোয়ার দরখাস্ত রইলো আপনাদের কাছে। সকলের সুস্থতা কামনা করে আজকের লেখা এখানেই শেষ করছি।
এতক্ষণ সময় নিয়ে আমার পোষ্টটি পড়ার জন্য আপনাকে 🌼 ধন্যবাদ 🌼