এশিয়া আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা - শেষ পর্ব
6 comments
হ্যাল্লো বন্ধুরা
প্রিয় আমার বাংলা ব্লগবাসী, সবাইকে আমার নমষ্কার /আদাব। কেমন আছেন আপনারা সবাই? আশা করছি আপনারা সকলেই ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আমিও মহান সৃষ্টিকর্তার অশেষ কৃপায় পরিবারসহ সুস্থ আছি, ভালো আছি।আজ আপনাদের সাথে নতুন একটি পোষ্ট শেয়ার করতে চলে এসেছি। আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করবো আমার এশিয়া আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা ভ্রমণের কিছু মুহূর্ত। তো চলুন, আর বেশি কথা না বাড়িয়ে চলে যাই আজকের পোষ্ট টি তে.... ৷
আমার আগের পোস্ট এ আমি আমার এশিয়া আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা ভ্রমণের ১ম পর্ব শেয়ার করেছিলাম আপনাদের মাঝে। আজকে তার ই শেষ পর্ব নিয়ে হাজির হয়েছি।
আমরা গিয়েছিলাম শনিবার সন্ধ্যার পর। আমি, আমার হাজবেন্ড আর রংপুর থেকে আসা দুই ননদ মিলে গিয়েছিলাম। আগের পর্বেই শেয়ার করেছিলাম যে এই মেলা এবার ই ১ম অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এবং চলবে আরোও ৩ দিন। অর্থাৎ ২৩ শে নভেম্বর, ২০২৪ শনিবার পর্যন্ত চলবে।
মেলায় ঘুরতে তো সকলেরই ভালো লাগার কথা৷ আসলে এমন মেলা গুলোয় নানা ধরনের জিনিস একসাথে একই ছাদের তলায় পাওয়া যায় বলেই মানুষের এত ভীড় হয়। এবারের এই মেলায় মেয়েদের জুতোর অনেক গুলো দোকান ছিলো। আমরা বেশ কয়েকটা দোকানের জুতার কোয়ালিটি দেখেছি। ডিজাইন তো বেশ ভালোই, সাথে কোয়ালিটি ও লোকাল কোয়ালিটির চেয়ে বেশ ভালোই মনে হয়েছে। আমার পা এ আবার সব জুতা টিকে না, তাই ইচ্ছে হলেও এমন সুন্দর সুন্দর জুতা কিনার সাহস পাই না। দেখেই শখ মিটাই আর কি! এছাড়াও মেয়েদের জুয়েলারির কালেকশন ও দারুণ ছিলো। যদিও ভীড়ের কারণে আমি বেশি ছবি তোলার সুযোগ পাই নি। তবে নানা দামের নানা জুয়েলারির কালেকশন ছিলো দেখার মতো। রেসিন দিয়ে তৈরি জ্যান্ত ফুলের লকেট বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে ইদানীং, আর আসলেই সেগুলো দেখতে এত স্নিগ্ধ, যে দেখেই ভালো লাগবে- সেটাই স্বাভাবিক! আমি তো দেখে ভীষণ পছন্দ করেছিলাম - রেসিন দিয়ে বানানো লকেট গুলো দেখলে মনে হচ্ছিলো কোনটা রেখে কোনটা নেই! এত রিয়েলেস্টিক ছিলো ওগুলো।
বাঙালির মেলার বড় আকর্ষণ হচ্ছে বিভিন্ন রকমের খাওয়া দাওয়া! এখানেও তার ব্যতিক্রম ছিলো না!! একটা পাশে সবগুলো স্টল শুধু খাওয়া দাওয়ার ই ছিলো। ছিলো নানা রকমের আচার, নানা রকমের পিঠা, আবার বোবার বিরিয়ানিও বাদ যায় নি। মিষ্টির দোকান ছাড়া আবার মেলা চলে নাকি! ওমা আবার দেখি নানা শুকনা আইটেম যেমন- বিস্কুট, চানাচুর, শনপাপড়ি, খাজা, চাল ভাজা, নারকেলের চিড়া- এসবের দোকানও ছিলো। আচার গুলো দেখতেই অনেক ইয়াম্মী ছিলো, আর মেয়ে মানুষ আচার দেখলে তো খেতে ইচ্ছে করবেই একটু.. তবে আনারসের আচার আইটেম দেখে আমি একটু অবাক হয়েছিলাম। ওটা অবশ্য খাই নি। এছাড়াও আলু- বোখারার আচার, আমের নানা পদের আচার, বরই আচার, তেতুল খাট্টা, জলপাই আচার, মিক্সড আচার বক্সে বক্সে সাজানো ছিলো। আমরা বেশ কয়েক টা পিঠা, মিক্স আচার, আইসক্রিম খেয়েছি। আর শনপাপড়ি, আচার, নারকেলের চিড়া নিয়ে নিয়েছি বাসার জন্য। মেলা থেকে রের হবো, সেসময় এ দেখলাম তার সামনেই বেশ কিছু রাইডের ব্যবস্থাও রয়েছে। ম্যাজিক কার্পেট এই বেশি লোক ছিলো। এছাড়াও বাচ্চাদের জন্য বেশ কয়েকটি রাইড এর ব্যবস্থা ছিলো। দেখে ভালোই লাগছিলো, বিনোদন এর জন্য যথেষ্ট চেষ্টা করেছেন তারা।
এতক্ষণ সময় নিয়ে আমার পোষ্টটি পড়ার জন্য আপনাকে
আজ আর আমি কথা বাড়াচ্ছি না। আমার জন্য দোয়ার দরখাস্ত রইলো আপনাদের কাছে। সকলের সুস্থতা কামনা করে আজকের লেখা এখানেই শেষ করছি।
এতক্ষণ সময় নিয়ে আমার পোষ্টটি পড়ার জন্য আপনাকে 🌼 ধন্যবাদ 🌼
আমি- তিথী রানী বকসী, স্টিমিট আইডি @tithyrani। জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। পেশায় একজন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার। বিবাহিতা এবং বর্তমানে রাজধানী ঢাকায় বসবাস করছি।২০২৩ সালের জুন মাসের ১৯ তারিখে স্টিমিটে জয়েন করেছি।
ভ্রমণ করা, বাগান করা, গান শোনা, বই পড়া, কবিতাবৃত্তি করা আমার শখ। পাশাপাশি প্রতিদিন চেষ্টা করি নতুন নতুন কিছু না কিছু শিখতে, ভাবতে। যেখানেই কোন কিছু শেখার সুযোগ পাই, আমি সে সুযোগ লুফে নিতে চাই৷ সর্বদা চেষ্টা থাকে নিজেকে ধাপে ধাপে উন্নত করার।
Comments