সোহাগের স্বপ্ন পূরণের গল্প (একাদশ পর্ব)

thinking.element -

কেমন আছেন আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা? আমি ভালো আছি। আশাকরি আপনারা ও ভালো আছেন।


সোহাগের বাবা-মা সেই প্রতিবেশী আর কোচ সকলের চোখ দিয়ে তখন পানি পড়তে থাকে। সংক্ষেপে সবাই সোহাগের জীবনের গল্প শুনে আবেগী হয়ে পড়ে। সোহাগের জীবনে আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের শুরুটা ভালো হলেও। প্রথম কয়েক মাস খেলার পরে সোহাগ খেই হারিয়ে ফেলে। হঠাৎ করে অনেক খ্যাতি অনেক টাকা পেয়ে যাওয়ায় সোহাগের মনোসংযোগে ব্যাঘাত ঘটে। হঠাৎ পাওয়া এই অর্থ এবং খ্যাতি তাকে তার লক্ষ্য থেকে কিছুটা দূরে নিয়ে যায়। তাই কয়েক ম্যাচের পরেই জাতীয় দল থেকে তাকে আবার বাদ দিয়ে দেয়া হয়।

হঠাৎ এই উত্থান পতনে সোহাগ হতবিহ্বল হয়ে পড়ে। সোহাগ কিছুই বুঝতে পারেনা সে এখন কি করবে? কয়েকদিন আগে যে সমস্ত মিডিয়া তার প্রশংসায় পঞ্চমুখ ছিলো তারাই সোহাগের প্রচন্ড সমালোচনা করতে শুরু করে। দল থেকে বাদ পড়ে সোহাগ বাড়িতে গিয়ে বেশ কিছুদিন বসে থাকে। বেশ কিছুদিন চুপচাপ থাকার পরে সে আবার তার প্রথম কোচের সাথে গিয়ে দেখা করে। কোচের কাছে গিয়ে সে সাহায্য চায়। সে তার কোচ কে বলে আমার কোথায় সমস্যা হচ্ছে আপনি একটু দেখিয়ে দিন। আমার তো মনে হয় ব্যাটিং বোলিংয়ে আমার বেসিক ঠিকই আছে।

তখন তার কোচ বলে তোমার সমস্যা তোমার ক্রিকেট স্কিলে না। সমস্যা হয়েছে তোমার মনে। তুমি তোমার মনকে স্থির করো। আবার ক্রিকেটে পরিপূর্ণ মনোনিবেশ করো। তাহলে তুমি আবার আগের মত ভালো খেলতে পারবে।কোচের কথা শুনে সোহাগ আবার নতুন উদ্যমে প্র্যাকটিস শুরু করে। কিছুদিন স্থানীয় লিগে ভালো খেলার পর আবার সে জাতীয় দলে চান্স পায়। তারপর থেকে সোহাগকে আর কখনো পিছে তাকাতে হয়নি। এভাবেই সোহাগ তার লক্ষ্যে পৌঁছে যায়। এভাবেই তার স্বপ্ন পূরণ হয়। (সমাপ্ত)

আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।




ধন্যবাদ